পুজো পরিক্রমা ২০২৩ : মহম্মদ আলি পার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসব পুজো কমিটি
নমস্কার বন্ধুরা,
চতুর্থীর মধ্যে দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু পুজো মন্ডপ ঘুরে নেওয়ার পরে পঞ্চমীর বিকেলে বেরিয়ে পড়লাম উত্তর কলকাতা এবং মধ্য কলকাতার সুপরিচিত পুজো মণ্ডপ গুলো দেখা নেওয়ার জন্য। আমার প্রথম গন্তব্য হলো মহম্মদ আলি পার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসব পুজো কমিটির পুজোতে। ৫৫ বছরে পদার্পণ করা মহম্মদ আলি পার্কের পুজো শুধুমাত্র মধ্য কলকাতার নয় সারা কলকাতার পুজো গুলোর মধ্যে এক অন্যতম নাম। প্রতিবছরই পুজোতে থাকে থিমের চমক, সেই সুবাদে মহম্মদ আলি পার্কের পুজো দেখবার জন্য জন্য কলকাতা, পার্শ্ববর্তী শহরতলী এবং আশপাশের জেলার প্রচুর মানুষ আসেন।
চতুর্থীর মতো পঞ্চমীতেও বিকেলেই বেরিয়ে পড়েছিলাম পুজো পরিক্রমায়। আসলে চতুর্থীর রাতে রাস্তায় যে পরিমাণে ভিড় দেখেছি তাতে পঞ্চমীর দিনে বিকেলে যাওয়াই শ্রেয় মনে হয়েছে। দুপুর নাগাদ বেরিয়ে বিকেলের মধ্যে পৌঁছে গেলাম মহম্মদ আলি পার্কে। বিকেল গড়িয়ে পাঁচটা বাজেনি অথচ মহম্মদ আলি পার্কের পুজো মন্ডপের তখন ভক্তরা গিজগিজ করছে।
মন্ডপ বাইরে থেকেই বুঝতে বাকি রইলো না যে এই বছরে মহম্মদ আলি পার্কের পুজোর থিম কেদারনাথের মন্দিরের। উত্তরাখণ্ড রাজ্যে অবস্থিত ১২ জ্যোতির্লিঙ্গের এক জ্যোতির্লিঙ্গ কেদারনাথ মন্দিরের আদলে করা হয়েছে মহম্মদ আলি পার্কের মন্ডপ। হিমালয়ের পাদদেশে থাকা প্রসিদ্ধ শিব মন্দিরটি হিন্দুদের অত্যন্ত পবিত্র জায়গা হিসেবে খ্যাত। কেদারনাথ মন্দির হিমালয়ের পাহাড়ি অঞ্চলে হওয়ার জন্য অনেকেই সেখানে হেঁটে পৌঁছতে পারেন না। মহম্মদ আলি পার্কের পুজো কমিটি সেই দিকটাকে মাথায় রেখে অনেকের কেদারনাথ যাওয়ার আশা পূরণ করানোর জন্যই যেন এবারে তাদের থিমে কেদারনাথ মন্দিরকে স্থান করে দিয়েছে। মহম্মদ আলি পার্কের সৌজন্যে কলকাতার মানুষ খুব সহজেই পৌঁছে গেলো হিমালয়ের পাদদেশে।
ভিড়ের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে মণ্ডপের ভেতরে প্রবেশ করে গেলাম। মন্ডপের ভেতরের কারুকাজ করা হয়েছে ১২ জ্যোতির্লিঙ্গের প্রত্যেকটির গর্ভগৃহ কিছু কিছু অংশ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মণ্ডপের ঠিক মাঝেই রয়েছে মায়ের প্রতিমা। মায়ের প্রতিমাতে বনেদিয়ানার ছাপ স্পষ্ট।
পঞ্চমীর বিকেল বেলাতেই মহম্মদ আলি পার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসব পূজা কমিটির পূজাতে প্রচুর ভিড় হয়েছিল দেখছি। সন্ধ্যার পর মানুষের ভিড় আরো বৃদ্ধি পাওয়াটা স্বাভাবিক। তাদের থিমটা ও দারুণ লেগেছে। তাছাড়া মণ্ডপের ভিতরের কারুকাজ এবং প্রতিমা এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আসলেই! তাদের জায়গার পরিসর খুবই কম তবে তারা কমের মধ্যেই ভালো মন্ডপ বানিয়ে থাকে।