গণতন্ত্রের অধিকার
নমস্কার বন্ধুরা,
জ্ঞান হওয়ার পর থেকে যতদিন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ভোট দেখে আসছি কোনো বছরই খবরের পাতায় হিংসা প্রতিহিংসার শব্দ দুটোকে বাদ হতে দেখিনি। যে দল পূর্বে পশ্চিমবঙ্গের রাজ সিংহাসনে বিরাজমান ছিল তারাও যে সমস্ত কাজকর্ম করতেন বর্তমানেও সেটার কোন পার্থক্য হয়নি। জানি এসব ভেবে বা বলে কোনো লাভ হবে না তাই থাক সেসব রাজনৈতিক বিষয়ে নাক না গলানোই ভালো। আমার কাজ বাবু, গিয়ে ভোট দিয়ে আসা সেই কাজে আমি গেছি এবং সেটাই আমি করে আসবো।
ভোটের দিন সকালবেলা থেকেই বাড়িতে হুলস্থুল কান্ড। বাড়িতে প্রত্যেকের আলাদা আলাদা সময় ভোট দিতে যাওয়ার কথা আমার যেমন কথা ছিল সকালবেলাতে ঘুম থেকে উঠেই ভোট দিতে যাওয়ার কিন্তু এতদিন পরে বাড়িতে এসেছি একটু বেলা পর্যন্ত না ঘুমালে হয়। হাঃ হাঃ। তাছাড়া ভোররাতে বৃষ্টি হয়ে আবহাওয়াটা এত সুন্দর হয়ে আছে যেটা বলার মত নয়। যদিও সেই আবহাওয়ার জন্যই আমার ঘুমটা পরে ভেঙ্গে গেল কারণ অল্প বেলা বাড়তেই রোদ ওঠার সাথে সাথে ভ্যাপসা গরমটাও চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল।
ঘুম থেকে উঠে বেশ সাজিয়ে আম মুড়ি সাটিয়ে দিলাম। আম মুড়ি খেয়ে ভোট দিতে চলে গেলাম দুপুর দুপুর নাগাদ। হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম আমাদের ভোট দেওয়ার বুথে যেটা কিনা আমাদের বাড়ি থেকে খানিকটা দূর। চারপাশের নানা খবরে অল্প অল্প ভয় তো ছিলই তবে সেটা ভোট দেওয়ার বুথে পৌঁছে কেটে গেল। দেখি গলা জড়াজড়ি করে আমাদের তিন দলের প্রার্থীরা দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে ভোট দেওয়ার ভিড়টা ছিল একটু বেশিই। আসলে ব্যালট বাক্সের ভোট তো কাগজে লিখে সেটাতেই সময়টা আরো বেশি লাগে। কি আর করা লাইনে দাঁড়িয়েই প্রার্থীদের সাথে গল্প করতে শুরু করলাম। হাঃ হাঃ।
তাদের সাথে কথা বলতে বলতে হুট করে আবার বৃষ্টি হওয়া শুরু হল। আকাশে মেঘ ছিলোই সে থেকে ঝিমঝিমিয়ে বৃষ্টি। তাই কিছুক্ষণের জন্য লাইন থেকে ছিটকে দূরে শেড দেখে দাঁড়িয়ে পড়লাম। ঘন্টাখানেক সেখানেই কেটে গেলো, তারপর বৃষ্টি থেমে গেলে ফের ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লাম ততক্ষণে ভোটের আমার লাইন একদম সামনে চলে এসেছে। লাইনে দাঁড়াতে না দাঁড়াতে ভোট দেওয়ার ঘরে ঢুকে পড়লাম। পটাপট তিনখানা ভোট দিয়ে বুথ থেকে প্রার্থীদের তিনজনকেই জয়ের অভিবাদন জানিয়ে বেরিয়ে আসলাম। কখন যে কি হয়। হাঃ হাঃ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |