পুজো পরিক্রমা ২০২৩ : আর্য সমিতি ক্লাব
নমস্কার বন্ধুরা,
শ্রী রাম মন্দিরের কিছুটা ঝলক দেখে আমার অষ্টমীর রাতের পুজো পরিক্রমার শেষ গন্তব্যের দিকে এগিয়ে গেলাম। যেটা ছিল আর্য সমিতি ক্লাব। নিউটাউন ক্লাব থেকে বেশ কিছুটা পথ হেঁটে তবেই আর্য সমিতি ক্লাবে পৌঁছলাম। আসলে নিউটাউন ক্লাব মূল শহরের অল্প বাইরে। অষ্টমীর রাতে পনেরো কিলোমিটারের বেশি পথ হাঁটার ফলে আর্য সমিতি ক্লাবে পৌঁছাতে বেশ কিছুটা সময় লাগলো। তবে রাস্তার ভীড় দেখে রাতের ইয়ত্তা পাওয়ার কোনরকম উপায় ছিল না বলে বিশেষ অসুবিধা হলো না তাছাড়া মাঝে মাত্র আরেকটা দিন বাকি আছে। আর্য সমিতির নিজস্ব একটি মাঠ রয়েছে বলে তারা পুজোর মন্ডপ বেশ গুছিয়ে বানাতে পারে। মণ্ডপ সুন্দর হওয়ার পাশাপাশি আর্য সমিতি ক্লাবের আরেকটি বিশেষ আকর্ষণীয় বিষয় হলো তাদের আলোকসজ্জা। দূর থেকে আগত দর্শনার্থীদের জন্য পুজো কমিটি বেশ অনেকটা রাস্তা জুড়ে আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করে।
৭৫ তম বর্ষে পদার্পণ করে আর্য সমিতি এই বছর তাদের মণ্ডপ সজ্জার রাজস্থানী স্থাপত্য কল্পের আদলে তাদের মণ্ডপের কাজ করেছে। শহরের এমন এক জায়গায় আর্য সমিতি অবস্থিত যে যারা শহরের দুর্গাপূজা দেখতে আসে তাদেরকে অবশ্যই এই ক্লাবের উপর দিয়েই যেতে হবে। সেজন্য সেই সন্ধ্যা থেকে পুজো মন্ডপে খুব ভিড় হয়, রাতেও ভিড় ভালোই ছিল। শতবর্ষ পূরণের থেকে মাত্র ২৫ বছর দূরে দাঁড়িয়ে আর্য সমিতি এইবার মণ্ডপের পাশেই মঞ্চ বানিয়ে পুজোর প্রতিদিন নানান অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছে।
মানুষের ভিড়ের সাথে রঙিন আলোকসজ্জা দেখতে দেখতে গুঁটি গুটি পায়ে এগিয়ে গেলাম মন্ডপের একদম কাছে। কাছে গিয়ে বুঝতে পারলাম তো মন্ডপটা কাঠের কাঠামোর উপরে সাদা কাপড়ে বেষ্টিত। তার উপরে বিভিন্ন ফোমের নকশার কাজ সাজানো হয়েছে। সেগুলোকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে রং বেরঙের আলো। যার কারণে মন্ডপ আরো সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। আমি ধীরে ধীরে মন্ডপের ভেতরে ঢুকে গেলাম। ভেতরটা নীল রঙের নিয়ন আলোর আলোকিত হয়ে রয়েছে এবং মূল আলোর ফোকাস দেবী প্রতিমার দিকে। মন্ডপের অন্দর সজ্জাতেও নানান ফোমের নকশার কাজ ছিলো।
মন্ডপের মাঝে বিরাজিত হয়েছেন জগত জননী মা দুর্গা। মা দুর্গার প্রতিমার সাবেকিয়ানার। দেবী প্রতিমা সাবেকিয়ানার হলেও দেবীর অলংকার রঙিন জরির। যা নিয়ন আলোতে মণ্ডপকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলেছে।
আর্য সমিতি ক্লাবের বিশেষ আকর্ষণীয় বিষয় হলো আলোকসজ্জা, আর সে বিষয়টা ফটোগ্রাফি দেখে বেশ উপলব্ধি করা যাচ্ছে। রংবেরঙের আলোকসজ্জা দিয়ে সাজানো মণ্ডপটি দেখতে সত্যিই দারুণ লাগছে। ফটোগ্রাফিতে যতটা ভালো লাগছে, আমার বিশ্বাস স্বচক্ষে দেখলে চোখ দুটো একদম জুড়িয়ে যাবে। আর এমন আলোকসজ্জা সজ্জিত মন্ডপ ও দেবী প্রতিমা দেখার জন্য নিঃসন্দেহে উপচে পড়া ভিড় হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যাইহোক দাদা, আর্য সমিতি ক্লাব কিন্তু তাদের অসাধারণ ও মনোমুগ্ধকর আয়োজনটি সফল করতে পেরেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা, সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
দাদা গত বছরের দূর্গা পূজায় তো দেখছি অনেকগুলো ক্লাবে গিয়ে পূজার আয়োজন দেখেছিলেন। যাইহোক আর্য সমিতি ক্লাব এককথায় দুর্দান্ত আয়োজন করেছে দাদা। তাদের আলোকসজ্জা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। তাদের নিজস্ব মাঠ রয়েছে বলেই, একেবারে মনের মতো করে সবকিছুর আয়োজন করতে পারে। এমন পূজা মন্ডপ দেখতে তো মানুষের ভিড় হবেই। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে দাদা। সবমিলিয়ে খুবই ভালো লেগেছে পোস্টটি দেখে। যাইহোক এতো সুন্দর মুহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।