রেসিপি : চার মগজ ও পোস্ত দিয়ে মজাদার মোচার ফুলের বড়া
নমস্কার বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় সকলেই সুস্থ আছেন। আজ আপনাদের সামনে আমি আরো একটি নতুন ও মজাদার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের রেসিপিটি হলো মোচার ফুলের বড়া।
মোচার বড়া নিয়ে অনেকেই সন্দিহান থাকে। বিশেষ করে বাড়ির মা আর কাকিমারা। যদিও কারণটা বেশ সঙ্গত। আসলে মোচা যেমন খেতে ভালো লাগে তেমনি মাঝে মধ্যে মোচা বেশ তেঁতো স্বাদের হয়। শীতের দিন দুপুরবেলার গরম গরম ভাজা ভালোই লাগে তাই বুকে সাহস নিয়ে মোচার ফুলের বড়া গুলো বানিয়ে ফেললাম। আমার ইচ্ছে ছিলো শুধুমাত্র চালের গুঁড়ো দিয়ে, কিন্তু মায়ের কথা মতো চার মগজ এবং পোস্ত বাটা জুড়ে দিলাম। পোস্ত দিলে নাকি বড়ার বেশি মুচমুচে হয়। আর তাই হলো। যাক কথা আর বাড়াবো না তাহলে চলুন মূল রান্নায় যাই।
- মোচার ফুল
- চালের গুঁড়ো
- চাল মগজ
- পোস্ত
- জিরে গুঁড়ো
- হলুদ গুঁড়ো
- নুন
- সর্ষের তেল
ধাপ ১
- রান্না শুরুর আগে চার মগজ ও পোস্ত একসাথে নিয়ে বেটে নেবো।
ধাপ ২
- চার মগজ ও পোস্ত বাটা হয়ে গেলে উনুনে কড়াই চাপিয়ে অল্প গরম করে নেবো। কড়াই গরম হয়ে গেলে অল্প তেল দিয়ে তেল তাতাতে ছেড়ে দিলাম।
ধাপ ৩
- তেল গরম হওয়া কালীন সময়ে জিরে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো ও স্বাদমতো নুন দিয়ে চার মগজ বাটার সাথে ভালোভাবে মেখে নিলাম।
ধাপ ৪
- এরপর চার মগজ বাটার মধ্যে চালের গুঁড়ো সব কিছু একসাথে মিশিয়ে অল্প জল দিয়ে মন্ড মাখিয়ে নিলাম।
ধাপ ৫
- মন্ডের মধ্যে এক এক করে মোচার ফুল গুলো ভালোমতো চুবিয়ে নিয়ে কড়াইতে গরম তেলের মধ্যে দিতে শুরু করবো।
ধাপ ৬
- তারপর মোচার ফুলের বড়া গুলো উল্টে পাল্টে ভালোভাবে ভাজতে থাকবো।
ধাপ ৭
- কিছুক্ষন ভাজার পর বড়া গুলো যখন সোনালী রঙের হয়ে গেলো তখন সব বড়া গুলো একটা পাত্রে নামিয়ে রাখবো। ব্যাস আমাদের মোচার ফুলের বড়া তৈরী।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা চার মগজ টা কি তা আসলে আমি এখনো দেখে ও বুঝতে পারলাম না। তবে যাই হোক আপনি খুব সুন্দর করে মোচার বড়া তৈরি করেছেন। ঠিক বলেছেন দাদা এটা নিয়ে আমরাও কনফিউজড থাকি, মাঝে মাঝে ভালো লেগেলেও, মাঝে মাঝে তেতো লাগে।আপনি খুব সুন্দর করে মুচমুচে মোচার বড়া তৈরি করেছেন। দেখেই জিভে জল চলে এসেছে।পারলে খেয়ে দেখতাম।
চার মগজ টা চিনলাম না দাদা। মোচার এমন রেসিপি খাইনি কখনো।। শুধু ভর্তা খেয়েছিলাম। এর স্বাদ কেমন হবে এটাই ভাবতেছি। একটু ট্রাই করলে বুঝতে পারতাম। যাক শিখে রাখলাম । ভবিষ্যতে কাজে লাগাবো।
দাদা চারমগজ কি জিনিস একটু খুলে বলবেন??
মোচা ফুল চিনলাম আর রেসিপিটাও বেশ লোভনীয় শুধু চার মগজ জিনিসটা সম্পর্কে একটু ধারণা চাই।
এইভাবে তৈরি করা মোচার চপ কোনদিন আমি খাইনি, দাদা। সত্যি কথা বলতে গেলে বাড়িতে মোচার চপ কোনদিন তৈরিই করিনি । বাইরে থেকে অনেক কিনে খেয়েছি কিন্তু তারা অন্য পদ্ধতিতে তৈরি করে। পোস্ত দিলে বড়া বেশি মুচমুচে হয় এটা আমি জানতাম না দাদা। অন্য কোন ফুলের বড়া করার ক্ষেত্রেও পোস্ত ব্যবহার করে দেখব কেমন লাগে।
বাহ! দাদা খুবই চমৎকার একটা রেসিপি শিখে নিলাম আপনার মাধ্যমে। মোচাকে এভাবে পাকোড়ার মতো তৈরি করে খাওয়া যায় জানাই ছিল না বেশ ভালই লাগলো। তবে আপনার মায়ের কথামতো পোস্তবাটা ও চার মগজ দেওয়াতে নিশ্চয়ই অনেক বেশি সুস্বাদু ও মুচমুচে হয়েছে খেতে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে আমাদের মাঝে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দাদা নতুন একটি রেসিপি শিখলাম আজ। বক ফুলের বড়া, কুমড়া ফুলের বড়া খেয়েছি কিন্তু মোচার ফুলের বড়া এই প্রথম দেখলাম। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কালই বাড়িতে খেলাম এই বড়া। ডাল দিয়ে ভাস আর এই বড়া। আর কিছুই লাগে না। আমার মা যদিও চারমগজ পোস্ত দেয় না। বরং কর্ণ ফ্লাওয়ার বা চালের গুঁড়ি দেয়।বেশ মচমচে হয় কিন্তু তাতে। তবে চারমগজ যে কোন খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ করে দেয়।
চার মগজটা কি এটা আমি চিনতে পারলাম না। চিনতে না পারলেও এতটুকু বুঝতে পারলাম যে মোচার ফুল, চালের গুড়া, আর চার মগজের সমন্বয়ে খুব সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
ওয়াও দাদা মোচার ফুল এর বড়া বেশ অনেকগুলো উপকরণ দিয়ে তৈরি করেছেন।বেশ ইউনিক ছিল রেসিপিটি।মোচার ফুল এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি আমার ।দেখে মনে হচ্ছে খেতে সুস্বাদু ছিল। আপনি রান্নার ধাপগুলো বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে বর্ণনা করেছেন।ধন্যবাদ দাদা আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য