এলোমেলো আলোকচিত্র
নমস্কার,
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সকলে ভালো আছেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমিও বেশ ভালো আছি। আজ আপনাদের সামনে অনেকদিন পর একটি ফটোগ্রাফি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম।
আসলে আমার মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় ফটোগ্রাফি নিয়ে ব্লগিং করবো কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠে না। কারণ শুধুমাত্র ফটো গ্রাফি করার তাগিদ নিয়ে কখন ছবি তোলা হয়না। তবে মাঝে মাঝে ছবি তোলার সময় কিছু ভালো ছবি তো উঠেই যায়। আজ সেসব মধ্যের কিছু ছবি নিয়ে আমার এলোমেলো আলোকচিত্র।
বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত হলেও আমাদের দিকে আমরা কলমিলতা ফুল নামেই চিনি। মূলত দুই প্রজাতির কলমিলতার মধ্যে এটি ছোটো মাপের। কলমিলতা গাছ গুলোর বৈশিষ্ট্যই হলো এরা জলের মধ্যে জন্মায়। দেখতে সুন্দর হলেও জলে দাড়িয়ে থেকে ছবি তোলা খুবই মুশকিল। আর সেই ফুল যখন হাতের নাগালে পাওয়া যায় ছবি না তুলে কি শান্তি পাওয়া যায়?
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
মেলায় হরেক রকমের রাইডের মধ্যে ময়ূরপঙ্খী মনো রেল অবশ্যই দেখতে পাওয়া যায়। ৮ থেকে ৮০ সব ধরনের বয়সী মানুষই এই রাইডে চড়ে কি মজা পায় তার কারণটা আমি জানি না, আর জানার দরকারও নেই। মানুষ যদি ছোটো ছোটো খুশিতে শান্তি খুঁজে পায় তাহলে পাক না। আমি দাড়িয়ে সেটাই দেখছিলাম, তখনই মনে হলো রঙিন আলোকে ময়ূরপঙ্খী যেন ট্রান্সসেনডেস।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
অন্য বারের তুলনায় বর্ষা অনেকটা কম হওয়ার কারণে নদী নালা গুলোতে জল খুবই কম পড়ে আছে। আর কয়েকটা দিন মাত্র তারপরে হয়তো বাকি টুকু জলও আর অবশিষ্ট থাকবে না। যেটুকু বাকি আছে তাতেই চলছে মাঝিদের আপ্রাণ চেষ্টা। শেষ টুকু মাছ তুলে নেবার।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
কুয়াশাছন্ন কদিনে চারপাশে শীতের পরিবেশ টা খুব সুন্দর বজায় ছিলো। আর কুয়াশা মানেই তো গাছের পাতার উপর শিশির বিন্দু। সর্ষের গাছ তখন সবে চারা অবস্থায় মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। সেরম একদিন রাত ভোর পর্যন্ত ভয়ানক শিশির পড়লো অনেকটা বৃষ্টির মতো। আর সেই শিশিরে ধুয়ে দিয়ে ছিলো সবকিছু। সর্ষের চারা গাছটাও বাদ পড়েনি।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
ঘাসের মধ্যে অনেক কীট পতঙ্গ যেমন লুকিয়ে থাকে তেমনি কিছু ফুলও তার মধ্যে লুকিয়ে থাকে। সেই ফুল গুলো সচরাচর কখনই আমাদের চোখের সামনে আসে না যদি না আমরা ঘাসের কাছে গিয়ে বসি। আর ইঁট পাথরের দুনিয়ায় তারাও হয়তো সেটাই চায়। মাটির কাছে এসে বসো তাহলেই আমাদের দেখতে পাবে।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
সর্বশেষ হাজির হয়ে পড়লাম, সূর্যাস্ত নিয়ে। তখন টানা বেশ কয়েকদিন একদমই সূর্যের দেখা নেই। মেঘ ও কুয়াশা মিলে পরিবেশ টা কেমন যেন গোমড়া আর তুমুল ঠান্ডা। সন্ধ্যার আগ দিয়ে হাঁটতে বেরিয়ে দেখি মেঘ কুয়াশার ফাঁক দিয়ে সূর্য্য উঁকি মারছে। ব্যাস ঠান্ডার মধ্যেই কাঁপতে কাঁপতে পকেট থেকে ফোন বের করে ছবি তুলে ফেললাম।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
Device: LGE LM-G850
Location: West Bengal, India
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যি দাদা হয়তো ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ফটোগ্রাফি করা হয় না। কিন্তু অনেক সময় সেই ফটোগ্রাফি গুলো থেকে দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করা যায়। কলমি ফুল খুবই সাধারণ ফুল হলেও দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর। আর কুয়াশা ভেজা পাতার সৌন্দর্য দেখতে সত্যি ভালো লাগে। পড়ন্ত বিকেলের অপরূপ সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন দাদা। সবগুলো ফটোগ্রাফি দারুন ছিল।
বিশেষ করে ছোটো কলমি ফুল গুলো। অদ্ভুত সুন্দর লাগে আমার।
দাদা ফটোগ্রাফি করার জন্য ছবি তুলা না হলেই কি মাঝে মাঝে ভালো কিছু দেখলে ফটোগ্রাফি করতে মিস করা হয় না। তবে যাইহোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু চমৎকার হয়েছে। ঠিক বলেছেন ভাইয়া কলমিলতা ফুল জলে জন্মায়, আসলে জলের ভিতর গিয়ে ছবি তুলা মুশকিল। সূর্য মামার দারুণ ছবি তুলে ছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পুকুরের পাড়ে হয়েছিলো বলেই ছবি তুলতে পেরেছি। হাঃ হাঃ
অসাধারণ ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে প্রথম তৃতীয় চতুর্থ এবং পঞ্চম নাম্বার ফটো সবথেকে বেশি ভালো হয়েছে।
অনেক সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি সম্পর্কে ।।
ধন্যবাদ লিটন ভাই ❤️।
বাহ্ বেশ সুন্দর তো। ফটোগ্রাফি করার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও যে সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করা হলো। আর ফটোগ্রাফির ইচ্ছা থাকলে জানি কি হতো। বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। আপনার ঘাস ফুলের ছবি দেখে সেই ছেলেবেলায় চলে গেলাম।
ইচ্ছে থাকলে মাঝে মধ্যে বেরিয়ে গিয়ে ছবি তুলে আসতাম। হাঃ হাঃ
সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পর্ব শেয়ার করেছেন দাদা। প্রথম ফটোগ্রাফিতে থাকা ফুলের ছবিটি বেশ ভালো লেগেছে আর এই ফুলটি আমাদের এলাকায় কলমির ফুল নামে পরিচিত। এই ফুলটি দেখতে কিছুটা মাইকের মত হওয়ায় অনেকে মাইক ফুল ও বলে থাকে। যাই হোক সবশেষে এত সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পর্ব তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কলমি দুই ধরনের কিন্তু। দুটো আলাদা আলাদা দেখতে।
দাদা খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ৷ আসলেই মাঝে মাঝে ছবি তোলার সময় কিছু ভালো ছবি তো উঠেই যায় ৷ আর সেই ভালো ছবি গুলোর সুন্দর একটি অ্যালবাম আপনার দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ প্রতিটি ছবি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে , দারুণ ক্যাপচার করেছেন ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ছবি গুলো শেয়ার করার জন্য ৷
ঠিক বলেছেন। কাঁচা হাতের কাজ আরকি। হাঃ হাঃ
সত্যি দাদা আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে কুয়াশামাখা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে।
তখন যে কি লেভেলের ঠান্ডা ছিলো বলে বোঝানো যাবে না।
দাদা ভাই নমস্কার,
দাদা ফটোগ্রাফ এমন একটি জিনিস যেটা ছেড়ে থাকা যায় না যেটা আমি মনে করি ৷ তবে আপনি যে ফটোগ্রাফি গুলো করছেন ৷ সত্যি বলতে এতো সুন্দর. আর প্রানবন্দর লাগছে যা বলে বোঝাতে পারবো না ৷
আপনি মেলায় গিয়ে ময়ূরপঙ্খী মনো রেল যেখানে ৮ থেকে ৮০ সবাই আনন্দ নেয় ৷ একটা সুন্দর কথা বলছেন কেউ যদি ছোট খাটো খুশিতে ভালো থাকতে তাহলে থাকুক না৷ যা শেষ সূর্যাস্ত বেলে সূর্যের উকি সব মিলে দারুন ছিল ফটোগ্রাফি গুলো ৷
মেলায় গিয়ে সবাই খুব মজা করে। সেটা দেখে খুব ভালো লাগে আমার।
দাদা, এলোমেলো শেয়ার কর ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুন হয়েছে। কলমিলতা ফুল দেখতে বেশ ভালো কিন্তু এর ঘ্রাণ তেমন একটা ভালো না। ময়ূরপঙ্খী মনো রেলে ৮ থেকে ৮০ বছরের সবাই চড়ে থাকলেও আমি কোনদিন চড়িনি। যদিও ইচ্ছা অনেকবার হয়েছে কিন্তু সামান্য একটু রাইট করতে অনেক বেশি টাকা চায় এজন্য আর উঠে দেখার সুযোগ হয়নি ময়ূরপঙ্খী মনো রেলে ।
আমিও চড়িনি ভাই। তবে দূর থেকে দেখতে সেই মজা লাগে আমার। খিক খিক।
দাদা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফিই অনেক সুন্দর হয়েছে। কলমিলতা ফুলটা ধারুন হয়েছে। নদীর ছবিটা,ঘাসের ছবিটা ও সর্বশেস সূর্যদয়ের ছবি গুলো বেশি সুন্দর হয়েছে। মাঝে মাঝে এলোমেলো আকোচিত্র শেয়ার করলে ভালই লাগে। ধন্যবাদ দাদা।
আমি চেষ্টা করছি প্রতি সপ্তাহে একটা করে পোস্ট করার।