পুজো পরিক্রমা ২০২৩ : হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব

নমস্কার বন্ধুরা,

ভবানীপুর মুক্তদলের পুজো দেখে এগিয়ে গেলাম হাজরা মোড়ের উদ্দেশ্যে। হাজরা মোড়ের বেশ কয়েকটা পুজো দেখার ইচ্ছে থাকলেও একটি মাত্র প্যান্ডেলেই যেতে পেরেছি সেটা হলো হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটিতে। হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির পুজোর এবারের থিম ছিলো "তিন চাকার গপ্পো" যা মূলত কলকাতায় চলা তিন চাকার অটো নিয়ে। অটো কলকাতা ও কলকাতার শহরতলীর মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছিন্ন অংশ। অলিগলি থেকে বড়ো রাস্তা অটোর দৌড় সর্বত্র। কাছের গন্তব্য হোক বা দূরের কিছু রাস্তায় অটো হয়ে উঠেছে একমাত্র মাধ্যম আর সেটাকেই তুলে ধরেছে হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটি।

হাজরা মোড় থেকে উত্তর কলকাতার বিভিন্ন অংশের অনেকগুলো রুটের অটো চলে। হাজরা পার্ক পুজো কমিটি সেই রুট গুলোর কয়েকটি অটোকে নিয়েই এবার থিম গুছিয়েছে। মণ্ডপের বাইরের অংশটিতে অটোর টায়ার দিয়ে সাজানো রয়েছে। টায়ারের মাঝে মাঝে কলকাতায় চলা অটো গুলোতে লাগিয়ে রাখা বিভিন্ন কথার স্টিকার ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে যেমন, হিংসা নয় চেষ্টা কর, জয় মা কালী, বাবা লোকনাথ। আর প্যান্ডেলে মধ্যে ঢোকার মুখটাতে ছিলো মায়ের আশীর্বাদ।

প্যান্ডেলে ঢুকতেই মনে হবে যেন কোনো আস্ত অটোর ভিতরে ঢুকে পড়েছেন। কলকাতায় চলা অটোর হলুদ সবুজ রঙ দিয়ে মন্ডপের ভেতরের অংশটি গড়ে তোলা হয়েছে। আর বিশেষ নজর কেড়েছে যেমনভাবে অটোতে বিভিন্ন দেবদেবীর ছবি লাগানো থাকে তেমনি এই জায়গাটিতেও বিভিন্ন দেবদেবীর ছবি টাঙ্গানো ছিল, যা সুন্দরভাবে অটোর পরিবেশ ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে।

মূল মণ্ডপে ঢোকার পরেই দেখতে পাওয়া যায় "তিন চাকার গপ্পো" থিমের আসল কাহিনী। তিন চাকা গপ্পো শুধু যে কথার থিম নয় সেটা হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটি বাস্তবের রুটের পাঁচটি অটো দাঁড় করিয়ে রেখে বুঝিয়ে দিয়েছে। মন্ডপের ভেতরের আলোক সজ্জা গুলোও অনেকটা চাকার আদলে তৈরি।

মন্ডপের ঠিক মধ্যিখানে ছিলো স্বয়ং মা দুর্গা এবং তার সন্তানেরা। মা দুর্গা মণ্ডপ থাকা অটোতে বসে আছেন যেটা যথাযথ রূপেই "তিন চাকার গপ্পো"।

---

---

||আমার বাংলা ব্লগ & ডিসকর্ড||

---

Vote bangla.witness