চোখের ডাক্তারের কাছে
বেশ কিছুদিন ধরেই মাঝে মাঝে মাথা ব্যাথা করতো, তার কারণ বুঝতে পারতাম না। তবে মনে একটা খটকা ছিলো হয়তো আবার চোখের পাওয়ার বেড়েছে। শেষ যখন চোখের ডাক্তার দেখিয়েছিলাম, চোখের পাওয়ার -৪.৭৫। মাঝে কিছুদিন একটু দূরের লেখা আধটু আবছা লাগতো, তবে সেটা আবার কয়েকদিনের মধ্যেই কেটে যেতো। তাই আর বিশেষ গুরুত্ব দিইনি। তবে মাথা ব্যাথাটা যেন দিনদিন বেড়ে যাচ্ছিল তাই অপটোমেট্রিকের কাছে গেলাম।
উনি প্রথমে কম্পিউটারাইজড যন্ত্রে পাওয়ার মেপে নিলেন। আমি অনেক জায়গায় ডাক্তাদের কাছে এই যন্ত্রটা দেখলেও তাদের কখন ব্যবহার করতে দেখিনি। এই প্রথম চোখের পাওয়ার মাপার জন্য এটার ব্যবহার দেখলাম।
যদিও কম্পিউটারাইজড যন্ত্রে মাপার পর পুরোনো পদ্ধতিতে কাঁচ লাগিয়ে লাগিয়ে মেপে দেখলো। হয়তো এক্কেবারে নিশ্চিত হবার জন্য।
যা খটকা লেগেছিলো তাই হয়েছে। -০.৭৫ পাওয়ার বেড়ে, -৫.৫ পাওয়ারে দাঁড়িয়েছে। মায়পিয়ালের সাথে নতুন সংযোজন সিলিন্দ্রিকাল। সাথে উনি বললেন সফট ড্রপস দিতে। মনটা একটু খারাপ হলো, তবে কিছুই করার নেই। আগামীবছর হয়তো লেসিক সার্জারিটা করেই নেবো। হরলিক্সের বোতলের মতো গ্লাস পড়া যাবে না।
চোখ দেখিয়ে মনটা একটু খারাপ হয়ে গিয়েছিল তাই আমাকে সান্ত্বনা দিতে নবনিতা আমাকে আমূল আইসক্রিম পার্লারে নিয়র গেলো। আমাদের পছন্দের দুটো আমূল পেস্তা কুলফি খেলাম।
আমি ধীরে ধীরে বছরে অন্তত একবার করে ফুল বডি চেকআপ করা শুরু করেছি, তারই মধ্যে চোখ দেখানো পরে। আমার মনে হয় প্রত্যেক মানুষেরই বছরে একবার করা দরকার। আপনারা সবাই সাবধানে থাকুন, শারীরিক অস্বস্তি বোধ করলে বা না করলেও বছরে একবার পুরো দেহের টেস্ট করান। আশা করি ভালো থাকবেন।
আপনার সুস্থতা কামনা করছি দাদা
এ আর ঠিক হবেনা, যদিনা চোখের অপেরেশন করি
দ্রুত অপারেশন করেন ভাই