আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪ : পর্ব ৯
নমস্কার বন্ধুরা,
এ এস বায়াট হলের ভেতরে ফাঁকা থাকলেও স্টল গুলোতে মোটামুটি কম বেশি পাঠকের ভিড় ছিল। সেটা বুঝতে পেরেছিলাম ক্রসওয়ার্ড প্রকাশনীতে গিয়ে। ক্রসওয়ার্ড প্রকাশনী থেকে একটা বই সংগ্রহে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে গেলাম পেঙ্গুইন প্রকাশনীর দিকে, যেটা ছিলো বইমেলার দ্বিতীয় হলে আমার পরের গন্তব্য। পেঙ্গুইন প্রকাশনী অল্পবিস্তর প্রত্যেক মানুষই চেনেন। যারা বিশেষ করে ভারতে ক্লাসিক্যাল ইংরেজি বইপত্র পড়েন বা যারা ইংরেজি বইপত্র নিয়ে অল্প বিস্তর খোঁজ খবর রাখেন। তারা অবশ্যই এই প্রকাশনীর সাথে সুপরিচিত। আমার ইংরেজি বই পড়ার বা ইংরেজি সাহিত্য পড়ার হাতে খড়ি এই পেঙ্গুইন ক্লাসিক বই দিয়েই।
আগে থেকেই মোটামুটি ধারণা ছিল যে পেঙ্গুইনের স্টলে ভালোই ভিড় থাকবে। সেই স্টলে ঢুকে আমার আশঙ্কাটাই প্রমাণ হলো। পেঙ্গুইন প্রকাশনীর স্টলে পাঠক গিজগিজ করছে তবুও কিছু বইপত্র কিনে নিয়ে যাওয়ার আশাতেই আমি আরো ঢুকে পড়লাম। তাদের স্টলে ঢুকে যথারীতি ভিড়ের মধ্যে দিয়েই ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকলাম এবং বইয়ের কালেকশনে নজর ফেরাতে থাকলাম। দাঁড়িয়ে দু দণ্ড দেখবার কোনো সুযোগ নেই। বইপত্রের ভিড়ে হঠাৎ ড্যান ব্রাউনের একটি বই নজরে আসলো, ডিসেপশন পয়েন্ট। টুক করে সেটা কিনে কোনোমতে পেঙ্গুইনের স্টল থেকে বেরিয়ে এলাম।
পেঙ্গুইন স্টল থেকে বেরিয়ে কিছু এগিয়ে যেতে পেলাম একসময়ের নিত্যদিনের সঙ্গী, ট্যাক্সম্যান প্রকাশনীকে। কাজকর্ম যা শেখা তার অনেকটাই তাদের বইপত্র থেকে। আর এটা দেখে ভালো লাগলো যে বই মেলাতে গল্পের বইয়ের সাথে পড়ার বইয়ের জায়গা রয়েছে।
ট্যাক্সম্যান-কে কিছুটা পাশ কাটিয়ে চলে গেলাম স্টারমার্ক প্রকাশনীতে। স্টারমার্ক তুলনামূলক দামি ক্যাটাগরির বই প্রকাশ করে। আসলে তাদের বইয়ের কভারগুলো অত্যন্ত রংবেরঙের হয় এবং তার সাথে বইয়ের পৃষ্ঠার কোয়ালিটি যথেষ্ট ভালো। আর সেই জন্য এরা প্রিমিয়াম দাম রাখে। কিনতে নাই বা পারি ঢুকে দেখতে তো বাঁধা নেই। সেই কথা মাথায় নিয়ে যথারীতি স্টারমার্কে ঢুকে পড়লাম।
তুলনামূলক ভাবে তাদের স্টল অনেকটাই ফাঁকা। মনে হয় দামের জন্যই তাদের দিকে পা বাড়াচ্ছে না। তবে বইপত্র কালেকশন যথেষ্ট ছিল সেগুলো দেখতে দেখতে আমার পছন্দের দুই বই পেয়ে গেলাম, বাটুল দি গ্রেট এবং নন্টে ফন্টে সমগ্র।
বইমেলাতে গিয়ে খুবই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন. আর এই পেঙ্গুইন স্টলে আপনি ভেবেছিলেন অনেকেই মানুষ হবে. ঠিক তাই হলো সেখানে ভিড়ে যেন ঢোকা যাচ্ছে না. তারপরও আপনি বইকেনার উদ্দেশ্যে ঢুকে পড়লেন আর সৌন্দর্যময় এই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো।
বইমেলার মধ্যে এত ভিড় থাকা সত্ত্বেও দাদা আপনি যে পেঙ্গুইন স্টল থেকেড্যান ব্রাউনের ,ডিসেপশন পয়েন্ট এর বই কেনা , স্টারমার্ক স্টল ঘোরা সহ আপনি বইমেলায় যে এত বই কিনতেছেন এবং দেখতেছেন, এটা থেকে স্পষ্ট হয় যে আপনি অবশ্যই বই প্রিয় একজন মানুষ। অবশেষে আমরা বইমেলার নয় তম পর্বে চলে আসলাম। যার মাধ্যমে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার আরও নতুন কিছু চিত্র আমরা উপভোগ করতে পারলাম আপনার মাধ্যমে, তার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই দাদা। অপেক্ষায় থাকলাম আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য।
আসলে বই মেলায় গিয়ে ঘুরে ঘুরে বই কিনতে ভীষণ ভালো লাগে। পেঙ্গুইন প্রকাশনীর স্টলে তো দেখছি প্রচুর ভিড়। এতো ভিড়ের মধ্যে বই দেখতে এবং কিনতে ঝামেলা লাগে। স্টারমার্ক প্রকাশনীর বইয়ের দাম বেশি বলেই, লোকজনের আনাগোনা কম। দাদা এই সিরিজের অন্যান্য পর্ব গুলোর মতো এই পর্বটিও বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।