আলিপুর চিড়িয়াখানা : পর্ব ৮
নমস্কার বন্ধুরা,
কুমীরের জলাশয়, নামটা অন্যরকম, তাইনা? আমারও তাই মনে হয়েছিল। কুমিরের জন্য জলাশয় বানিয়ে রেখেছে তাও আলিপুর চিড়িয়াখানায়। মনে মনে বেশ অনেকটা কৌতূহল জন্মালো। আগেই তাই বোর্ডটা পড়ে নিলাম কারণ সেটা পড়লেই বুঝতে পেরে যাবো যে এমন নামকরণ কেন হয়েছে। পড়ে যা বুঝলাম তেমন কোনো কোনো কারণ নয় পূর্বে এই কুমিরের জলাশয়ের জায়গাটা সাপেদের জায়গা ছিল কিন্তু পরবর্তী সময়ে সাপেদের জন্য আলাদা সাপ ঘর হয়ে যাওয়ায় এই জায়গাটিকে পরিবর্তন করে কুমিরদেরকে দিয়ে দেওয়া হয়। আর সেটা হয়তো অনেকাংশে ঠিকই হয়েছে কারণ খোলা জায়গায় সাপ কে আটকে রাখার মধ্যে কতটুকু বুদ্ধিমত্তা রয়েছে আমি ঠিক বুঝলাম না। হাঃ হাঃ।
থাক সেসব কথা। চারিদিকে দুপুরের প্রচন্ড রোদ তবে কুমিরের জলাশয়ের পাশে অনেক বড় বড় গাছ থাকায় জায়গাটা অল্পছায়াও আছে। রোদ ছায়া মিলিয়ে এক অদ্ভুত বাতাবরণ তৈরি করেছে। তাই প্রথমে খালি চোখে তাদেরকে দেখতেও পাইনি।
আসলে রোদের তীব্রতা এতটাই ছিল যে হঠাৎ করে গাছগাছালি ছায়া থেকে কুমিরের কাছে এসে চোখে ধাঁধাও লেগে গেছিলো। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেই তাই তাদের দেখা পেলাম। আর একটু অবাক হয়ে গেলাম এতক্ষণ পর্যন্ত সমস্ত প্রাণীরা যেখানে রোগের তীব্র তাপ থেকে গা বাঁচানোর চেষ্টায় ছিল আর এখানে এই মহাশয়রা রোদের মধ্যে বেশি আরাম করে শুয়ে আছেন। তারপর কি মনে পড়লো তাদের রক্ত তো শীতল হয় সেই জন্য তাদের এই রোদ খুব মিষ্টি লাগছে।
যদিও বোর্ডের দেখেছিলাম যে মূলত তিন ধরনের কুমীর এখানে ছিল। ঘড়িয়াল, মিষ্টি জলের কুমীর এবং নোনা জলের কুমীর। ঘড়িয়াল এবং মিষ্টি জলের কুমির গুলোকে রোদের আমেজ নিয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পেলেও নোনা জলের কুমীর আমার চোখে পড়ল না।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
কুমিরের যে এত নাম হয় তা আমার জানা ছিল না। আজ আপনার পোস্ট পড়ে সেটা জানলাম। বাহ্ ঘড়িয়াল, মিষ্টি জলের কুমীর এবং নোনা জলের কুমীর এই তিন প্রজাতির কুমীর আছে সেটা জানতে পেরে ভালোই লাগছে। যে রোদ পড়েছে, তার এর মধ্যে কুমিরগুরো দেখছি শীতের মত রোদ পোহাচ্ছে। বেশ সুন্দর ছিল কুমিড়ের কাহিনী পড়তে।
আপনি আজকে আলিপুরে চিড়িয়াখানায় অষ্টম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে ঠিক বলেছেন কুমিরে জলাশয়ে নামটা অন্যরকম। অনেকটা ভয়েরও বিষয় রয়েছে। চিড়িয়াখানায় অনেকবার এই কুমির দেখেছিলাম ভাই। যদিও আগে সাপের জায়গা ছিল কিন্তু বর্তমানে কুমিরের জায়গা করেছে। চিড়িয়াখানায় কুমিরের সুন্দর কিছু দৃশ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রিয় দাদা, আলিপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণের অষ্টম পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। কুমিরের জলাশয়টি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আর কুমিরের জলাশয় নিয়ে আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা অনেক অসংখ্য ধন্যবাদ।