পায়ে পায়ে কলকাতা: পর্ব ১২steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

নমস্কার বন্ধুরা,

ভুমরার শিব মন্দিরের ভাস্কর্য শিল্প দেখা শেষ হওয়ার পর পাশেই যেগুলো দেখলাম সেগুলো ছিল বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের বৌদ্ধদের খুবই পবিত্র স্থান সারনাথের কিছু মূর্তির সংগ্রহ। শুরুতে যে মূর্তি পেলাম তা ছিলো দ্বারশীর্ষ। সূর্য্য পুত্র রেবন্তের মূর্তি দেখে যতটা অবাক হয়েছিলাম দ্বারশীর্ষ দেখে যেন তার থেকেও আরো কয়েক গুণ বেশি অবাক হলাম। কারণ দ্বারশীর্ষ হলো, রাহুর সহিত আরো তিন গ্রহের ভাস্কর্য। রাহুর মূর্তি যে হয় জানা ছিলো না, দেখতে পাবো সেটা কল্পনাতেও আসেনি। মূলত শনি দেব কে পুজো করার চল আমাদের এখানে বিদ্যমান রয়েছে তবে রাহুর মূর্তি সচরাচর নজরে পড়ে না। আর সেটা যদি হয় খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর তাহলে তো অবাক হওয়ারই কথা।

PXL_20230326_161437114_copy_1209x907.jpg

PXL_20230326_161434826_copy_1209x907.jpg

বেলে পাথরের তৈরি এই মূর্তিটি উত্তর প্রদেশের সারনাথ শহর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু যে রাহুর মূর্তি নয় এখানে রাহুসহ আরও তিনটি গ্রহ।

PXL_20230326_161447922_copy_1209x907.jpg

PXL_20230326_161453712_copy_1209x907.jpg

তারপরে যে দুটি মূর্তি পাশাপাশি দেখলাম তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনেকটাই বেশি কারণ সেটি ছিল শ্রাবস্তির অলৌকিক দৃশ্যাবলী। বৌদ্ধধর্মের গান্ধার মতে গৌতম বুদ্ধ রাজা প্রসেনজিৎ এর সম্মুখে ৬ জন শিক্ষকের কাছে তার নানা ধরনের অলৌকিক শক্তির কার্যক্রম করে দেখেছিলেন। তার মধ্যে ছিলো আগুনের মধ্যে হেটে চলা এবং হাওয়ায় ভাসা এই সমস্ত অলৌকিক কাজকর্ম। সেটারই অংশ ভাস্কর্য রূপে তুলে ধরা হয়েছে।

PXL_20230326_161459749_copy_907x1209.jpg

PXL_20230326_161504891_copy_1209x907.jpg

শেষ যে ভাস্কর্যটি দেখলাম তা ছিলো অভয় মূর্তি বুদ্ধ। এটিও উত্তরপ্রদেশের সারনাথ থেকে পাওয়া গিয়েছে। গৌতম বুদ্ধকে আমরা মূলত এই রূপটাতেই সবচেয়ে বেশি দেখে থাকি। তিনি শান্ত স্নিগ্ধ রূপে আমাদেরকে আশীর্বাদ করছেন। পঞ্চদশ শতাব্দীর এই মূর্তিটিও বেলে পাথরের তৈরি।




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59493.68
ETH 2649.33
USDT 1.00
SBD 2.45