চন্দ্রকেতুগড় সংগ্রহশালা : পর্ব ৫
নমস্কার বন্ধুরা,
চন্দ্রকেতুগড় সংগ্রহশালার চতুর্থ পর্বে আপনাদের সাথে চন্দ্রকেতুগড়ে ব্যবহৃত ইঁট ও পুঁতির কিছু নিদর্শন ভাগ করে নিয়েছিলাম। চন্দ্রকেতুগড়ে পাওয়া ইঁট গুলির মধ্যে অলংকার আকৃতি লক্ষ্য করা গেছিলো, যা সেই যুগের মন্দির শিল্পকলার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সেই সময়ের মানুষ মন্দিরের স্থাপত্য শৈল্পের দিকে যথেষ্ট সচেতন ছিলো ইঁট গুলি যেন সেই প্রমাণও দেয়। তাছাড়া বিভিন্ন বস্তু দিয়ে তৈরি পুঁথি আমাদের সেই যুগের মানুষের পছন্দ বুঝিয়ে দেয়। আজ চন্দ্রকেতুগড়ে পাওয়া আরো কিছু নিদর্শন আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। প্রথমেই দেখে নেবো, তখনকার ব্যবহৃত হওয়া সিলমোহর।
সিল বা সিলমোহর যেমনি কোন একটি নির্দিষ্ট সভ্যতার পরিচয় বহন করে তেমনি কোন একটি সম্ভ্রান্ত পরিবার কিংবা রাজাদের পরিচয়ও বহন করে থাকে। বিভিন্ন রাজা বিভিন্ন সময়ে তাদের নিজস্ব সিলমোহর গুলি ব্যবহার করেছেন। তারা তাদের সিলমোহরে বিভিন্ন নকশা এবং লিপি ব্যবহার করেছে নিজস্বতা ধরে রেখেছিলেন। কয়েকশ বছর আগে পর্যন্ত সিলমোহর কোন একটি ব্যক্তির স্বাক্ষর বিশেষ হিসেবে ধরা হতো। এবং অনেক ক্ষেত্রে মান নির্ণায়ক সংকেত হিসেবে ব্যবহার করা হতো।বর্তমানে সিলমোহরের একটা নব্য সংস্করণ আমরা দেখতে পেয়ে থাকি।
চন্দ্রকেতুগড়ে এরকম অনেক সিলমোহর পাওয়া গেছে যার বেশিরভাগ কুষাণ এবং মৌর্য যুগের সময়ের।
চন্দ্রকেতুগড় মূলত এক বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে তৈরী। যার বেশিরভাগ জায়গায় এখন চাপা পড়ে রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশেষ খনন কার্য না হলেও চন্দ্রকেতুগড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে। যার সবই কুষাণ এবং গুপ্ত যুগের। মুদ্রা গুলো মূলত তামার। একটি বিশেষ লক্ষ্য করার বিষয় হলো মুদ্রার পিঠে পাওয়া অঙ্ক, যা খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর ভারতে ঘটে যাওয়া দ্বিতীয় নগরায়ন হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
এগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে চন্দ্রকেতুগড়ে অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তু পাওয়া গিয়েছে। যেমন সেই সময়ে পাওয়া যাওয়া উমা মহেশ্বরের মূর্তি, গৌতম বুদ্ধের মূর্তি আর খেলনা।
দাদা গত পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ লেগেছিল। যাইহোক এই পর্বে শেয়ার করা এতো ধরনের সিলমোহর দেখে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। তাছাড়া উমা মহেশ্বরের মূর্তি এবং গৌতম বুদ্ধের মূর্তি আর খেলনা দেখেও খুব ভালো লাগলো। আসলে এতো সুন্দর সুন্দর নিদর্শন দেখলে মনটা একেবারে ভালো হয়ে যায়। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম দাদা। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।