ব্যস্ততার ফাঁকে ম্যাংগো শেকের খোঁজে // ১০% লাজুক 🦊-কে

নমস্কার বন্ধুরা,

ব্যস্ততা যেন জীবন থেকে থেকে ছেড়ে যেতে চাইছে না, যতই দূরে সরিয়ে দিই না কেন ব্যস্ততা আরো কাছে চলে আসে। যেদিন ভোটার আইডি কার্ডটি হারিয়ে গেলো সেটাই ছিলো অনেকদিন পর আমার ব্যস্তহীন দিন। তারপর থেকে ব্যস্ততা আবার স্বাভাবিক নিয়মেই ফিরে এলো। জীবন থেকে ধীরে ধীরে নিজের জন্য সময়গুলো কমছে, হয়তো ইচ্ছে করেই ব্যস্ত হয়েছি। তবে এখন ব্যস্ততার চাপেই দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি।

মাঝেমধ্যে তাই দম বন্ধ হওয়া কাটাতে ছোটো ছোটো আনন্দ খুঁজি। আজকে সেরম আনন্দ খুঁজতেই গিয়েছিলাম হাতিবাগানের নিউ দিল্লি জুস এন্ড শেকস পার্লারে। আসলে বিগত কদিন যে পরিমাণে গরম বেড়েছে তাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত। জানিনা এরম গরম চলতে থাকলে আর কদিন বাঁচবো তাই মরার আগে ম্যাংগো শেক খাওয়ার খুব ইচ্ছা করছিলো তাই আজকে যাওয়া।

হাতিবাগানের ঠিক মধ্যিখানে নিউ দিল্লি জুস এন্ড শেকস পার্লারে উপস্থিত হয়ে অর্ডার দিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাতে চলে এলো আমার চাহিদার বস্তুটি, ম্যাংগো শেক উইথ স্কুপ অফ ম্যাংগো আইসক্রিম।

পুরোপুরি ম্যাংগো শেক বললেও সঠিক হবে না আসলে আমের সাথে দুধ আরো কিছু জিনিস মিশিয়ে ব্লেন্ড করে তার উপরে একটা ম্যাংগো ফ্লেভারের আইসক্রিম স্কুপ। শেকের উপরে নানা ড্রাই ফ্রুটস ছড়িয়ে দিলেও আমি শুধু কাজুবাদাম দিতে বলেছিলাম। হাতে পাওয়া মাত্র স্ট্রয়ে চুমুক।

এক চুমকেই ১/৩ অংশ শেষ করে আমার মনে হলো ধীরে ধীরে চামচ দিয়ে খাওয়াটাই সঠিক হবে। তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেললে আরেকটা কিনতে হবে। ঘন ক্রিমের মতো শেক চামচ দিয়েই যেন বেশি ভালো লাগলো। মাঝে মধ্যে মুচমুচে কাজু স্বাদ আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছিলো।

শেক উড়িয়ে দিয়ে কাজে ফিরে আসলাম। গরমে টানা রাত পর্যন্ত কাজ করে শেকে ঠান্ডা ভাবটা উবে গিয়ে মাথা ব্যাথা শুরু করলো। মনে মনে ভাবছিলাম চা হলে মন্দ হয়না।

ভাবতে ভাবতেই ক্লায়েন্ট চা নিয়ে চলে এসেছে। প্রচন্ড গরম থাকা সত্ত্বেও আমি বেশ খুশিই হলাম। চায়ে চুমুক দিয়ে আবার কাজে ঢুকে পড়লাম।