চন্দ্রকেতুগড় সংগ্রহশালা : পর্ব ৪
নমস্কার বন্ধুরা,
চন্দ্রকেতুগড় সংগ্রহশালায় তৃতীয় পর্বে পোড়ামাটির তৈরি মিথুন মূর্তি এবং মনুষ্য মূর্তির কিছু নিদর্শন আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম। নিদর্শন গুলির মধ্যে নারী মূর্তির প্রাধান্য একটা জিনিস খুব পরিষ্কার করে ভারতীয় উপমহাদেশে সেই সময়ে মাতৃ আরাধনা বা দেবী আরাধনা, যা বহু সময় ধরেই চলে আসছে। আজ চন্দ্রকেতুগড়ের আরো কিছু নিদর্শন দেখে নেবো। প্রথমেই দেখবো চন্দ্রকেতুগড়ের ব্যবহৃত কিছু ইট।
সভ্যতার শুরুর সাথে সাথে বাস্তু ও স্থাপত্য নির্মানের জন্য ইঁটের ব্যবহার হয়ে আসছে। মানুষ সভ্যতা পত্তনের শুরু তেই মাটি পুড়িয়ে ইট বানিয়েছে আবার সেই ইট নির্মান কাজে ব্যবহার করেছে। চন্দ্রকেতুগড়েও সেই রীতি দেখা গেছে। গুপ্তযুগের সময় থেকে পোড়া ইটের ব্যবহার বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বহন করে। চন্দ্রকেতুগড়ের আশপাশের বিভিন্ন ছোট গ্রাম থেকে খননকার্যের ইট গুলি পাওয়া গিয়েছে।সেই গুলিই চন্দ্রকেতুগড় সংগ্রহশালায় প্রদর্শিত করা হয়েছে।
ইট গুলির বৈশিষ্ট্য ছিলো তাতে বিভিন্ন আকারে অলংকৃত করা। যা মূলত মন্দির তৈরীর কাজেই ব্যবহার করা হতো। অলঙ্কৃত ঈটগুলি আমাদের সেই সময়ের শিল্পীদের শৈল্পিক সত্তার ধারণা দেয়, যা সত্যিই অবাক করে।
অলংকার হিসেবে পুঁতির ব্যবহার এবং তৈরী দুটোই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে চলে আসছে। বিভিন্ন যুগের প্রায় সব কটি সভ্যতার মধ্যেই পুঁতির পাওয়া গিয়েছে। এমনকি বর্তমান সময়েও পুঁতির জিনিসপত্র মানুষ বহুল পরিমাণে ব্যবহার করে চলে আসছে। পুঁতি যেমন বিভিন্ন রংয়ের হয় তেমনি বিভিন্ন আকার ও আকৃতিরও হয়ে থাকে। বিভিন্ন রং, আকার ও আকৃতির পুঁতি গুলি মানুষকে সবসময়ই আকৃষ্ট করেছে। তাছাড়া আর অলংকারে রংবেরঙের পুঁতির ব্যবহার অলংকারকে অন্য মাত্রা দেয়।
চন্দ্রকেতুগড়ে পাওয়া পুঁতিগুলির অধিকাংশই মৌর্য ও কুষাণ যুগে বানানো হয়েছে। সেই সময়ে পুঁতি বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি করা হতো। তার মধ্যে পাথর, শঙ্খ ও পোড়ামাটি দিয়ে তৈরী বিভিন্ন আকৃতির পুঁতি মূল আকর্ষণ। যা বর্তমানেও দেখতে পাওয়া যায়।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
দাদা যদিও আমি আগের পর্ব গুলো পড়ি নি তাই ওতোটা বুঝবো না ৷ তবে প্রাচীন যুগের ইটের নকশা সত্যি অসাধারণ ৷ চন্দ্রকেতুগড় সংগ্রহশালা আলোকচিত্র গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ আশা করি পরের পর্বের আরো ভালো কিছু দেখতে পাবো ৷
দাদা এই সিরিজের প্রতিটি পর্ব বেশ উপভোগ করছি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে খুব সুন্দর সুন্দর নিদর্শন দেখতে পাচ্ছি। যাইহোক ইটের নকশাগুলো দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম দাদা। তাছাড়া পুঁতি গুলোও বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে। সবমিলিয়ে প্রতিটি ফটোগ্রাফি এক কথায় দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।