শুভ পরিণয় // ১০% লাজুক 🦊-কে
নমস্কার,
খাওয়ার পর্ব মিটিয়ে প্যান্ডেল থেকে বেরিয়ে দেখি বিয়ের রীতি শুরু হয়ে গেছে। মামাও বিয়ের মন্ডপে চলে এসেছে। বলতেই হয় সঠিক সময়েই খাওয়া সম্পন্ন হয়েছে। আসলে আমার চিন্তা ছিলো বিয়ে শেষ হতে হয়তো রাত্রি দুটো বাজবে আর একবার বিয়েতে বসে গেলে খাওয়ার সুযোগ নাও পেতে পারি কিংবা অনেক রাত হবে। বিবাহ মন্ডপের একপাশে বসে পড়লাম। মন্ত্রোচ্চারণ মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তুতি চলছে।
প্রথমেই মামাকে আশীর্বাদ করা হলো। আশীর্বাদ পর্ব শেষ হতেই শুভদৃষ্টির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হলো। শুভদৃষ্টির সময় কনেকে পিঁড়িতে বসিয়ে পান দিয়ে মুখ ঢেকে বরের চারিদিকে সাত বার ঘুরিয়ে দুজনকে সামনাসামনি দাঁড় করিয়ে চার চক্ষুর মিলন করানো হয়। আর শুভদৃষ্টির শেষে মালাবদল করে তবেই পুরো নিয়মের ইতি হয়। আমার কাছে শুভদৃষ্টির সময়টাই হলো বিয়ের সবচাইতে মজা সময়। শুভদৃষ্টি হওয়ার পরে মালাবদলের পালা আসতেই বরকে কোলে তুলে নেওয়া হয় যাতে বরের গলায় মালা দিতে কনের আরেকটু বেগ পেতে হয়।
যদিও শুভদৃষ্টির পর মালাবদল করার সময় মামাকে কোলে তোলার প্রয়োজন পড়েনি। মামার উচ্চতা ৬ ফুট তার উপরে মাথার মুকুট আবার কোলে নিলে হয়তো মালাবদলই হতো না 😂। খানিক মজা করার পর শেষে মামাকে ঝুঁকেই মালা বদল হলো।
মালাবদল হতেই বিয়ের অন্যান্য রীতি গুলো শুরু হলো। মালাবদলের পর বসে মনটা উসখুস করছিলো তাই পকোড়া খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম 😁।
পকোড়া চিবোতে চিবোতে মন্ডপের সামনে আবার বসলাম। যজ্ঞের আগুন সাক্ষী রেখে বর ও কনে সাত পাকে ঘোরা আরম্ভ করলো। মামা প্রথমে লিডে থেকে সাড়ে তিন পাক প্রদক্ষিণ করলো তারপর নতুন মামী লিড নিয়ে বাকি সাড়ে তিন পাক প্রদক্ষিণ সম্পন্ন করলো। সাতপাকে হওয়ার পরে সিঁদুর দান পর্বটাও যথাসময়ে হয়ে গেলো।
সিঁদুর দান পর্ব মিটতেই বিবাহ সম্পূর্ণ হলো আর আমাদের বাড়ি ফেরার ঘন্টা বেজে গেলো।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আপনাদের বিয়ের অনুষ্ঠানটা আমার খুবই ভালো লাগে। মনে হয় যেন সর্বক্ষণ একটু আনন্দময় হয়ে থাকে। আর আপনার মামার যে উচ্চতা আর শরীরের গঠন মনে হয় না যে বিয়েবাড়িতে আপনার মামার মত আর কেউ বেশি লম্বা ছিল। যাই হোক একটু মজা করলাম। আপনার পাকোড়া খাবার অনুভূতিটা শেয়ার করেছেন। অবশ্য নামটি আমার কাছে অপরিচিত মনে হল, আমি কখনোই এ জাতীয় খাবার খাইনি। বেশ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি।
ঠিক ধরেছেন। সবচাইতে লম্বা।
দাদা প্রথমে নতুন দম্পত্তিকে তাদের নতুন জীবন শুরু করার জন্য জানাই অভিনন্দন এবং আশীর্বাদ করছি তাদের নতুন জীবন যেন সুখময় হয়। বিয়েবাড়িতে আপনি দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন। সেই সাথে বিভিন্ন বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। আমার কাছে শুভদৃষ্টি বিষয়গুলো সত্যি সুন্দর লাগে আপনার মত কারণ এখানে নব দম্পতির মধ্যে আলাদা একটা অনুভূতি কাজ করে একে অপরকে দেখা চোখে চোখ রাখা বিষয়টি সত্যিই অনেক আবেগের। বিয়ে বাড়ির বিভিন্ন ফটোগ্রাফির সাথে আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ দিদি। ওই সময়টা সত্যিই অন্যরকমের হয়।
আপনাদের বিয়ের রীতিনীতি গুলো বিভিন্ন মুভিতে অনেক দেখেছি। কিন্তু এতো বিস্তারিত জানতাম না। প্রতিটা বিষয় আপনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। এবং আপনি পকোড়াকে আর বেশিক্ষণ ছেড়ে থাকতে পারেন নাই হা হা। যাইহোক নতুন যুগলের ভবিষ্যত পথচলা যেন সুন্দর সুগম হয় সে কামনা করি।
টিভিতে শুধুই অতিনাটকীয় জিনিস পত্র দেখায়।
বসে বসে খিদে পেয়ে গেলো যে 😆😆😆
দাদা প্রথমে নতুন দম্পতির জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন।আমি ঈশ্বর কাছে প্রার্থনা করি নতুন দম্পতির সারা জীবন সুখে স্বাচ্ছন্দ্য রাখুক।দাদা আপনি অনেক চমৎকার করে বিয়ে বাড়ীতে খাওয়া থেকে আপনার মামা বিয়ে পর্যন্ত খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন।ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারন লাগছে। অনেক ধন্যবাদ দাদা, এতে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুখের হয় এটা আমারও কাম্য।
শুভ পরিণয় দেখতে সব সময় খুব ভালো লাগে। আসলে কি আর বলব আপনার খাওয়া-দাওয়া দেখেই তো একটু খেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু তারা উপায় কই
ফুডপান্ডা তো আছেই। বাড়িতে দিয়ে যাবে 😁
দাদা বিয়ের অনুষ্ঠান অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ ছিল। আপনি ঠিকই বলেছেন অনুষ্ঠানে বসার আগ মুহূর্তে যদি ভজন পর্ব আপনি না সেরেনেন তাহলে অনেক রাত হয়ে যাবে খেতে খেতে। আমরাও কোন অনুষ্ঠান হবে আগেভাগেই ভজন পর্ব সেরে নেয়। এর পরবর্তীতে মালা বদল হতে না হতেই বিয়ের অন্যান্য অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল সব মিলিয়ে খুব সুন্দর এবং গোছালো একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
যেমন ভেবেছিলাম বিয়ের কর্মকান্ডে খুব বেশি সময় লাগবে কিন্তু তা লাগেনি।