মহারানী পিসির বুস্টার ডোজ // ১০% লাজুক 🦊-কে

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার বন্ধুরা,

টানা চারদিন বাড়িতে কাটানোর পর উন্মুক্ত বাতাসের আশায় ঘর থেকে বেরিয়ে আরো বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। আমার ইচ্ছে ছিলো শুক্রবার বিকেলে কাছে পিঠে কোথাও থেকে ঘুরে আসি কিন্তু সে আর পারলাম না। বিদ্যুৎ বিল ও ব্যাংকে চেক জমা দেওয়ার কাজ সেরে বাড়ি ফিরে বিছানায় অল্প গা এলিয়ে দিতেই সোজা রাত ন'টা বেজে গেলো। ঘুম ভাঙলো বটে তবুও শরীরের ক্লান্তি পুরোপুরি যেন কাটেনি।

আদপে যে আমার কি হয়েছে তা বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে ডিহাইড্রেশন আর কিছুটা ঘুমের অভাব থেকেই দুর্বল হয়ে পড়েছি। পিসের কথা অনুযায়ী ওষুধ চলছে, তবে ঠিক হওয়ার কোনো চিহ্নই আমার নজরে আসছে না। কিন্তু তাই বলে তো বাড়িতেও চুপচাপ বসে থাকা ঠিক না। শরীর যে আরো খারাপ হবে। সেই চিন্তা থেকে ঘর থেকে বেরোনের সুযোগ খুঁজছিলাম। আর কথায় আছে না, মন থেকে চাইলে তা পূরণ হবেই। শনিবার সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতেই বাইরে বেরোনোর সুযোগ আমার হাতে চলে এলো।

আসলে মহারানী পিসি বেশ কদিন ধরেই বুস্টার ডোজ দিতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছিলো কিন্তু শারিরীক কারণেই আমি বাইরে যেতে সাহস পাচ্ছিলাম না।

শুক্রবার বেরিয়ে আমার যে অল্প সাহস জমেছিলো সেটুকু সঙ্গী করে ভ্যাকসিন দিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমাদের গন্তব্য বোনের পূর্ব কর্মস্থল, চার্নক হাসপাতালে। আমি ইচ্ছে করেই দুপুরে বেরোনোর সিদ্ধান্ত নিলাম। আসলে দুপুর বেলাতে ভ্যাকসিন দেওয়ার ভিড়টা কম থাকে।

দুপুর ২ টো নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েই রিকশায় চড়ে বসলাম। মেঘলা আকাশের নীচে টুকটুক করে ব্যাটারি রিকশা এগোতে শুরু করলো। কিন্তু একি! কলকাতার রাস্তা দুপুরে এতটা শুনশান কেন!! বিষয়টা খুব খটকা লাগলো। মন কু ডাকছিলো, চার্নক খোলা থাকবে তো?

হাসপাতালে পৌঁছতেই স্বস্তি পেলাম। ভ্যাকসিনেশন কাউন্টার খোলা আছে। আমরা রিকশাওয়ালাকে বিদায় জানিয়ে ঢুকে পড়লাম হাসপাতালের ভেতরে।

আমি যেটা ভেবেছিলাম যে দুপুরে ভ্যাকসিন দেওয়ার লোক কম থাকে সেটাই মিলে গেলো। আমাদের আগে মাত্র ৫ জন ভ্যাকসিন নেবার জন্য অপেক্ষা করছে। ভ্যাক্সিনের টাকা দিয়ে আমরাও লাইনে বসে পড়লাম।

মিনিট দশেক বসতেই মহারানী পিসির ডাক এলো। চট করে ভ্যাকসিন দেওয়া শেষ। কর্মরত নার্সের পরামর্শ অনুযায়ী কিছুক্ষণ বসে আমরা বেরিয়ে পড়লাম। আবার ঘরে ফেরা।





Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  
 2 years ago 

দাদা আপনার পিসেমশাই কি ডাক্তার নাকি? তাঁর কথামতো ঔষধ চলছে ঠিক বুঝতে পারলাম না। আরেকটা জিনিস অবাক লাগলো, টিকা নেয়ার জন্য আপনাদের দেশে কি ফি খরচ হচ্ছে নাকি? আমাদের দেশে তো সম্পূর্ণ ফ্রি টিকা দেয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। যাই হোক দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা রইল।

 2 years ago 

দাদা আপনি অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছেন। আপনার বিলের ঝামেলা মিটিয়ে শরীর বিছানায় এলিয়ে দিতে ঘুমেই ৯টা। দুর্বল শরীরে অনেক বেশি ঘুম হয়। আর বাইরে বেরোনোর জন্য ফাঁকফোকর খুঁজছে। তবে মহারানী পিসিকে বুস্টার দেওয়ার জন্য আপনার বাইরে যাওয়ার রাস্তাটা ক্লিয়ার হয়ে গেল। তবে রাস্তাঘাট একেবারে ফাঁকা দেখে মনে খটকা লাগলেও সুন্দর ভাবে পৌঁছে গেছেন মেডিকেলে। এবং পাঁচ দশ মিনিটের মধ্যে বুস্টার দেওয়া কমপ্লিট হয়ে গেল অবশেষে ঘরে ফেরা। আমাদের সাথে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

 2 years ago 

আসলে বাড়িতে বসে থাকলে সত্যিই শরীর আরো বেশি খারাপ হয়।

 2 years ago 

ঠিকভাবে ঘুম না হলে শরীরে ক্লান্তি ভাব হয় আর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।তাই ঠিকমতো ঘুম পড়া উচিত দাদা।যাইহোক দাদা,কয়মাস পর বুস্টার ডোজ নিলেন আপনার পিসি!আসলে আমাদের ও নিতে হবে তো তাই ,আশা করি আপনার পিসি ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছেন বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর ও কোনো অসুবিধা ছাড়া।ধন্যবাদ দাদা,আপনার জন্য ও শুভকামনা রইলো।

 2 years ago 

বুস্টার ডোজ অবদি আমি মোটামুটি ভীর ঠেলে ধাক্কা ধাক্কি করে দিয়েছি। আবার শুনেছি অনেকে যাওয়ার সাথে সাথে বসিয়ে খোচা খেয়ে চলে এসেছে। আসলে টিকা বলে কথা কিছুটা ভীর কিংবা ধাক্কাধাক্কি না হলে কেমন হয়। হা হা । যা হোক আবার শুনছি আপনাদের ওখানে বাড়ছে করোনার আনাগোনা। তবে ডোজ দিয়ে দিয়েছেন আর খুব একটা ভয় নেই। রাস্তা এতটাই নিরব দেখে আমারও খটকা লাগলো । যা পাবেন তাই খাবেন দেখবেন শরীর একদম ফিট ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60340.89
ETH 2615.66
USDT 1.00
SBD 2.56