টিভি সিরিজ : দ্য উইচার - ফোর মার্কস // ১০% লাজুক 🦊-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ। আপনাদের সাথে নেটফ্লিক্সের টিভি সিরিজ দ্য উইচারের প্রথম সিজনের দ্বিতীয় এপিসোডটির রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম। দ্য উইচার টিভি সিরিজটি পোলিশ লেখক আন্দ্রেজ সাপকোস্কির দ্য উইচার নামের গল্প সিরিজের উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে।
দ্য উইচার মধ্যযুগীয় প্রেক্ষাপটে দ্য কন্টিনেন্ট নামক জায়গার উপর ভিত্তি করে। যেখানে দ্য উইচার অফ রিভিয়া ও প্রিন্সেস সিরিলা হলো মূল চরিত্র। দ্য উইচার আর প্রিন্সেস সিরিলার ভাগ্য একে অপরের সাথে যুক্ত।
গ্রামের এক শস্য ঘরে প্রেমিক যুগলের প্রেম করার মুহূর্তে তাঁরা কুঁজো ইনেফারকে লক্ষ্য করে। ইনেফার তখন মেয়েটির ফেলে দেওয়া ফুলটি ফিরিয়ে দিতে চায় কিন্তু উল্টে তাঁরা ইনেফারকে তার চেহারা নিয়ে নানা কটূ কথা শোনাতে থাকে ও আক্রমণ করে। আক্রান্ত অবস্থায় ইনেফার নিজেকে টেলিপোর্ট করে এক অজানা জায়গায় নিয়ে যায়। টেলিপোর্ট করার পর সেই জায়গায় পৌঁছে তার পরিচয় হয় ইস্ট্রেড নামের এক ব্যক্তির সাথে। ইস্ট্রেড ইনেফারের শক্তি বুঝতে পারে।
ইনেফার তারপর ইস্ট্রেডকে ভেঙ্গারবার্গে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে। ইস্ট্রেড তখন পোর্টাল তৈরি করে ইনেফারকে ভেঙ্গারবার্গে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু ইনেফারের জাদু শক্তি খোঁজ টিসিয়া নামের এক উইচ আন্দাজ করে নেয়। টিসিয়া ভেঙ্গারবার্গ আসে ও ইনেফারের বাবার কাছ থেকে চার মার্কসের বিনিময়ে ইনেফারকে কিনে জাদুবিদ্যার প্রশিক্ষণের দিতে ইনেফারকে আরেতুজা নামক দূর্গে নিয়ে আসে।
জাদুবিদ্যা প্রশিক্ষনে প্রাথমিক ভাবে ইনেফার ব্যর্থ হয়। ব্যর্থ হয়ে ইনেফার সেখান থেকে বেরিয়ে দূর্গের অন্য দিকে যায় যেখানে ইস্ট্রেডের সাথে দেখা হয়।
প্রিন্সেস সিরিলা জঙ্গলে পালিয়ে যাওয়ার পর এক বাচ্চা ছেলের সাথে পরিচয় যে সিনট্রাকে উদ্বাস্তু শিবিরে পৌঁছে দেয়। শিবিরে পৌঁছলে সিরিলাকে কেউ চিনতে পারে না তাই খুব সহজে এক অর্থবান পরিবারের টেন্টে ঠাঁই পেয়ে যায়।
অন্যদিকে, পসাডায় নামক শহরে শস্য চুরির তদন্ত করার জন্য জেরাল্টকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জেরাল্ট তদন্তে নামলে জেরাল্টের সাথী হয় জ্যাস্কিয়ার দ্য বার্ড নামের এক গাইয়ে। জেরাল্ট টর্ক নামে এক অর্ধ মানুষ অর্ধ ছাগল সিলভানের মুখোমুখি হয়। মারামারির সময় অজ্ঞাত কেউ জেরাল্টের মাথায় মেরে অচেতন করে দেয়।
জেরাল্টের হুঁশ ফিরলে দেখে তাদের পাহাড়ের গুহায় নিয়ে গিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। যেখানে, জেরাল্টের সাথে দেখা হয় এলফদের রাজা ফিলাভান্ড্রেলের সাথে। ফিলাভান্ড্রেল বলে মানুষের দ্বারা নির্বাসিত হওয়ার পরে তাঁরা এখন গুহাবাসী হয়েছে। সিলভানের কথায় গুরুত্ব দিয়ে ফিলাভ্যান্ড্রেল জেরাল্ট ও জাস্কিয়ারকে মুক্ত করে দেয়।
দূর্গে ইস্ট্রেড ও ইনেফারের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নিজেদের অজান্তেই দুজন একে অপরের উপরে চর বৃত্তি শুরু করে দেয় তারা বুঝতে পারে না টিসিয়া ও স্ট্রেগভার তাদের দুজনকে নিজেদের কার্যসিদ্ধিতে ব্যবহার করছে।
রাতের অন্ধকারে সিনট্রার উদ্বাস্তু শিবিরে নিলফগার্ড বাহিনী হামলা চালালে ফের সেই ছেলেটি ফের সিরিলাকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সকাপে জঙ্গলের মধ্যে ছেলটির মুখোমুখি হলে সিরিলা বুঝতে পারে ছেলেটি একটি এলফ। তারপর দুজনে একসাথে এগিয়ে যায়।
দূর্গে ইনেফার তিসায়ার তিন জাদুবিদ্যার শিক্ষার্থীকে ঈলে পরিণত করে দেওয়া দেখে ফেলে। তিসায়া ইনেফারকে বোঝায়, আরেতুজা দূর্গকে জাদুবিদ্যার শক্তি জোগাতে ইলের প্রয়োজন।
জেরাল্ট চরিত্রে হেনরি ক্যাভিলের অভিনয় দারুন লেগেছে। মধ্যযুগের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সিনেমাটোগ্রাফি খুব ভালো লাগছে। দ্বিতীয় পর্ব দেখতে দেখতে আমি দ্য উইচারের জগতে ঢুকে যাই। জেরাল্ট আবার নতুন এডভেঞ্চার শুরু করে। আর অন্যদিকে রাজ্য থেকে উৎপাটিত হয়ে প্রিন্সেস সিরিলার জীবনে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়েছে।
পরিচালনা | ৯ |
কাহিনী | ৯ |
অভিনয় | ৮ |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এদের সিনেমাট্রোগ্রাফি টা আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। কারণ যেই সময়ের গল্প তারা সে সময়ের একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে স্যুটিং করে এবং সেটা প্রকাশ করে যেটা আমাদের দেশের কাজেও দেখা যায় তবে ততটা ভালো না।
এটা দেখে আমার avatar মুভির কাহিনী টার মনে পড়ে গেল। কাহিনী টা বেশ দারুণ সিরিজ টার। যদিও এখনো আমার দেখা হয় নাই। আপনার রিভিউ থেকে সর্বপ্রথম সিরিজ টার নাম শুনলাম।।
এইটাই। লোকেশন গুলো একদম সঠিক চয়ন করে।
সিরিজটা আমার দারুন লাগছে।