আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৩ (পর্ব ৪)
নমস্কার বন্ধুরা,
অন্নপূর্ণা পুস্তকালয় থেকে মলিন বদন নিয়ে এগিয়ে যেতেই দেখলাম পাশাপাশি দু দুখানা কনস্যুলেটের স্টল। প্রথমে মনে হল এইবার বিদেশি স্টল গুলোতে তাদের বইপত্র দেখতে পাবো। ওমা সেরকম কিছু নয়! শুধু দুই দোসরের মতো ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং আমেরিকান কনস্যুলেটকে পাশাপাশি বসানো হয়েছে। তারা পাশাপাশি কেন রয়েছে আমি জানিনা তবে যিনি দিয়েছেন তিনি বেশ বুদ্ধিমান। আসলে দুই দেশের মধ্যে কার ইংরেজি সঠিক সেটা নিয়ে বিস্তর মতমালিন্য রয়েছে সেটা মনে মনে ভেবে খানিকটা হেসে নিলাম।
আগে আমেরিকান স্টলে তাই সেখানে ঢুকে পড়লাম। সেখানে মানুষ ছিলেন বটে তবে বইপত্র খুব একটা চোখে পরলো না তবে সেখানে একটা জিনিসের আঁচ পেলাম সেটা হলো আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কিছুটা ছোঁয়া স্টলে রয়েছে। যেটা আমার খুব একটা পছন্দ হলো না কারণ আমার মনে হয় বইয়ের মেলায় রাজনীতিটা খুব একটা ভালো লাগে না। আমেরিকান দের খুব একটা গুরুত্ব না দিয়ে তাই এগিয়ে গেলাম।
আমেরিকান কনস্যুলেটের পাশেই ছিল ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্টল। ভেবেছিলাম হয়তো আমেরিকান কনস্যুলেটর মতন ব্রিটিশ কাউন্সিল একই ধরনের বইহীন স্টল বানিয়ে রাখবে। কিন্তু ঠিক তা হয়নি কারণ বৃটিশ কাউন্সিল স্টলে দুটো ভাগ করা ছিল। একদিকে যেমন বইপত্র রাখা ছিল তেমনি আরেকটা পাশে ছিল ব্রিটেনে পড়তে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন গাইডেন্স। বিদেশে গিয়ে পড়াশোনায় ইচ্ছে নেই তাই পড়তে যাওয়ার দিকটাই না গিয়ে বইয়ের দিক থেকে গেলাম।
বই দিকে গিয়ে একটু যেন আশ্চর্য হলাম। সুন্দর করে বই সাজানো রয়েছে। ফিকশন লিটারেচার থেকে শুরু করে সবকিছুই কিন্তু এগুলো সব ডিসপ্লে অর্থাৎ আমরা নেড়েচেড়ে দেখতে পারব দুই এক পাতা উল্টে পড়লেও বই কিনতে পারবো না। ব্রিটিশ কাউন্সিল তাদের স্টল বসিয়েছে সেটা শুধু দেখবার জন্য। বেশ খানিকটা নিরাশ হলাম। যদিও বই কিনতে পারবে না জেনেও মানুষজন ব্রিটিশ কাউন্সিলের বইপত্র হাতে নিয়ে পড়ায় ব্যস্ত ছিলো। আর আমি কিছুতেই ফাঁক গলিয়ে সেখানে নিজের জায়গাটা করতে পারছিলাম না।
বেশ কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থাকার পর বই পড়িয়েরা সরে গেল আর তাতেই লিটারেচার সেকশনটা ফাঁকা পেলাম। বইপত্রের সম্ভার দেখে আমি অবাক। কি নেই সেখানে, কিং লিয়ার, কিটস সব... অল্প সময় ফাঁকা থাকার পর জায়গাটাতে ফের ভীড় জমে গেলো। আমি পরপর ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে বেরিয়ে পড়লাম বইমেলার বাকি অভিযানে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |