হরি হাজরা পুজোতে
নমস্কার বন্ধুরা,
চৈত্রের গ্রীষ্মের দাবদাহের মধ্যে পিসেমশাইদের গ্রামের বাড়িতে এক বিশেষ পুজো হয়। ভগবান শিবের আরেক রূপ হরি হাজরার পুজো। ছোটবেলা থেকে ইচ্ছে ছিলো একবার অন্তত হরি হাজরার পুজো দেখবো কারণ এই পুজোর কথা সেই ছোটবেলা থেকেই পিসির মুখে শুনে আসাছি কিন্তু কখনো যাওয়ার সময় কিংবা সুযোগ দুটোর মধ্যে কোনটাই হয়নি। সেজন্য যখন এবার ঠিক নববর্ষের প্রাক্কালে হরি হাজরার পুজোর সময় কলকাতায় থাকলাম সেজন্য সুযোগ পেয়ে গেলাম। ভগবান শিবের এক রূপকে হরি হাজরা রূপে পুজো করা হয়। পুজোটা সুন্দরবনের প্রায় বেশিরভাগ ঘরেই হয়ে থাকে তবে সূত্রপাত কোথা থেকে আমার সঠিক জানা নেই । বাংলা নববর্ষের এক কিংবা দুদিন আগে পুজো হয়ে থাকে আর মূলত মাঠের মাঝে এক মন্দির গিয়ে পুজো দিতে হয়।
চৈত্র মাসে যে সময়টায় হরি হাজরা পুজো ছিল সেই সময়ে ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় চারিদিকে রীতিমতো দাউ দাউ করে জ্বলছে তবুও যেহেতু পুজো দেখার সুযোগ আমার কখনো হয়নি সেজন্য সেই গরমের মধ্যেই চলে গেলাম। সকালে বেরোতে একটু দেরি হওয়ার জন্য যখন পৌঁছানো হল ততক্ষণে পুজোর প্রায় অনেকটাই এগিয়ে গেছে। ফলমূল কাটা হয়ে শুধু মন্দিরে যাওয়ার পালা।
হরি হাজরা পুজোর মন্দিরটা একদম মাঠের মধ্যিখানে। একটা বিশেষ ব্যাপার হল হরি হাজরা পুজো যেসব বাড়িতে হয়ে থাকে তাদের সকলের মন্দিরগুলোই হয় মাঠের মাঝে। মাটি ফাটানো রোদ উপেক্ষা করেই মাঠের মাঝে পৌঁছে গেলাম। পুজো হবে বলে আগে থেকেই ত্রিপল টাঙানো ছিল সেই জন্য একটু হলেও ছায়া পাওয়া গেলো।
ধীরে ধীরে পুজো আরম্ভ হতেই এক দুজন করতে করতে প্রায় জনা ত্রিশ মানুষজন সেখানে জড়ো হয়ে গেলো। বেশ অনেকটা সময় ধরে পুজো হলো, যজ্ঞ হল। গরম থাকলেও সবই নির্বিঘ্নে হয়ে গেল। আর তার কারণ মাঠের জোলো হাওয়া। পুজো মিটে যেতেই প্রসাদের পালা। প্রসাদ নানান ফলমূল ও ভেজানো ছোলা। আমি মহানন্দে হরি হাজরার প্রসাদ গ্রহণ করলাম এবং বিকেলের অপেক্ষা করতে থাকলাম।
আদপে বিকেল বেলায় কাছেই ঘাসখালি নামের মেলা রয়েছে সেখানেও যাওয়ার ইচ্ছে।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |