তিয়ানারা বছর পূর্তি // ১০% লাজুক 🦊-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
বিয়ের নিমন্ত্রনের রেশ কাটতে না কাটতেই জন্মদিনের রেশ চলে এলো। পরপর তিনখানা জন্মদিন। মালদায় পিসতুতো দিদির জন্মদিন কাটিয়ে কলকাতা ফিরতেই খুবই কাছের বন্ধু আশীষের জন্মদিন ছিলো। আবার আশীষের জন্মদিনের পরেই আরেকটা জন্মদিনের নেমতন্ন পেলাম।
জন্মদিন ছিলো তন্ময় দার মেয়ের দু বছর পূর্ণ হওয়ার উপলক্ষ্যে। তন্ময় দার সাথে আমার পরিচয় টার্ফে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে। নির্দ্বিধায় স্বীকার করবো টার্ফে ক্রিকেট খেলার মূল উদ্যোক্তাই হলো তন্ময় দা, তারই মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিলো। নিমন্ত্রন খেতে যাওয়া নিয়ে আমার প্রথমে খুব উৎসাহ থাকলেও রাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখে আমি ইতস্তত বোধ করছিলাম। আমার চিন্তা ছিল যে অনুষ্ঠানে যাওয়ার পর যদি বৃষ্টির কারণে বাড়িতে ফিরে আসতে না পারি। বৃষ্টির কারণে নিমন্ত্রন যাওয়া বাদ দেবো তা কখন হয়? দোটানা সরিয়ে আশীষের সাথে জন্মদিনে চলেই গেলাম।
অনুষ্ঠানে পৌঁছানোর কথা ছিলো সন্ধ্যে ৭ টার মধ্যে কিন্তু আমাদের পৌঁছতে বেশ খানিকটা দেরী হলো। আসলে বাচ্চাটির জন্য গিফট পছন্দ করতে রাত হয়ে গেলো। যাক! যখন অনুষ্ঠানে পৌঁছালাম তখন ঘড়িতে বাজে নটা। পৌঁছে দেখি জন্মদিনের পার্টিতে সবাই মোটামুটি পৌঁছে গেছে। বাচ্চারা যথারীতি খেলাধুলার দিকে ব্যস্ত, বড়দের কেউ ঘুরছে আর কয়েকজন খাবার-দাবারের দিকে মনোযোগী।
পৌঁছেই তন্ময় দার হাতে বাচ্চাটির জন্য আনা গিফটটি তুলে দিয়ে দু এক কথা বলে সোজা স্টার্টারের দিকে এগোলাম 😁। কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে অবশেষে চলমান স্টার্টারের বুথ খুঁজে পেলাম। সেখানে ছিলো চিকেন কাবাব, মাটন কাবাব আর স্মোকড ফিস। এক প্রস্ত করে প্রত্যেক পদ চেখে নিলাম।
আড্ডা দিতে দিতে কখন যে রাত ১০:৩০ টা বেজে গেছে খেয়াল ছিলো না। রাত বেড়ে যাওয়ায় মেইন কোর্সের দিকে এগোলাম। আমি সোজা গেলাম সাদা ভাত এবং চিংড়ির দিকে। চিংড়ি শেষ করে মাটন বিরিয়ানি আর চিকেন চাপ নিয়ে মেইন কোর্সের ইতি টেনে দিলাম।
মিষ্টিমুখ ছাড়া কোনো অনুষ্ঠানi সম্পূর্ণ হয় না। শেষপাতে তাই ফিরনি ও ছানার পায়েস দিয়ে রাতের মতো খাওয়ায় ইতি টানলাম।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সৌভাগ্যবানদের এভাবেই সবার সাথে মিলিত হওয়ার জন্য, সময় তাদের সৌভাগ্য এনে দেয়। মনে প্রশান্তি নিয়ে চলাফেরা করতে পারে। সব সময় আপনার কাব্যিক লেখনি ,জীবনের অল্প সময়ে হলেও মধুময়ের ছোঁয়াটুকু মিশে থাকতে দেখা যায়। ভাল ছিল লেখাটা।
মনে হচ্ছে এ বছরটা আপনার নেমন্তন্ন খেতে খেতেই চলে যাবে। একটার পর একটা নেমন্তন্ন যেন শেষই হচ্ছে না। এত বড় আর জাঁকজমকপূর্ণ জন্মদিনের পার্টি দেখে মনে হচ্ছে কোন ভিআইপি লোকের করা আয়োজন। আর খাবার-দাবার গুলোর কথা কি বলন, এককথায় লোভনীয়। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর খাবার দেখিয়ে লোভ লাগানোর জন্য হাহাহাহা।
আমি খাই বলে খুব রটলো। কিন্তু এই দিকে আপনি যে বিয়ে আর নিমন্ত্রণ খেয়েই সারাদিন কাটিয়ে দেন। তার দিকে দেখি কারো নজর নেই! খুব খারাপ বিষয়।
ও বাবা এ দেখছি বিশাল আয়োজন। অনেক বড় করে আয়োজন করেছে, খুব দারুণ ভাবে সাজিয়েছে প্রতিটি জায়গা। আর আপনার খাবার দেখে তো কি বলবো 😁 অনেক এনজয় করলাম আজকের পোস্ট ধন্যবাদ দাদা।
আহা! দাদা গো!! এসব কি ঠিক হলো!
তোমার এই বোন টা কলকাতায় পড়ে পড়ে মরে যাচ্ছে না খেতে পেয়ে। আর তুমি কি সুন্দর খাবারের ছবি দেখাচ্ছো🥺🥺
আমাকেও নিয়ে যেও দাদা এবার কোনো নিমন্ত্রণ পেলে। আমি বহুদিন নিমন্ত্রণ বাড়ি যাইনি। কষ্ট 😣😣