আলিপুর চিড়িয়াখানা : পর্ব ৪
নমস্কার বন্ধুরা,
হাতি দেখার সৌভাগ্য অর্জন করে সামনে এগিয়ে যেতেই ছোট ছোট অনেক গুলো খাচা নজরে এলো। খাঁচা দেখা মাত্রই কাছাকাছি এগিয়ে গেলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বেশিরভাগ খাঁচাগুলো ফাঁকা। সেই দেখেই এগিয়ে চললাম, পাশাপাশি কয়েকটা খাঁচার পেরিয়ে যেতে আমার বুঝতে দেরি হলো না যে বহুদিন থেকেই খাচা গুলোতে কোনো কিছুই নেই। খাঁচাগুলো মূলত বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের জন্য বরাদ্দ ছিলো এখন সেসবের কিছুই বেঁচে নেই হয়তো। পরিচর্যার অভাব বলেই আমার মনে হলো। হাঁটতে হাঁটতে অবশেষে তিনটে প্রজাতির পাখি দেখতে পেলাম। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রজাতি তিতির রয়েছে তার বিশেষ কয়েক প্রজাতিকে কলকাতা চিড়িয়াখানাতে রাখা হয়েছে । রোদের তাপে পাখিগুলো লুকিয়েই ছিলো সেজন্য ছবি তুলতে যথেষ্ট পরিশ্রমই করতে হলো।
পরিশ্রম বলছি, তার কারণ হলো প্রথমত রোদের মধ্যে বেশ খানিকক্ষণ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের একদম সামনের দিকে আসার জন্য অপেক্ষা করা আর দ্বিতীয় বিষয়টা ছিল তাদের হাত স্থির করে খুব সাবধানে ক্যামেরা জুম করে ছবি তোলা। দুই জিনিস মাথায় রেখে ছবি তুলতে আমাকে যথেষ্ট খাটনি করতে হল। অনেক খাটাখাটনির পরে শেষ পর্যন্ত পাখির ছবি তুলতে পেরেছি। দুই প্রজাতির তিতির এবং একটি ময়ূরের বাচ্চা। যেটা এতই ছটফটে তার ছবি তুলতে রীতিমতো কাল ঘাম ছুটে গেছে।
প্রথম প্রজাতির যে পাখিটা দেখলাম তার নাম ছিল কালিজ। হিমালয়ের পাদদেশের মূলত এদেরকে পাওয়া যায়। অনেকে এদের দেখে প্রথমে দেশি মুরগি ভেবে ভুল করতে পারেন তবে এরা হলো গিয়ে প্রচন্ডই লাজুক।
এরপর মাঝের খাঁচাতিতে ছিলো একখানি বড্ড চঞ্চল ময়ূর। সেটার ছবি তোলার জন্য আমাকে প্রায় পাঁচ সাত মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হলো, তবুও যে ময়ূরের বাচ্চা এতো কাছ থেকে দেখতে পাবো সেটাতেই আনন্দ কম কিসের। সে শুধু একবার ছুটে আসে আর ফের ছুটে ফিরে যায়। তার মাঝে ছবি তোলা প্রায় দায় হয়ে গেছিলো তবুও ঠিক একটা সময় করে ছবি তুলে ফেললাম।
তারপর চলে গেলাম সবচেয়ে কোনার যে পাখিটি ছিল তাকে দেখতে। সেটা চাইনি সিলভার প্রজাতির তিতির। যেমন তার নাম তেমন তাকে দেখতে। পুরো ধবধবে রঙের পাখি। রোদের আলো পড়লে সিলভার কালারই লাগচর। চীনের দক্ষিণাঞ্চে পাওয়া যাওয়া এই প্রজাতির পাখিটিকে ছবিতে দেখতে যতটা সুন্দর খাঁচার ভিতর ততটাই ভালো লাগলো না। কারণ সঠিক পরিচর্যার অভাব। দেখে মনটা অল্প ভার হয়ে গেলো।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
প্রিয় দাদা, হাতি দেখার পরে ছোট ছোট খাঁচায় আপনার পাখি দেখার মুহূর্তটা নিশ্চয়ই কিছুটা হলেও আনন্দের ছিল। যদিও খাঁচায় খুব বেশি পাখি ছিল না। তবে এরকম বিভিন্ন প্রজাতির পাখিগুলো সৌন্দর্য দেখতে বেশ ভালো লাগে। আলিপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণের চতুর্থ পর্বটি সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।