আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৩ (পর্ব ৯) - বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন
নমস্কার বন্ধুরা,
স্পেনের স্টল থেকে বেরিয়ে আমি পৌঁছে গেলাম বইমেলার একদম মধ্যেখানে। যেখানে বইমেলায় খাবারের স্টল এবং বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন। প্রতিবছর বইমেলায় বাংলাদেশের বেশ বড়সড়ো করেই প্যাভিলিয়ন করা হয় এবারও তার ভিন্নতা হয়নি। যদিও আমি প্রথমে দিক ভুল করে খাবারের অংশটাতেই চলে যাচ্ছিলাম কিন্তু তারপর মনে হলো যে বিকেল পেরিয়ে বেলা সন্ধ্যার দিকে গড়াচ্ছে ঝটপট বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নটা ঘুরে নিই। সেই মনে করে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের গেটের মুখে হাঁটা দিলাম।
ওমা! গেটে সেকি লাইন। প্রচুর ভিড় দেখে আমি একটু হক চকিয়ে গেছিলাম। ভীড় দেখে মনে মনে স্থির করলাম ভিড়ের মধ্যে না ঢুকে আমি বইমেলায় পরবর্তী অংশ এগিয়ে যাবো। সেই সময় লক্ষ্য করলাম ভিড় টা আসলে বাংলাদেশ প্যাভেলিয়ানে ঢোকার জন্য না। প্যাভেলিয়ানের পাশে একটা টেবিলে এক মানুষকে ঘিরে মানুষজনের উৎসুকতা, তার কাছে যাওয়ার জন্যই মানুষজন বইপত্র নিয়ে লাইন করে সারিসারি দাড়িয়ে।
আমি উৎসুক হয়ে কাছে গিয়ে উঁকি মারলাম। সেখানের দাড়িয়ে থাকা লোকজনকে জিজ্ঞেস করতে জানতে পারলাম যে বাংলাদেশের আধুনিক সময়ের বেশ জনপ্রিয় লেখক সাহাদাত হোসেন পাঠকদের বই সই করে দিচ্ছেন। সাহাদাত হোসেনের নামটা আমার শোনা শোনা কিন্তু তার বই পত্র পড়েছি বলে আমার খেয়াল হলো না। আমি তাই লাইন কাটিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়লাম।
নাম না জানা সব বই পত্রের প্রকাশনী বইপত্রের মধ্যে এক আলাদা অনুভূতি। চারিদিকেই পাঠকদের ভিড়। নতুন ধরনের লেখা মানুষজন ভালোই মনোযোগ দিয়ে পড়ছে। আমি যদিও আশপাশটা ঘুরে দেখাতেই বেশি ব্যস্ত ছিলাম যেহেতু খুব একটা লেখকদের নাম আমার জানা নেই সেজন্য বুঝতে পারছিলাম না কোন প্রকাশনী তে দাঁড়ালে আমার পছন্দের বইগুলো খুজে পাব। তবে দুটো প্রকাশনী নাম না করলে একটু বাদ থেকে যায়। সেগুলো হলো রকমারি ডট কম আর ইকরি মিকরি। প্রকাশনীর নাম দুটো দেখে বেশ মজা পেলাম।
পুরো প্যাভিলিয়নে প্রায় ৪০ খানার উপরে ছোটখাটো প্রকাশনী স্টল ছিল, যেগুলো ভিড়ের ঠেলায় পুরোটা ঘুরে দেখতে পারিনি। আসলে বিভিন্ন স্টলে মানুষজন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বই পড়ছে সেজন্য চারিদিকে বলা চলে মানুষের যানজট লেগে গিয়েছে সেজন্য বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন থেকে বেরিয়ে পড়লাম।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এই বইমেলাতে আমিও গিয়েছিলাম এবং এই বাংলাদেশ স্টলটিতেও আমি গিয়েছিলাম। এখানে বাংলাদেশী বিভিন্ন রাইটারের অনেক সুন্দর সুন্দর বই ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার বইমেলার এক্সপেরিয়েন্স আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু বই চেনা লেগেছে আমার বাকি গুলো সবই অচেনা।
দাদা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন থেকে লোকজনের ভিড়ের কারণেই বেরিয়ে পড়লেন। তার মানে বাংলাদেশের বইগুলোর যে এখনো কত কদর রয়েছে সেটা আপনার এ পোস্টটি পড়ে খুব সুন্দর ভাবে বোঝা যাচ্ছে। সত্যিই দাদা বাংলাদেশের বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় লেখক শাহাদাত হোসেন।
একসাথে দু জন মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন কিন্তু সবাই দাড়িয়ে দাড়িয়ে বই পড়ছিলো বলে ভয়াবহ ভীড় হয়ে গেছিলো