আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৩ (পর্ব ১)
নমস্কার বন্ধুরা,
ব্যস্ততার ফাঁকে আজ কিছুটা সময় ফ্রি হতেই বইমেলার একদম শেষ মুহূর্তে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। প্রথমে বইমেলা যাওয়ার পরিকল্পনা আমার মাথায় ছিল না। ইচ্ছে ছিল ধীরে সুস্থে বইমেলা যাবো ক্ষন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যখন জানতে পারলাম তখন আর না গিয়ে উপায় ছিল না। আদপে হঠাৎ করে এক বন্ধু জানালো ১২ তারিখ বইমেলার শেষ দিন তখনই আমার হুশ ফিরলো। আসলে কলকাতা বইমেলার সময় কলকাতা থেকেও যদি বইমেলা টা মিস করে দিই তাহলে হয়তো অনেক বড় না পাওয়া থেকে যায়। সেজন্য রবিবার বিকেল বেলায় বইমেলা যাওয়া স্থির করলাম।
রবিবার বিকেলের পড়ন্ত রোদ গায়ে মাখিয়ে বেরিয়ে পড়লাম বইমেলার উদ্দেশ্যে। সত্যি কথা বলতে যখন বেরিয়েছিলাম তখন রোদের তেজ বেশ কিছুটা থাকলেও যতক্ষণে বইমেলার কাছাকাছি পৌঁছেছি ততক্ষণ রোদ অনেকটাই স্তিমিত। বইমেলায় যাওয়ার সোজা বাস পাওয়া মুশকিল তাই বিধান নগর আগে গেলাম। যেখান থেকে বইমেলা যাওয়ার বাস গুলো খুব সহজেই পাওয়া যায়। বিগত ক বছর ধরে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা সল্টলেকের মাঝামাঝি করুণাময়ীতে বসে আসছে। আমার গন্তব্য সেখানেই।
বইমেলার শেষ দিন হওয়ার জন্য অটোর ভাড়া কোনো সীমা ছিল না, যার কাছ থেকে যেমন পায় আরকি। দাম শুনে, বাসের জন্য দাঁড়ালাম। দু মিনিট দাঁড়াতেই এক খানা সরকারি ফাঁকা বাস পেতেই চড়ে বসলাম। করুনাময়ী পৌঁছুতেই চারিদিকে ভীড় বেড়ে যাওয়া শুরু হলো তখনই বুঝলাম বইমেলার খুব কাছে পৌঁছে গেছি। ভীড় দেখতে দেখতে বাস একটা একটা করে বইমেলার গেটের সামনে দিয়ে চলতে শুরু করলো। উত্তেজনার বশে ভুল করে বইমেলা প্রাঙ্গণের চার নাম্বার গেটে নেমে পড়লাম। চার নাম্বার গেটের মুখটাতে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে ভাবলাম সবার শুরু হয় এক নাম্বার গেট থেকে সেখানে যাওয়াটাই শ্রেয়। করলামও তাই।
গায়ে হালকা রোদ লাগিয়ে ভীড়ের মাঝে হাঁটতে হাঁটতে এক নম্বর গেটে চলে এলাম। এক নম্বর গেট ছিলো খুবই অনাড়ম্বর। চার নম্বর গেট তার পর তিন নাম্বার গেট এমনকি দুই নাম্বার গেটেও যে পরিমাণে সুন্দর করে সাজানো ছিল এক নাম্বার গেট তাদের তুলনায় ফাঁকা। ভীড় টাও বেশ কম। ফাঁকা হলে কি হবে! এইখান থেকে বইমেলার শুরু। বইমেলাতে ঢোকা মাত্রই হাতে পেলাম একখানা বইমেলার ম্যাপ। আর গুপ্তধনের ম্যাপের মতো সেই নিয়ে শুরু হল আমার বইমেলা এডভেঞ্চার।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এজন্য আমার কেন জানি না মনে হচ্ছিল আমি তোমাকে দেখেছি বইমেলায়। একদম শেষের দিন আমিও বইমেলায় গিয়েছিলাম। তবে তোমার তো কলকাতা থাকার কথা ছিল না ওই সময়, এজন্য অতটা গুরুত্ব না দিয়ে আবার বেরিয়ে গেছিলাম সেখান থেকে।
হাজার লোকের ভিতর আমাকে দেখা গেলো। সেরা তো। আমি তোমাকে দেখতে পেলেই ডাক দিতাম। খিক খিক।
আমিও দিতাম ডাক, তবে নিশ্চিত না হয়ে ডাকলে তো লোকে পাগল বলতো। এই জন্য আর ওই দিকে এগোয়নি।