পুজো পরিক্রমা ২০২৩ : শ্রীভূমি স্পোর্টিংয় ক্লাব
নমস্কার বন্ধুরা,
কলকাতায় বসে ডিজনিল্যান্ড। ঠিক শুনছেন, ২০২৩ সালে কলকাতা বসেই বাঙালি পেলো ডিজনিল্যান্ডের স্বাদ। আর তার পুরো কৃতিত্বই শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের। কারণ এবছর তাদের পুজোর থিম ছিলো প্যারিসের ডিজনিল্যান্ড। শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের পুজো নিয়ে প্রতিবছরই প্রচন্ড পরিমাণে উত্তেজনা থাকে তার সাথে থাকে জনজোয়ার। রীতিমতো ৫ ঘন্টা ৬ ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে পুজো দেখতে হয়। আদপে শ্রীভূমি স্পোর্টিং প্রতিবছরই কোনো না কোনো বিশেষ থিম বানিয়ে তাক লাগিয়ে দেয়। বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব তার সাথে তাক লাগানো থিম দুইয়ের মিলে শ্রীভূমি স্পোর্টিং হয়ে ওঠে কলকাতার পুজো গুলোর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় পুজো।
প্যান্ডেলে গিয়ে ঠাকুর দেখা মূলত ষষ্ঠী থেকে শুরু করলেও শ্রীভূমির ভীড়ের কথা মাথায় রেখে চলে গেলাম মহালয়ের বিকেলে। কিন্তু মহালয়াতে গিয়ে যা পরিস্থিতিতে দেখলাম তা সত্যিই অকল্পনীয়। ভিআইপি পাস ছিল বলে খুব সহজেই মন্ডপের কাছে চলে গেলাম বটে তবে মানুষের ভিড়ে দেখে বলাই যেতো না সেদিন সবে মহালয়া।
শ্রীভূমির পুরো থিমটা প্যারিসের ডিজনিল্যান্ডকে ঘিরে বানানো। ডিজনির সমস্ত ধরনের চরিত্রদের অনুরূপ প্যান্ডেলটা সাজানো। আর মূল যে প্যান্ডেলটা বানানো হয়েছে সেটি ছিলো প্যারিস ডিজনিল্যান্ডের স্লিপিং বিউটির দূর্গের আদলে। মায়ের প্রতিমা ছিল পাঁচ চালার।
সন্ধ্যা বাড়তেই ভীড় বাড়তে থাকলো আর লাইটিং এ পুজো মণ্ডপ ঝিলমিলিয়ে উঠলো।
কয়েকদিন আগে ছোট দাদার একটি পোস্টে, শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের ডিজনিল্যান্ড থিমের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেছিলাম। এককথায় দুর্দান্ত লেগেছিল ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। আসলে ডিজনিল্যান্ড থিমটা আসলেই চমৎকার। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও খুব ভালো লাগলো দাদা। এই ধরনের আয়োজন করা মোটেই সহজ নয়। প্রচুর টাকা ব্যয় করতে হয়েছে, সাথে প্রচুর পরিশ্রমও করতে হয়েছে নিশ্চয়ই। যাইহোক পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।