কবিতা : ‘বিজয় ডিসেম্বর’ - সিফাত আহমেদ | আবৃত্তিতে : নির্মাল্য
নমস্কার,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদ ও ভালোবাসায় আমি ভালো আছি।
আপনাদের সামনে আমি আরো একটি নতুন কবিতা আবৃত্তি নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি কবি সিফাত আহমেদের বিজয় ডিসেম্বর কবিতাটি আবৃত্তি রূপে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো। আবৃত্তি সিরিজে এটি আমার বাইশ তম উপস্থাপনা। আমার আজকের উপস্থাপনা বাংলাদেশের ৫২ তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে। কবিতা নিয়ে আমার মতামত বিস্তারিত ভাবে অভিমত পর্যায়ে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন শুরু করে দিই।
লাল সবুজের স্মৃতি ঘেড়া নিশান আমার উড়ে।
কিনেছিলাম রক্ত দিয়ে বিজয় ডিসেম্বরে।
মাগো তোমার চোখের জলে,
জয় বাংলা ধ্বনি তুলে,
হাজার ছেলে প্রাণ দিল ঐ নতুন আশার ভোরে।
রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।
মাগো তুমি হায়েনা ভয়ে কাঁদছ দেখে তাই।
তোমার ছেলে ঘর ছেড়েছে তোমায় দিতে ঠাঁই
বিশ্বমাঝে উচ্চাসনে,
পাক বাহিনীর নির্যাতনে,
আর হবেনা শোষন এবার তোমার আপন ঘরে।
রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।
দীর্ঘ ন মাস মিত্র বাহিনীর সাথে যুদ্ধের পর পাক সেনা ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর তারিখে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল শ্রী জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করে। আর তার সাথেই পাক সেনার হাত থেকে মুক্তি পায় কোটি কোটি বাঙালি। মুক্তির সেই ১৬ ই ডিসেম্বর তারিখটি ১৯৭২ সালে প্রথম বিজয় দিবস হিসেবে ঘোষিত হয়। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাছেই তাই আজকের তারিখটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশেই আজকের দিনটি পালিত হয় বিজয় দিবস হিসেবে।
কবিতার মূল ভাবার্থ নিয়ে আমার অভিমত দেওয়ার ভাষা আমার কাছে নেই কারণ বাংলাদেশের মানুষের রক্তে বিজয় দিবসের ভাষা অক্ষর রূপে লুকিয়ে রয়েছে।
১৯৭১ সালে সেদিন যখন পাক বাহিনীর করাল ঘাত নেমে এলো অজস্র বাঙালির উপরে। পাক সেনাদের রুখতে সেদিন বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ ঘরের ছেলেরা মেয়েরা বেরিয়ে পড়েছিল নিজের ভাষার জন্য লড়াইয়ে। নিজের জাতির জন্য জীবন দিতে। যার ফলে দীর্ঘ ন মাসের যুদ্ধ শেষে পাক সেনার হাতে মারা যান প্রায় ৩০ লক্ষ বাঙালি।
কবি তাই যখন লিখেছেন 'কিনেছিলাম রক্ত দিয়ে বিজয় ডিসেম্বরে' তার কারণ আজকের বিজয় অনেক রক্ত ঝরিয়েই তবেই পাওয়া গিয়েছে। অনেক মায়ের কোল খালি করে তবেই বিজয় দিবস জাতির কাছে এসেছে। অসংখ্য যুবক-যুবতীরা সেদিন জয় বাংলা ধ্বনি তুলে নতুন দেশের জন্য, নতুন ভোরের আলোর জন্য গৃহ ত্যাগ করেন। পাক সেনাবাহিনীর অকথ্য নির্যাতনেও থেমে যাননি তারা। জীবন দিয়ে হলেও বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন পাক সেনাবাহিনীর থেকে।
জাতিকে নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে সেদিন অনেক রক্ত ঝরেছিল। তাই কবির রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বর কথাটি সদর্থক। আজ তাই এই বিশেষ দিনে রইলো সেইসব কৃতি সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
কবিতার পরামর্শের জন্য @alsarzilsiam ভাইকে ধন্যবাদ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
অসাধারন হয়েছে ভাই, আপনার কবিতা আবৃত্তি।
ধন্যবাদ সিয়াম ভাই 💖
ভাবতেই গা শিউরে উঠে কেমন ছিল তাদের নিসংসতা কেমপ ছিল তাদের শোষণ। কেমন করেই সহ্য করতো আমার দেশের লোক। কবিতা টা দারুণ আবৃত্তি করেছেন দাদা। কবিতা টা ছোট কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সম্পূর্ণ মূলভাব যেন প্রকাশ পাচ্ছে কবিতাটায়।
ঠিক বলেছ ইমন। কবিতার লাইন কম হলেও শব্দ গুলো আবেগে ভরপুর।
❤💕❤
আপনার কন্ঠে কবিতা আবৃতি শুনে বেশ ভালো লাগছে ভাইয়া। রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জন।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া কবিতা আবৃত্তি করে তা আমাদোর মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বহু মায়ের কোলের বিনিময়ে পাওয়া বিজয় ডিসেম্বর,
রক্ত বন্যা বইয়ে পাওয়া বিজয় ডিসেম্বর।
এখন যেন সেই মুহূর্তের কথা গুলা চিন্তা করলে গা শিউরে উঠে। কতশত মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আজকের এই বাংলা। কবিতার লেখাগুলো আমার ভীষণই ভালো লেগেছে। আর এরকম একটা কবিতা আপনার কাছ থেকে আবৃত্তিতে পেয়ে আরো বেশি ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন, এত বেশি নির্যাতনের পরেও কষ্টে আছেন তারা থেমে থাকেনি। আপনার কন্ঠে যেন বেশ আকর্ষণীয় লেগেছে।
অগনিত মানুষের রক্তে আসা বিজয়। ধন্যবাদ 🙏
"বিজয় ডিসেম্বরে" কবিতাটি খুবই চমৎকার ভাবে আবৃত্তি করেছেন। শুনে ভীষণ ভালো লাগলো। মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেল আমার হৃদয় আঙ্গিনায়। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। পরবর্তী আবৃত্তি শোনার অপেক্ষায় রইলাম।♥♥
ধন্যবাদ দিদি। সিয়াম ভাই কবিতার লিংকটা দিয়েছে। 🥰