ধান্যকুড়িয়া বল্লভ বাড়ি ও রাস মঞ্চ
নমস্কার বন্ধুরা,
সাউ বাড়ি থেকে কিছুটা দূর এগোলেই হাতের বাম দিকে পড়ে বল্লভ বাড়ি। গায়েন বাড়ি কিংবা সাউ বাড়ির থেকে বল্লভ বাড়ি তুলনামূলক অনেকটা ছোট আকারের হলেও এটি ছিল তিন বাড়ির মধ্যে সবচাইতে সুন্দর। আগের দুটো বাড়ির ভেতরে অল্প কিছু সময়ের জন্য ঢোকার সুযোগ পেলেও বল্লভ বাড়ির ভেতরে ঢোকা বারণ। তবে বাইরে থেকে যেটুকু বোঝা যাচ্ছিলো তা থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার যে আয়তনে বল্লভ বাড়ি ছোট হলেও বাড়িটি খুবই সুন্দর ভাবে সাজানো ও নিয়মিত পরিচর্যা হয়। সাউদের মতোই বল্লভ-রাও বর্তমানে কলকাতায় বসবাস করেন তবে পাড়ার লোকের মুখে শুনলাম বল্লভরা এই বাড়িতে নিয়মিত যাতা করতে থাকে। আর সে কারণেই বাড়িটি বেশ সুন্দরভাবে সংরক্ষিত।
বাড়িটির রং সম্পূর্ণ সাদা এবং সামনে পরিচ্ছন্ন বাগান। দুটো মিলিয়ে বাড়ির সৌন্দর্যতা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল। তার সাথে বল্লভ বাড়ির জানালা গুলো সবুজ রঙের হওয়ায় সাদা এবং সবুজের এক সুন্দর কনট্রাস্ট তৈরি করেছিল। সেটা যেকোনো মানুষের নজর কাড়বে। সাদা ও সবুজের মাঝেও বাড়িটির আরেকটি বিশেষ ভাবে আকর্ষণ করছিলো তা হলো বাড়ির সম্মুখে থাকা বিশাল মাপের কয়েকটি মূর্তি। যদিও কিসের মূর্তি তা দূর থেকে বুঝতে পারা না গেলেও এটুকু বোঝা যাচ্ছিলো যে মূর্তি গুলোতে ভারতীয় ও পাশ্চাত্য দুইয়ের সংমিশ্রণ রয়েছে। জানতে পারলাম, এই মূর্তিগুলোর জন্য গ্রামের অনেকে বল্লভ বাড়িকে পুতুল বাড়ি হিসেবেও ডাকে। বল্লভ বাড়ির পরিচারকের কাছ থেকে আরো জানতে পারলাম দুর্গা পুজোর সময় বল্লভ বাড়ির দরজা গায়েন বাড়ি ও সাউ বাড়ির মতনই সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
মূল ফটকের বাইরে থেকে বল্লভ বাড়ি দেখে কিছুটা দূর এগিয়ে যেতেই পেলাম ধন্যকুড়িয়া রাসমঞ্চ। নবরত্ন স্থাপত্যের উপর নির্ভর করে বানানো রাস মঞ্চটি মূলত রাস উৎসবের সময়ে সেজে ওঠে। রাসের সময়ে এই মঞ্চে শ্রী কৃষ্ণ ও রাধিকার মূর্তি আনা হয়। তারপর তিনদিন ধরে রাস উৎসব আর উৎসব ঘিরেই চলে মেলা।
রাস মঞ্চটির কাঠামো তিনটি স্তরের নয়টি চূড়া বিশিষ্ট যাকে নবরত্ন শৈলীর মন্দির বলা হয়ে থাকে।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
দাদা নমস্কার,
ধান্যকুড়িয়া বল্লভ বাড়ি ও রাস মঞ্চ সত্যি অসাধারণ ৷ বিশেষ করে এর কারুকাজ নকশাঁ ডিজাইন সত্যি অসাধারণ ৷ তবে দাদা বল্লভ বাড়ি তে বসবাস এখনো করে ???
ধন্যকুড়িয়া রাসমঞ্চ মন্দিরের মতো ডিজাইন ভালো লাগলো দাদা ৷
ধান্যকুড়িয়া বল্লভ বাড়িটা দেখতে কিন্তু সত্যিই অনেক সুন্দর দাদা। তাছাড়া বাড়ির সামনে থাকা কয়েকটা মূর্তি, যেগুলোর জন্য বাড়ির সৌন্দর্য আরো অনেক গুনে বেড়ে গেছে। তবে তুমি বল্লভ বাড়ি ঢুকতে পারোনি, এটা জেনে অনেক খারাপ লাগলো। কারণ তুমি সেখানে ঢুকতে পারলে আরো কিছু ভালো ভালো ফটো দেখতে পেতাম। তাছাড়া রাস মঞ্চটাও দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে, অনেকটা দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের মতো।
দাদা এর আগে গায়েন বাড়ি এবং সাউ বাড়ি দেখেছিলাম। কিন্তু সেই দুটি বাড়ির চেয়ে বল্লভ বাড়িটা আরও বেশি সুন্দর। সাদা কালারের রং করায় বাড়িটা দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগছে। আর বাড়িটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে সবসময় যত্ন করা হয়। যাইহোক ভিতরে ঢুকতে না পারলেও, বাহিরে থেকে বাড়িটার চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা। তাছাড়া রাস মঞ্চটি দেখেও খুব ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।