বহুতলের বাৎসরিক সভায়
নমস্কার বন্ধুরা,
বিগত সপ্তাহ গুলো প্রচন্ড চাপের মধ্যে দিয়ে চলেছি। সবদিক সামলাতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। আগে থেকে সব কাজের সিডিউল বানিয়ে চললেও সময়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। হাসপাতাল-বাড়ি-কাজ সবের মধ্যে জীবন দৌড়া দৌড়িতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রবিবার কাজ না থাকায় অল্প ফাঁকা পাওয়া যায়। যদিও দিনের অনেকটা সময় হাসপাতালেই কেটে যায়।
রবিবার বিশেষ ছুটোছুটি না থাকায় বেলা পর্যন্ত ঘুমিয়ে সারাদিন ধীরে সুস্থে কাটে। এই নিয়ম বিগত দুই মাস ধরে চলছে তাই অল্প অভ্যস্ত হয়েই পড়েছি বলা চলে। এই রোববারেও তার বেনিয়ম হয়নি। সকাল ১০ টার দিকে করে ঘুম থেকে উঠে স্লথের গতিতে চলছি ঠিক সেই মুহূর্তে পিসের ফোন এলো, আজকে বিল্ডিংয়ের বাৎসরিক মিটিং। খোলসা করেই বলি, আসলে পিসি যে বিল্ডিংটিতে থাকে তাতে প্রতি বছর এক বার করে মিটিং ডাকা হয়। যেখানে আগামী সময়ে কারা প্রেসিডেন্ট, সভাপতি এবং কোষাধক্ষ্য হবেন সেগুলো নির্ধারণ করা হয়। আমার জানা ছিল যে আজকেই মিটিং আছে তবে আমাকেই যেতে হবে তেমন বিষয় জানা ছিলো না।
দুপুরে অল্প ভাত ঘুম দিয়ে সোজা ছাদে পৌঁছে গেলাম। দেখি ছাদে বেশ কয়েকটা ফাঁকা চেয়ার বসানো আছে তবে জনমানুষ বলতে হাতে গোনা তিনজন। কমিটির একজন বর্তমান আছেন যিনি আমাদের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ। কিছু পরেই বিল্ডিংয়ের বাকি বাসিন্দারাও এলেন, বিকেল ৪ টা নাগাদ এলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও সভাপতি। দুপুর ৩ টে থেকে শুরু হওয়া মিটিংয়ে ৪:০০ টাতে সর্বসাকুল্যে ১০ জন উপস্থিত। উপায় না দেখে বাকিদের আসার অপেক্ষা ছেড়ে মিটিং শুরু হলো।
মানুষ কম তাই বাক বিতণ্ডাহীন ভাবে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা চললো। যার সারবত্তা কিছুই বেরোলো না। যে কারণ নিয়ে মূল মিটিং ডাকা তা হলো নতুন কমিটি তৈরী করা। কেউই দায়িত্ব নিতে রাজি নয় অর্থাৎ পুরাতন কমিটিই বহাল। সাথে আমার নাম জুড়ে দেওয়া হলো, সহ সভাপতি হিসেবে। কিছু সিন্ধান্ত নেওয়া হলো তবে তাতে কিছু লাভ হবে বলে মনে হয় না। কারণ যেসব মালিকরা বিল্ডিংয়েই আর নেই তাদের বাকি থাকা টাকা-পয়সা কিভাবে পুনরুদ্ধার সম্ভব তা বুঝলাম না। কমিটির সামনে কিছু এজেন্ডা লিখে সেগুলো উপস্থিত সবাই সই করে সভার সমাপ্তি টানা হলো। মিটিং শেষে অল্প জলখাবারের ব্যবস্থা ছিলো। যা সাবড়ে দিতেই সভায় সমাপ্তি ঘোষণা হলো।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
এই ধরনের মিটিং গুলোতে এটেন্ড করা খুবই বিরক্তিকর একটি কাজ। মানুষের আগ্রহ অনেক কম থাকে উপস্থিত হওয়ার। মিটিং ডেকে তেমন কোনো লাভও হয় না,শুধুমাত্র এজেন্ডা লিখেই মিটিংয়ের সমাপ্তি করা হয়। যাইহোক একটা পদ কিন্তু পেয়ে গেলেন দাদা। সহ সভাপতির পদ যেহেতু পেয়েছেন, আমাদেরকে কিন্তু মিষ্টি খাওয়াতে ভুলবেন না😂। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
টেবিলে সামনে এমন জলখাবার রেখে এমন কাটখোটটা বিষয়ে মিটিং চালিয়ে যাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য বিষয়! কম মানুষ নিয়ে মিটিং করায় বাক বিতন্ডাও হয়নি তেমন। নতুন কমিটিতে নাম যুক্ত হওয়ায় অভিনন্দন দাদা।