আবারো শ্রীলেদার্সে
নমস্কার বন্ধুরা,
বর্ষাতি জুতো কেনার সাথে আমি আমার ক্ষত বিক্ষত সু শ্রীলেদার্সে জমা করে এসেছিলাম। আসলে আমার কাজ কর্মে যাওয়ার জন্য ২ জোড়া সু রয়েছে। প্রথম জোড়া বর্ষার জলে ভিজে যাওয়ার জন্য অন্য জোড়াটা যখন বের করে পড়লাম সেটাও বৃষ্টির জলে ভিজলো এবং দুর্ভাগ্যক্রমে জলে ভেজার সাথে সাথে সেই জুতোর নিচের তলার হিলগুলো খুলে গেল। হিল ছাড়া জুতো তো আর পড়া যায় না। তাই জুতো টাকে আমি অবসরে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর খেয়াল হলো শ্রীলেদার্সে তো শুধু জুতো কিনতে পাওয়া যায় না সেখানে তো জুতো সারাইও হয়। সেই সুবাদেই বর্ষাতি কিনতে গিয়ে আমার সু রিপেয়ার করতেও দিয়ে এসেছিলাম।
জুতো ফেরতের সময়সীমা ছিলো ১৫ দিনের। আমি ১৭ দিনের মাথায় জুতোটা নিতে চলে গেলাম। যদিও যাওয়ার আগে আমি বার দুয়েক ফোন করে তবেই গিয়েছিলাম। কারণ ঐযে যদি গিয়ে দেখি জুতো ঠিক হয়নি তাহলে তো যাওয়াটাই মাটি। সন্ধ্যের পরেই শ্রীলেদার্সে গিয়েছিলাম কারণ তার আগ পর্যন্ত তাদের দোকানে যে পরিমাণে ভিড় থাকে সেটা একদমই আমার সহ্য হয় না।
সন্ধ্যা বেলা গিয়ে দেখলাম নিউ মার্কেট বেশ ফাঁকা ফাঁকা। আমি তো দেখে বেশ খুশি হলাম। যদিও অবস্থার পরিবর্তন হয়ে গেল শ্রীলেদার্সে ঢুকেই। দোকানে মানুষ গিজগিজ করছে, তখন ঘড়িতে বাজে পৌনে নটা। মানুষ যে রাত্রি নটার সময় জুতো কিনতে আসে সেটা না দেখলে আপনারাও বিশ্বাস করবেন না। কি আর করা সোজা গেলাম তিন নাম্বার কাউন্টারে। কাগজ এগিয়ে দিতেই তারাও খানিকক্ষণের তফাতে জুতোখানি বের করে দিল।
আহা! যেন সবেমাত্র কোন এক সেলভ থেকে সেটাকে বের করে আমার হাতে দেওয়া হয়েছে। তার সাথে জুতোর তলাটা বেশ শক্ত। আমি কাজ দেখে যারপরনাই খুশি। সত্যি বলতে এত সুন্দর কাজ হয়তো বাইরে থেকে পেতাম না।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনার জুতো জোড়া ঠিক হয়েছে আর আপনি তাদের কাজে সন্তুষ্ট এটাই বড় বিষয়।
আমাদের এদিকে অবশ্য এমন চমৎকার সুযোগ নেই, শুধুমাত্র পাড়ার মুচি আমাদের ভরসা।
জুতা জোড়া দারুন দেখাচ্ছে কিন্তু।
বাপরে আপনাদের ওদিকে তো দেখছি সবই পাওয়া যায়। বেশ দারুন হয়েছে জুতা গুলো। আর আমাদের দেশে মুচি ছাড়া এমন সুন্দর করে জুতার কাজ গুলো করার মত হারিকেল জ্বালিয়েও কাউকেউ পাওয়া যায় না। সব মিলিয়ে কিন্তু আপনার জুতা গুলো বেশ হয়েছে দাদা।
দাদা দ্রুতজোড়া কি ওরা ফ্রিতে সারিয়ে দিল নাকি এর জন্য টাকা দিতে হয়েছে? আপনার রাত করে যাওয়াতে কোন লাভ হয়নি। সবাই মনে হয় বুদ্ধি করে আপনার মত রাতে গিয়েছে ফাঁকা পাওয়ার জন্য। আসলেই আপনার জুতো জোড়া একদম নতুন মনে হচ্ছে। আশা করি এবার বৃষ্টিতে পড়ে আরাম পাবেন।
বৃষ্টির দিন আসলে এই একটা সমস্যা। জুতো গুলোতে সমস্যা দেখা যায়। আমার হিসেবে ভাই প্লাস্টিক এর জুতোই বেস্ট অন্তত বৃষ্টির দিন গুলোতে। তবে বাহিরে কোথাও যেতে হলে আবার ভালো জুতো লাগে। যাই হোক সোল গুলা তো বেশ মজবুত ভাবেই রিপেয়ার করেছে দেখা যায়। এবার নিশ্চিত অনেকদিন টিকবে।
আসলে ব্র্যান্ড তো ব্র্যান্ড ই। শ্রীলেদার্সে গিয়ে জুতার রিপেয়ার করে ফেললেন দাদা। দেখতে কিন্তু একেবারে নতুনের মতোই লাগছে। জুতা জোড়া বাসায় ফেলে না রেখে, ঠিকঠাক করেছেন এটা খুব ভালো হয়েছে। পাড়ার মুচির মাধ্যমে ঠিক করালে ফিনিশিং এতো সুন্দর হতো না। একেবারে ব্যতিক্রমধর্মী একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দাদা। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভিড়ের ভয়ে আপনি রাতের দিকে গেলেন তারপরও একই অবস্থা।তারপরেও আপনি আপনার জুতাটির কাজ আপনার ভালো লেগেছে।আর ছবি দেখে তো বোঝার উপায় নেই এটা পুরনো জুতা।আর আপনার সেই অবসরের যাওয়া জুতা,এতো সহজে অবসরে যেতে চাচ্ছেনা মনে হচ্ছে ভাইয়া,হাহা।তবে আপনাদের কোলকাতার জনপ্রিয় এই জুতার শপ সম্পর্কে শুনেছিলাম।আসলেই ভালো মনে হচ্ছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।