আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪ : পর্ব ৩
নমস্কার বন্ধুরা,
বাঙালি সাহিত্য প্রেমী জাতি। আমাদের উপন্যাস ও কবিতা প্রেম সর্বজনবিদিত। আর বই নিয়ে যে ভালোবাসা আমাদের মাঝে রয়েছে সেটা কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলাতে অনেকটা ভালোভাবে বোঝা যায়। বিগত পর্বে আপনাদেরকে দা এশিয়াটিক সোসাইটির কিছু ঝলক দেখিয়েছিলাম আজকের পর্বে দেখাবো কলকাতা এবং বিভিন্ন জেলার নানান ছোটবড় বিভিন্ন প্রকাশনীদের। স্বাধীনতার সমসাময়িক বাংলায় সাহিত্য চর্চা চরম শিখরে পৌঁছেছিল এখন তার মধ্যে অনেক ভাটা পড়েছে। তবুও বাংলা বইয়ের সাথে বাঙালির যেন সম্পর্কটা ভাঙেনি।
দা এশিয়াটিক সোসাইটির স্টল থেকে বেরিয়ে এক নম্বর গেট ধরে সোজা হাটতে শুরু করলাম পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ছোট বড় প্রকাশনীর সামনে দিয়ে। বইমেলায় এক নম্বর গেট জুড়ে শুধুই এইসব ছোট বড় প্রকাশনী গুলির স্টল। বই মেলাতে এই সব স্টল সবচাইতে ভালো সময় কাটায় কারণ তাদের প্রকাশন পাওয়া নানান বইয়ের লেখকরা আসেন। এবং লেখকদের বা লেখিকার কাছ থেকে সই করা বইয়ের এক কপি সংগ্রহ রাখবে বলে পাঠকরাও ভীড় করে এই সমস্ত ছোটখাটো প্রকাশনী গুলিতে।
সেই প্রকাশনীদের মাঝেই এক প্রকাশনী দেখলাম যার নাম কোডেক্স। যদিও প্রাথমিকভাবে নামটা দেখে আমার মনে হয়েছিল তারা হয়তো কম্পিউটারের কোড সংক্রান্ত বই পত্র পাবলিশ করে থাকেন ভেতরে গিয়ে বুঝলাম তারা আদবে সব বিষয়ের উপরেই বই প্রকাশ করে থাকে। এবং বইগুলো সবই খুব স্বল্পমূল্যের। যদিও স্বল্পমূল্যের বই হলেও কোডেক্সের স্টল ফাঁকাই ছিলো।
কোডেক্স স্টলের কিছু পাশেই পেলাম বঙ্গ সাহিত্য কুঠির প্রকাশনী। যাতে পাঠকে ভরপুর থাকার কারণে ঢুকতেই পারলাম না। এছাড়াও পুরো লাইন জুড়ে ছিলো কলকাতার আরো বেশ কিছু ছোট বড় প্রকাশনী। এর মধ্যে কিছু প্রকাশনীতে যেমন খুব ভিড় ছিল আবার কিছু প্রকাশনীতে একটাও পাঠকের দেখা নেই। বইমেলাটা আদবে এমনিই। কেউ অনেক কিছু পায় আবার কেউ কিছুই পায় না।
দাদা দ্যা এশিয়াটিক সোসাইটির স্টল থেকে বের হয়ে তো ছোট ছোট অনেকগুলো স্টল দেখেছেন। আসলে বই কেনার আগে ভালোভাবে দেখেশুনে কিনতে পারলে খুব ভালো হয়। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।