রেস্টুরেন্ট রিভিউ : দাদা-বৌদির মাটন বিরিয়ানি // ১০% লাজুক 🦊-কে
নমস্কার,
ব্যারাকপুর ঘুরতে যাবো আর দাদা-বৌদিতে বিরিয়ানি খাবোনা তাই কখন হয়। কলকাতা ও কলকাতা পার্শ্ববর্তী জায়গা গুলির মধ্যে অন্যতম সেরা বিরিয়ানি বলতে গেলে দাদা বৌদির বিরিয়ানির নাম প্রথমেই উঠে আসবে। অতীতে আমি দুবার দাদা-বৌদিতে বিরিয়ানি খেয়ে গেছি, আজকে নিয়ে আমার তৃতীয়বার ছিলো। ব্যারাকপুর স্টেশনের গায়ে শুরু হওয়া ছোট্ট দাদা বৌদি হোটেল আজ স্টেশন সংলগ্ন জায়গাতেই দু খানা রেস্টুরেন্ট খুলে ফেলেছে। কিন্তু রেস্টুরেন্ট খুললে কি হবে, ঝাঁ চকচকে রেস্টুরেন্ট থাকার পাশাপাশি দাদা-বৌদির পুরনো সেই হোটেলটি বহাল তবিয়তে চলছে। রীতিমতো লাইনে দাঁড়িয়ে সেখানে খেতে হয়, আরেকদিন আসলে না হয় সেখানেই যাবো। আজকে চলুন রেস্টুরেন্ট থেকে ঘুরে আসি।
কলকাতার বিরিয়ানির বৈশিষ্ট্য হলো বিরিয়ানির আলু আর হালকা মশলা। দুইয়ের মিশেলে হয় ভারতের সবচাইতে সেরা দম বিরিয়ানি। দাদা-বৌদির বিরিয়ানির মধ্যে আলু, হালকা মশলার সাথে আরেকটি জিনিস পাওয়া যায় তা বিশাল সাইজের মাংসের টুকরো।
অতীতে আমি দাদা বৌদির রেস্টুরেন্টটিতে খেয়েছিলাম তবে আজ নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম যখন রেস্টুরেন্টের খোলা ছাদে আকাশের নীচে বিরিয়ানি খেলাম। আমার কাছে অবশ্যই নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা। যাক কথা আর বাড়াবো না সোজা খাবারের দিকে চলে যাই।
প্রথমে স্টার্টার হিসেবে তন্দুরি চিকেন দিয়ে শুরু হলো। সুগন্ধি ম্যারিনেশন আর হাড় পর্যন্ত মাংস পুড়ে যেন আলাদাই স্বাদ। কলকাতায় নানা জায়গায় তন্দুরি চিকেন খেয়েছি, সেখানে অনেক সময় হাড়ের দিকটায় লাল হয়ে থাকে, যেটা দাদা বৌদির তন্দুরি চিকেনে মোটেই ছিলো না।
স্টার্টার শেষ করতেই চলে আসলো মাটন বিরিয়ানি ও চিকেন কষা। ছোট্ট স্টিলের হাড়ি থেকে বের করে প্লেটে বিরিয়ানি সাজিয়ে দিতেই মশলার গন্ধে চারিদিকটা ম ম করতে শুরু করলো। প্লেটে বিরিয়ানির সাথে পেলাম আধখানা আলু আর প্রমাণ সাইজের মাটনের টুকরো। বিরিয়ানিতে মশলার সাথে তেল ছিলো পরিমিত, মোটেই তেল চপচপ করছিলো না। আবার বিরিয়ানি শুকনোও ছিলোনা, একদম পারফেক্ট। বিশাল মাপের মাংসের টুকরো হলেও মাংস ছিলো সুসিদ্ধ ও মশলায় ভরপুর। আলু নিয়ে কোনো কথা বলবো না, সবসময়ই অসাধারণ।
গোগ্রাসে বিরিয়ানি শেষ করে খেয়াল হলো চিকেন কষার দিকে। বিরিয়ানিতে অল্প চিকেন কষা ঢেলে নিলাম। বেশ ভালো ছিলো কিন্তু বিরিয়ানির সাথে সত্যিই প্রয়োজন ছিলো না। আসলেই বিরিয়ানিটা এতোটা ভালো।
বিরিয়ানি, চিকেন কষা, চিকেন তন্দুরি আর কিছু ভালো মুহূর্তের মধ্যে দিয়ে খুব সুন্দর কাটালাম সন্ধ্যেটা।
যেভাবে আসবেন: দাদা বৌদি রেস্টুরেন্ট
শিয়ালদহ স্টেশন থেকে মেইন লাইনের ব্যারাকপুরগামী ট্রেনে উঠে সোজা ব্যারাকপুর স্টেশন। স্টেশনে নামার যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই গন্তব্যের সূলুক সন্ধান পেয়ে যাবেন। যারা নতুন আসবেন তাদের জন্য বলবো দাদা বৌদির হোটেলের পরিবর্তে রেস্টুরেন্ট গুলিতে যাবেন। হোটেলে ঝটপট খেয়ে বেরিয়ে আসতে হবে সেখানে রেস্টুরেন্টে দুদন্ড বসে বিরিয়ানির আমেজ নেওয়ার সুযোগ পাওয়া পাবেন।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনি তো দাদা খুবই লোভনীয় খাবারের রিভিউ দিয়েছেন। আসলে বিরিয়ানি তো আমার এমনিতেই অনেক পছন্দের। আজকে আপনাদের দাদা বৌদির বিরিয়ানি দেখে তো লোভ সামলানো অসম্ভব হয়ে পরেছে। ধন্যবাদ
দাদা বৌদির বিরিয়ানি সেই খেতে।
ও দাদা দেখালেন কী😳☺। তন্দুরি চিকেন এর নাই বা বললাম বিরিয়ানি টা দেখে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছি না। দাদা বৌদির বিরিয়ানি রেস্টুরেন্টর নামটা বেশ ইন্টারেস্টিং। এবং আলোকসজ্জা দেখে বেশ লাগছে রেস্টুরেন্ট টা। যাই বলেন সত্যি বিরিয়ানি টার স্পেশাল কিছু আছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।।
হাঃ হাঃ! উপবাসের মাস শেষ হলেই ছুটে চলে যাবেন।
দাদা বৌদির বিরিয়ানি দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল। আমাদের এই দিকে বিরিয়ানি মানে শুধুই বিরিয়ানি। এর আগে স্টাটার হিসেবে চিকেন তন্দুরি বা সঙ্গে চিকেন কষা কোনটাই থাকেনা। খাবারটা দেখতে সত্যিই অনেক আকর্ষণীয় ছিল। দামটা জানতে ইচ্ছে করছে।
আমাদের এখানেও থাকেনা, স্টার্টার হিসেবে সাথে অর্ডার করা হয়েছিলো।
আসলে দাদা বৌদি শুনলে আমার আবার আমাদের দাদা বৌদির কথা মনে পড়ে ☺️☺️দারুন ছিল আপনি খুব সুন্দর ভাবে রিভিউ দিয়েছেন এবং ওখানকার পরিবেশ আমার বেশ ভাল লাগল। খাবারের মান ও বেশি ভালো লাগলো
তা ঠিকই বলেছেন। দাদা বৌদি বলতে rme দা আর তনুজা দির কথা মনে আসে। তনুজা দি তো দারুন রান্না করেনই সাথে দাদাও শিখছেন।
আপনার এই পোস্টে সব লোভনীয় খাবারে ভরপুর। যাই বলেন আমার কাছে গ্রোগ্রাসের বিরানি সবচেয়ে বেশি লোভনীয় মনে হয়েছে। এরকম রেসিপি দেখে যেন তর সইছে না 😋
রেসিপি নয় তো
বিরিয়ানি খাবার টা অনেক মজাদার ছিল সেটা বোঝাতে চেয়েছি দাদা।
দাদা টাইটেল দেখে আমি আমাদের দাদা বৌদির কথা ভেবেছি ।😧তারা হয়তো আপনাকে বিরিয়ানি খাওয়াইছে😏। কিন্তু পরে দেখলাম এটি একটি রেস্টুরেন্টের নাম। বাসমতি চালের বিরিয়ানি আমার তো অসাধারণ লাগে। রেস্টুরেন্টের পারিপার্শ্বিক সৌন্দর্য অসাধারণ। এই রেষ্টুরেন্টে আপনি নিঃসন্দেহে দারুন একটি সময় উপভোগ করেছেন। এত সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হাঃ হাঃ! রেস্টুরেন্ট আর খাবার বেশ ভালো ছিলো দিদি।
খাবার গুলোর ছবি দেখেই তো ভীষণ লোভ লাগছে দাদা। নামটাও খুব সুন্দর দাদা বৌদির মাটন বিরিয়ানি। কি লোভনীয় খাবারের ছবি। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু। ধন্যবাদ
দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টের নাম, সেখানের মাটন বিরিয়ানি।
খেতে খুব ভালো।
রেস্টুরেন্টের নাম অনেক ভাল লেগেছে।আর রেস্টুরেন্ট এর ভিতরের পরিবেশ অনেক সুন্দর। বিশেষ করে খোলা আকাশের নিচে এত সুন্দর পরিবেশের মধ্যে খাওয়া-দাওয়া। খাবারগুলো ছিল অনেক সুস্বাদু। সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন দাদা। শুভ কামনা রইল।
সবমিলিয়ে বেশ ভালো অনুভূতি ছিলো।
সব বাদ দিয়ে আমার জন্যে শুধু বিরিয়ানী গুলো পাঠিয়ে দিলেই হতো।🤪🤪আমি অনেক শুনেছি এই জায়গাটির নাম।
চিন্তা করলাম যদি পার্সেল করি তাহলে যেতে যেতে খারাপ হয়ে যেতে পারে তাই নিজের পেটেই পাঠিয়ে দিলাম। খিক খিক
বিরিয়ানি দেখে কারও মনে খাওয়ার স্বাদা জাগে না এমন ব্যক্তি হয়তো বা খুঁজে পাওয়া যাবেনা। আর দাদা যে বৌদির রেষ্টুরেন্ট বিরিয়ানির ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তার ছবি দেখে এখন আর তর চইছে না আমার দাদা মন চায় এখন বিরিয়ানি কিনে এনে খাওয়া শুরূ করি।
ইচ্ছে করলেই চলে যাবেন, আশেপাশের কোনো দোকানে।