আশীষের জন্মদিন // ১০% লাজুক 🦊-কে

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার,

জন্মদিন মানেই জীবনের আরেকটা বছর কাটিয়ে আরো কিছু নতুন স্মৃতি তৈরীর পথে এগিয়ে চলা। যেদিন মালদা থেকে কলকাতা ফিরছিলাম সেদিনই পিসতুতো দিদির জন্মদিন ছিলো। আবার কলকাতা ফিরতে না ফিরতেই আমার খুব কাছের বন্ধু আশীষের জন্মদিন চলে এলো।

প্রাথমিকভাবে অনেক কিছুরই প্ল্যান ছিলো কিন্তু সময়ভাব ও কাজকর্মে ব্যস্ত থাকার দরুন সেই প্ল্যান গুলো বাস্তবে রূপান্তরিত করা গেলো না। আসলে আশীষের ইচ্ছে ছিলো জন্মদিনটা পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে কাটাবে তারপর একটা দিন পুরীর সমুদ্র ঘুরে বেরিয়ে কলকাতা ফিরে আসবে। কিন্তু ভাগ্যে না থাকলে যা হয়।

আমরা দুই বন্ধু ছুটি বের করে ট্রেনের টিকিট কাটলাম, ঘোরার পরিকল্পনা করলাম আর ঘুরতে যাওয়ার ব্যাগ পর্যন্ত গুছিয়ে রাখলাম। কিন্তু যাবার ঠিক দুদিন আগে "অশনি" আমাদের বাধা হয়ে দাঁড়ালো। পুরীর উপকূল বরাবর ঘূর্ণিঝড় অশনির ধেয়ে আসা দেখে বাধ্য হয়ে জন্মদিনের একদিন আগে আমাদের সমস্ত টিকিটগুলো বাতিল করতে বাধ্য হলাম। যাক সেসব কথা।

পুরী যাওয়া যখন হলো না তাই জন্মদিন কলকাতাতেই কাটলো। আর জন্মদিনে কেক না থাকলে কেমন লাগে তাই কয়েকজন মিলে জন্মদিনের কেক জোগাড় হলো।

সন্ধ্যে বেলায় শোভাবাজার রাজবাড়ির কাছে সবাইকে উপস্থিত হতে বলা হলো। সবাই উপস্থিত হলে দুজন কেক নিয়ে হাজির হলো।

প্যাকেট থেকে বের করে কেকটা বাইকের সিটে বসিয়ে ঝাড়বাতি বসাতে গিয়ে খেয়াল হলো ঝাড়বাতি তো আনা হয়নি। শেষমেষ মোমবাতি জোগাড় করে মোমবাতি কেকের উপরে বসিয়ে কেক কাটার প্রস্তুতি নেওয়া হলো।

আশীষ কেক কাটলো, সবাইকে কেক খাওয়ালো আর ভালো মন্দ স্মৃতি নিয়ে সামনের বছরের দিকে এগিয়ে গেলো।





Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  
 2 years ago 

হাহাহা, দাদা আপনার বন্ধুর মুখ একদম তোলা বানিয়ে দিলেন। আসলে বন্ধুদের সাথে যেকোনো কিছুই মজা আর আনন্দ। আর জন্মদিন হলে তো কথাই নেই। তবে দারুন একটা মুহুর্ত কাটিয়েছেন। অনেক উপভোগ করলাম।

 2 years ago 

আশীষ দাদার জন্মদিন উপলক্ষে জানাই শুভেচ্ছা শুভ জন্মদিন। জন্মদিন আমাদের কাছে একটি বিশেষ দিন। আমরা সবাই দিনটাকে স্মরনীয় করে রাখতে চাই নিজের মতো করে বন্ধুদের সাথে ও পরিবারের সাথে। আমাদের জন্ম দিন আসলেই যেন আলাদা অনুভূতি কাজ করে বন্ধুবান্ধবরা আমাদের জন্য বিভিন্ন আয়োজন করে। তবে জন্মদিনের গিফট পেতে বেশ ভালই লাগে। 😎 আপনার বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আপনারা সবাই একসাথে হয়েছেন অনেক মজা করছেন দেখে ভালো লাগছে। আপনাদের বন্ধুত্বের বন্ধন চির অটুট হোক এই কামনা করি।

 2 years ago 

যাইহোক আপনার বন্ধুর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। যেন সামনের দিনগুলো খুব সুন্দর স্বাচ্ছন্দ্যময় ভাবে পার করতে পারে। আর বেচারার মুখের অবস্থা দেখে তো আমার বেশ হাসি পেয়ে যাচ্ছে হিহি😍

 2 years ago 

চারিদিকে দেখছি জন্মদিনের ছড়াছড়ি হি হি। এই মাএ স্বাগতা দিদির পোষ্টে একজনের জন্মদিন সম্পর্কে দেখে আসলাম। এবং এখানে এসে দেখছি আবার আপনার বন্ধু আশীষের জন্মদিন। আশীষ এর সম্পর্কে আপনার পোস্টে আগেও লেখা দেখেছি। এই অশনি টা একেবারে সব প্ল‍্যান নষ্ট করে দিল হা হা। এবং আশীষ দার মুখে ওটা কী।এটা কেমন মজা হি হি।।

 2 years ago 

আশাকরি দাদা, ভালো আছেন? আপনার বন্ধুর জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই শুভ জন্মদিন। আগামী পথ চলা খুবই সুন্দর এবং সফল মন্ডিত হোক।

জন্মদিনে খুব অসাধারণ মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো‌। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে আসলে জন্মদিনে সময় কাটানো অনুভূতি গুলো খুবই অন্যরকম হয়ে থাকে। এত অসাধারণ পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি‌। ভালো থাকবেন দাদা।

 2 years ago 

দাদা আপনার জন্মদিনের শুভেচ্ছা। যাই হোক কাছের বন্ধুকে শত ব্যস্ততার মাধ্যমে সময় দিয়েছেন।যাই হোক বেশ মজা করেছেন,দেখেই বুঝা যাচ্ছে। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

প্রথমে আশীষ দাদাকে জানাই জম্মদিনের শুভেচ্ছা।জম্মদিন যে কার ও জন্য একটা বিশেষ দিন হয়ে থাকে।এর পাশাপাশি কার ও জম্মদিনে বন্ধু-বান্ধব ও আত্নীয় স্বজনরা এসে ভীড় করলে তো এর আন্দন আর বহুগুন বেড়ে যায়।যেমনটি আপনার করা পোষ্ট দেখে আন্দাজ করতে পেরেছি।আশীষ দাদা দীর্ঘজীবী হউন।

 2 years ago 

এর আগে আপনার পোস্ট পড়ে আশিষ দাদার কথা শুনেছি। তার জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। তাছাড়া এত কিছু প্ল্যান করে ও কোন কিছুই হলো না বিষয়টি শুনে খারাপ লাগল। কিন্তু হ্যাঁ বাইরের প্ল্যানটা সাকসেসফুল না করতে পারলেও যে নিজেরা কলকাতাতে কেক কাটলেন আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। বন্ধুদের মধ্যে এরকম মজাটাও কম নয়।

 2 years ago 

আপনার বন্ধুর মুখের অবস্থা দেখে সত্যিই করুণা হচ্ছে!বেচারার কি অবস্থাটাই না করলেন।

 2 years ago 

প্যাকেট থেকে বের করে কেকটা বাইকের সিটে বসিয়ে ঝাড়বাতি বসাতে গিয়ে খেয়াল হলো ঝাড়বাতি তো আনা হয়নি। শেষমেষ মোমবাতি জোগাড় করে মোমবাতি কেকের উপরে বসিয়ে কেক কাটার প্রস্তুতি নেওয়া হলো।

দাদা তাহলে জন্মদিনের পুরোন রেওয়াজ মেনেই কেক কাটতে হলো। বর্তমানে তো ঝাড়বাতি কেকের উপর বসিয়ে কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হয়। অনেক বন্ধু একসাতে হয়েছিলেন মনে হচ্ছে। এই মূহুর্ত গুলোই স্মৃতি হয়ে রয়ে যাবে আজীবন। এভাবেই কেটে যাক দিন হাসি আনন্দে এই প্রার্থনা করি ভগবানের কাছে। মনে হচ্ছিল আমিও যোগদান করি আপনাদের সাথে। ভাল থাকবেন দাদা। শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নেবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.12
JST 0.027
BTC 61498.89
ETH 2962.80
USDT 1.00
SBD 2.49