রেসিপি : মিষ্টি ধুন্দলের চাপড় ঘন্ট
নমস্কার বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলেই সুস্থ। আজ আপনাদের সাথে আরো একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। আজকের রেসিপিটি হলো ধুন্দলের চাপড় ঘন্ট।
ধুন্দল অনেক জায়গায় অনেক নামে পরিচিত। গ্রাম্য ভাষায় অনেকে ছোবড়া বলে, আর ভালো নামে আমরা ধুন্দল বলি। ধুন্দল দু ধরনের, মিষ্টি ও তেতো। আজকে আমি মিষ্টি ধুন্দল নিয়েই রান্না করেছি। কচি ধুন্দলের ভেতরে অল্প ছিবড়ে ছিবড়ে থাকে তাই ধুন্দল কাটার সময় ভেতরটা পুরোপুরি পরিষ্কার করে দিয়েই রান্নাটা করতে হলো। যাক কথা আর বাড়াবো না সোজা চলে যাবো মূল রান্নায়।
- ধুন্দল
- মটর ডাল
- গোটা জিরে
- শুকনো লঙ্কা
- তেজপাতা
- হলুদ গুঁড়ো
- জিরে গুঁড়ো
- লঙ্কা গুঁড়ো
- নুন
- তেল
ধাপ ১
- কড়াই চাপিয়ে তাতে অল্প তেল গরম হতে দিলাম। তেল গরম হয়ে যাওয়ার পর সিদ্ধ করে রাখা মটর ডালের পেস্ট কড়াইতে দিয়ে ভাজতে শুরু করে দিলাম।
ধাপ ২
- ডাল ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে রাখলাম।
ধাপ ৩
- কড়াইতে আবার কিছুটা তেল দিলাম তারপর গোটা জিরে, তেজপাতা ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে নিলাম। এরপর কেটে রাখা ধুন্দল দিয়ে স্বাদমতো নুন দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিলাম।
ধাপ ৪
- ধুন্দল অল্প নাড়াচাড়া করে পরিমাণ মতো হলুদ, জিরে গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মসলা গুলো দিয়ে একটা পাত্র দিয়ে ঢেকে দেবো।
ধাপ ৫
- কিছুক্ষণ পরে পাত্র সরিয়ে দিলে ধুন্দল জল ছেড়ে দিয়েছে।
ধাপ ৬
- নাড়াচাড়া করতে করতে ধুন্দলের জল শুকিয়ে নেবো।
ধাপ ৭
- জল শুকিয়ে যাওয়ার পর ধুন্দলের মধ্যে আগে থেকে ভেজে রাখা ডাল দিয়ে ভালোমতো নাড়াচাড়া করতে থাকবো।
ধাপ ৮
- কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করতেই ধুন্দলের চাপড় ঘন্ট তৈরী।
||আমার বাংলা ব্লগ & ডিসকর্ড||
Support @heroism by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ধুন্দুলের যে কোন খাবার খেতে আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লাগে ।আপনি খুবই সুন্দরভাবে ঘন্ট আমাদের মাঝে তৈরি করে উপস্থাপন করেছেন। রেসিপিটি দেখছো খুবই লোভনীয় লাগছে ।খেতেও অনেক সুস্বাদু হবে আশা করি।
বেশ অদ্ভুত তো নামটি?
প্রথমে দেখে ভেবেছিলাম এটি হয়তো করলা টাইপ এর কিছু হবে পরে দেখি অন্য কিছু।তবে জা8হোক রেসিপিটি ভালো ছিল,সাথে আপনার উপস্থাপনাও।
রেসিপির নামটি শুনে খুব অবাক হলাম । আর রেসিপিটিও নতুন । ভাল লাগলো । ধন্যবাদ ভাইয়া ।
আসলে ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন আপনার টাইটেলে নামটি দেখে আমি প্রথমে চিনতে পেরেছিলাম না পরে আপনার পোস্ট পড়তে গিয়ে বুঝতে পারলাম আসলে আমাদের গ্রাম্য ভাষায় এটিকে ছোবড়া বলা হয়। এত সুন্দর সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
দাদা ভাই, আপনার রেসিপিটি আমার কাছে একবারেই ইউনিক, অদ্ভুত একটি রেসিপি ভাইয়া, এর আগে কখনো মিষ্টি ধুন্দলের চাপড় ঘন্ট রেসিপি খাওয়া এবং দেখা হয়নি, তবে আপনার রেসিপি দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার হবে, বাসায় অবশ্যই একদিন ট্রাই করবো ভাইয়া, আর নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে খুবই আনন্দ, আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা এবং শুভকামনা রইলো দাদা ভাই।
মনে হচ্ছে যে দারুণ মজার রেসিপি হবে দাদা। তবে এই মিষ্টি ধুন্দলের চাপড় ঘণ্ড কখনোই খাওয়া হয়নি। আর আমাদের এখানেও ধুন্দল বলে এটাকে আপনার রেসিপিটি দেখেই লোভ লেগে গেলো। আর খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে ধন্যবাদ আপনাকে এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
খুবই সুস্বাদু এবং লোভনীয় একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন এ ধরনের রেসিপি আমারও খুব ফেভারিট বিশেষ করে রুটি অথবা পরোটা দিয়ে খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে
খুবই চমৎকার একটা মিষ্টি ধুন্দলের রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা।
আসলে এর আগে আমি অনেকবার ধুন্দলের রেসিপি খেয়েছি কিন্তু এইভাবে খাওয়া হয়নি। প্রত্যেকটি ধাপে ধাপে আজকে আপনি আমাদেরকে দেখিয়েছেন কিভাবে এমন চমৎকার রেসিপি তৈরি করতে হয়।
দাদা আমার কাছে তো রেসিপির নামটি বেশ আকর্ষণীয় লেগেছে। আগে কখনোই ধুন্দুল এভাবে খেয়ে দেখিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এভাবে খেয়ে দেখতে হবে কারণ রেসিপিটি অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে আমার কাছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা এত ইউনিক এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য । অনেক ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
মিষ্টি ধুন্দলের চাপড় ঘন্ট পৃথিবীটা এর আগে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি তাই এটি আমার কাছে একদম ইউনিক রেসিপি বলে মনে হয়েছে। তবে এই রেসিপি ছবি দেখে তো বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই খেতে অনেক মজা হয়েছিল। এমন মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।