পায়ে পায়ে কলকাতা: পর্ব ১৫steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

নমস্কার বন্ধুরা,

গান্ধার স্থাপত্য শিল্পের মধ্যে গ্রীক ব্যাকট্রিয় রোমান এবং ভারতীয় মথুরা শিল্প শৈলীর এক মিশ্র প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। মূলত গৌতম বুদ্ধ এবং বৌদ্ধ ধর্মের দেবদেবীর বিবর্তন, গ্রিক দেবতা আপোলোর আদলে বুদ্ধমূর্তি এবং শিল্পকর্মের অন্যান্য দিকেও গ্রিক প্রাধান্যই গান্ধার শিল্পকলাকে ভিন্ন রূপ দেয়। গৌতম বুদ্ধর জীবনের বিভিন্ন ঘটনাবলী গান্ধার শিল্পকর্মের রূপ হিসেবে স্থান পেয়েছে। যার নিদর্শন আমরা আগের মূর্তিগুলো থেকে কিছুটা হলেও পেয়েছি। আমরা সেই গান্ধার শিল্পকলার আরো কিছু অংশ দেখে নেব।

PXL_20230326_162023295_copy_1209x907.jpg

প্রথমেই যে মূর্তিটার আমরা দেখব সেটা খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর। এটিতে গৌতম বুদ্ধের এক অতিমানবিক রূপকে দেখানো হয়েছে। যেখানে গৌতম বুদ্ধকে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের জন্য দেবতারা উৎসাহ দিচ্ছেন। মূর্তিটিকে দেখে মনে হয়েছে এটি স্লেট পাথরের তৈরি।

PXL_20230326_161824093_copy_1209x907.jpg

তারপরের যে মূর্তিটি দেখবো সেটিও খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে লরিয়ান টাঙ্গাই নামক জায়গা থেকে প্রাপ্ত। যেখানে গৌতম বুদ্ধ যখন প্রথম ধর্ম প্রচার করেছিলেন সেটিকেই উদ্দেশ্য করে বানানো হয়েছে।

PXL_20230326_161828305_copy_1209x907.jpg

গৌতম বুদ্ধের ধর্ম প্রচারের মূর্তিটির পর যে মূর্তিটা আমরা দেখে নেব সেটি ছিল দিকপাল দ্বারা গৌতম বুদ্ধকে ভোজন পাত্র দানের। গৌতম বুদ্ধ যখন ধ্যানে ছিলেন সেই সময় বিভিন্ন দিকপালেরা তাকে বিভিন্ন ধরনের খাবার এনে উৎসর্গ করতেন, সেই দৃশ্য এই মূর্তিতে ফুটে উঠেছে।

PXL_20230326_161833395_copy_1209x907.jpg

একদম শেষে আমরা মূর্তিটি দেখে নেব সেটি গৌতম বুদ্ধের উরিবিল্ব-র অলৌকিক ক্রিয়া। গৌতম বুদ্ধ শ্রাবস্তীতে যে ছটি অলৌকিক ক্রিয়া দেখিয়েছিলেন তার মধ্যে এটি একটি। যেখানে গৌতম বুদ্ধ নিজের বহু প্রতিকৃতি এবং টেলিপোর্টেশন করে দেখিয়েছিলেন।

PXL_20230326_161838826_copy_1209x907.jpg




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59871.00
ETH 2671.84
USDT 1.00
SBD 2.47