কবিতা : ‘খেটে খাওয়া মানুষের গান’ - ফ্যান্টম | আবৃত্তিতে : নির্মাল্য
নমস্কার,
বন্ধুরা আপনারা কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় সকলে ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদ ও ভালোবাসায় আমি ভালো আছি।
আজ বহুদিন পরে আপনাদের সামনে আমি আরো একটি নতুন কবিতা আবৃত্তি নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজ আমি আমাদের প্রিয় ফ্যান্টম দার খেটে খাওয়া মানুষের গান কবিতাটি আবৃত্তি রূপে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো। আবৃত্তি সিরিজের এটি আমার চব্বিশ তম উপস্থাপনা। কবিতা নিয়ে বিস্তারিত মতামত অভিমত পর্যায়ে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন শুরু করে যাক।
পথ ভোলা কিছু মানুষের ভিড়
অন্ধকার আর অবিশ্বাসের আধিক্যে
তাদের জীবন ভেসে যায়
অসময়ের বীভৎস বন্যার জলে।
ওরা মাঠ খোঁজে ভীষণ রোদে
গায়ে উত্তাপ জড়িয়ে সারাদিন,
ওরাও চায় স্নিগ্ধ হাওয়া
আর একটু বিশ্বাসের শীতল পরশ।
অনেক রাত পেরিয়ে এই ভোরে
ওরা জেগে উঠেছে নতুন গাঁয়ে
উদ্যম আর মনের জোর নিয়ে,
ওদের মাঠ ভরবে সোনার ফসলে।
একদিন বিকেল বেলা গাছের ছায়ায়
আত্ম সমর্পণ করবে ওরা নির্দ্বিধায়,
নেতৃত্ব তুলে দেবে সর্ব কনিষ্ঠের কাঁধে,
বিদায় এক নতুন ভোরের আবির্ভাবে।
'খেটে খাওয়া মানুষের গান' কবিতাটিতে আমাদের সমাজের এক বিশাল অংশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কাঠিন্যতা তুলে ধরা হয়েছে। কবিতায় মাধ্যমে কবি আমাদের দেশের কৃষকদের জীবনের বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। তিনি আমাদের অন্নদাতাদের বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের দিক আমাদের সামনে তুলে ধরার প্রচেষ্টা করেছেন।
কবিতার শিরোনাম কবিতার ভাবার্থের সাথে সমার্থক। নিরন্তর পরিশ্রম করে আমাদের যারা দুবেলা দুমুঠো খাবার জুটিয়ে দেন তাদের কষ্টের কথা কবিতায় ফুটে উঠেছে। আমরা যারা বাড়ির ছাদের তলায় নিশ্চিন্তে থাকি তারা সেই রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে আমাদের জন্য কাজ করে চলা মানুষগুলোর পরিশ্রম বুঝতেও পারি না। তারা পেটের তাড়নায় বছরের পর বছর কিভাবে কাজ করে চলেছেন। কৃষকের অসহায় দিকটা কবি ফুটিয়ে তুলেছেন যেখানে তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম অক্লান্ত কাজ করে উপেক্ষিত হয়ে চলেছে।
কবিতায় কৃষকদের সংগ্রামের কথা। তাদের প্রতিনিয়ত পরিশ্রমের কথা। দুবেলা অন্ন সংগ্রহের কষ্টের কথা কবিতার অক্ষরে অক্ষরে ফুটে উঠেছে। কবি আরো লিখেছেন যে তাদের কষ্ট থাকা সত্ত্বেও এই মানুষগুলো কিভাবে যুগের পর যুগ মাঠে সোনার ফসল উৎপন্ন করে চলেছেন। আর সেটাকেই কবি কুর্নিশ জানিয়েছেন।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এর আগেও আপনার কন্ঠে আবৃত্তি করা কবিতা শুনেছি আপনি অনেক সুন্দর কবিতা আবৃত্তি করেন।।
দাদার লেখা খেটে খাওয়া মানুষের গান কবিতাটি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আবৃত্তি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন খুবই ভালো লাগলো।।
এক কথায় বলা যায় আপনার কবিতা আবৃত্তির স্কিলটাই মধুময়।।
দাদা আপনার কবিতা আবৃতি সবসময়ই আমাদের কাছে অনেক ভালো লাগে এই কবিতাটিও ব্যতিক্রম নয়। খেটে খাওয়া মানুষের কবিতাটি আপনি অসাধারণভাবে আবৃতি করেছেন। এই কবিতাটিতে যারা আমাদের মুখের ভাত যোগায় তাদের কথা অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম তাদের কত আত্মত্যাগের ফলেই আমরা দু মুঠো খাবার পায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
শব্দ উচ্চারণ বেশ পরিস্কার ছিল, শুনে ভালো লাগলো আবৃত্তি।
দাদা আপনার কন্ঠে আবৃত্ত কবিতা এর আগে শুনেছি কিনা আমার মনে নেই, তবে আজকের কবিতাটি অনেক সুন্দর হয়েছে।সত্যি আমরা ঘরে বসে থাকি আর কৃষকেরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আমাদের জন্য ফসল ফলায়। তাই আমাদের সবারই উচিত কৃষকের শ্রমের মর্যদা দেওয়া।
আমাদের সকলের প্রিয় দাদার লিখা কবিতাটি আপনি এত সুন্দর ভাবে আবৃত্ত করেছেন শুনে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যি দাদা আপনার কবিতা আবৃত্তি অনেক ভালো লেগেছে। এর আগেও আপনার কবিত আবৃত্তি শুনেছি। আজকে এই কবিতা আবৃতি শুনে ভীষণ ভালো লেগেছে দাদা। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বড় দাদার লেখা খেটে খাওয়া মানুষের গান কবিতা টি বেশ সুন্দর করে আবৃত্তি করেছেন দাদা ৷ আসলে তো যদি এ কৃষক সোনার ফসল না ফলাতো তবে কি হতো ৷ যারা রোদ নেই বৃষ্টি নেই নিজের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সোনার ফসল ফলাচ্ছে ৷ যা খেয়ে আমরা বেচেঁ আছি ৷ দিনশেষে তারপরও তাদের ন্যায্য পাওয়ানা বঞ্চিত৷ যা হোক সুন্দর ছিল আবৃত্তি টা ৷
বাহ্ সুন্দর আবৃত্তি করেন তো দাদা। আপনি যে এত সুন্দর আবৃত্তি করেন তা তো জানা ছিল না। @rmeদাদার লেখা খেটে খাওয়া মানুষের গান কবিতাটি এত সুন্দর করে আবৃত্তি করে আমাদের মুগ্ধ করে দিলেন দাদা। শব্দ বা উচ্চরণ যাই বলি না কেন বেশ সুন্দর ছিল।
বাহ্ দাদা আপনি তো খুবই সুন্দর কবিতা আবৃত্তি পাঠ করেন। অবশ্য হ্যাংআউট এ একদিন শুনেছিলাম আপনার কবিতা আবৃত্তি পাঠ, সেদিনও অনেক সুন্দর কবিতা আবৃত্তি পাঠ করেছিলেন আপনি।ফ্যান্টম দাদার "খেটে খাওয়া মানুষের গান" কবিতাটি অসম্ভব সুন্দর। এর মধ্যে দিয়ে প্রতিদিনের খেটে খাওয়া মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম ফুটে উঠেছে। সত্যিই তাদের কুর্নিশ জানানো উচিত,এতো কষ্টের পড়েও তারা আমাদের জন্যে সোনালী ফসলে মাঠ ভরিয়ে তুলছেন।
সত্যি দাদা আপনি এত মিষ্টি কন্ঠে এবং আস্তে আস্তে কবিতা আবৃত্তি করেন যেটা শুনে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়ে যায়।খেটে খাওয়া মানুষের গান-কবিতাটি আপনি অতি চমৎকার ভাবে আবৃত্তি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অনেক সুন্দর একটি কবিতা আবৃত্তি করে আমার সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য।