মুভি রিভিউ : দ্য ওয়াকিং টল

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

নমস্কার বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলেই সুস্থ। আজ আপনাদের মধ্যে সত্য ঘটনা অবলম্বনে ২০০৪ সালে রিলিজ হওয়া দ্য ওয়াকিং টল সিনেমার রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি।

দ্য ওয়াকিং টল পুলিশ শেরিফ বুফোর্ড পাসারের জীবনের সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি। ১৯৭৩ সালে একই নামের আরেকটি সিনেমা বেরোয় যেটা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই ২০০৪ সালে আবার রিমেক হয়।

সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে ফেরা ক্রিস নিজের শহরে এসে দেখতে পায় শহরের এক ক্যাসিনো থেকে বাচ্চাদেরকে মাদক দেওয়া হচ্ছে। পুরোনো শহর ধীরে ধীরে রূপ বদলে ফেলছে তা দেখেই ক্রিস রেগে যায় আর ঘটে যায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা। গল্পের বাকি অংশটা রিভিউতে।


প্রাপ্তি : YouTube


চলচ্চিত্র
দ্য ওয়াকিং টল
পরিচালক
কেভিন ব্রে
অভিনয়
ডোয়েন জনসন, জনি নক্সভিল, নিল ম্যাকডোনা, ক্রিস্টেন উইলসন
চিত্রনাট্য
ডেভিড ক্লাস, চ্যানিং গিবসন, ডেভিড লেভিয়েন ও ব্রায়ান কপেলম্যান
মুক্তি
২-রা এপ্রিল, ২০০৪
দেশ
আমেরিকা
ভাষা
ইংরেজি
সময়
৮৬ মিনিট

পটভূমি


আমার অভিমত

আর্মি স্পেশাল ফোর্স থেকে সদ্য প্রাক্তন হয়ে ক্রিস প্রায় এক দশক পর বাড়ি ফিরছে। শহরে যেন তার সবকিছুই অচেনা তাই ক্রিস হেঁটে হেঁটে রওনা দেয় বাড়ির দিকে। বাড়ির পথে পুরাতন সিডার মিলের কাছে পৌঁছে ক্রিস দাঁড়িয়ে যায়। মিলের নোটিস দেখে বুঝতে পারে শহরের উপার্জনের মূল উৎসটি তিন বছর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। সিডার মিলের কাছে দাঁড়িয়ে থাকাকালীন শহরের পুলিশ শেরিফ সেখানে উপস্থিত হয় ও ক্রিসের সাথে কথোপকথনে শেরিফ ক্রিসকে চিনতে পেরে যায়। ক্রিস শেরিফকে মিলের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে শেরিফ বলে সিডার মিলের মালিকরা মারা যাওয়ার পর তাদের ছেলে জে হ্যামিল্টন কাঠ চেরাইয়ের মিল বন্ধ করে শহরেই একটা ক্যাসিনো খুলেছে। তারপর শেরিফ ক্রিসকে নিজেদের গাড়িতে বসিয়েই বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে।

ক্রিসের বাড়িতে বন্ধু রে আসে ও ক্রিসকে স্কুলের পুরোনো বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতে নিয়ে যায়। সেখানে জে হ্যামিল্টন ও তার সঙ্গী সাথীদের উপস্থিত হয়। তারপর দুদলের ফুটবল হয়। ফুটবল শেষে জে ক্রিসদের তাঁর ক্যাসিনোতে আমন্ত্রণ করে।

রাতে ক্রিস বন্ধুদের নিয়ে ক্যাসিনোতে যায় যেখানে পাশা খেলার সময় পাশার ডিলারের হাতের কারসাজি দেখে ফেলে। ডিলারের কারসাজির বিরোধিতা করলে ক্যাসিনোর রক্ষীরা তাকে ঘিরে ফেলে ও মারতে উদ্যত হয়। ক্রিসের সাথে রক্ষীদের লড়াই হয় ও তারা ক্রিসকে ধরাশায়ী করে ফেলে। ক্যাসিনোর কর্মীরা ক্রিসকে চাকু দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে রাস্তায় মরার জন্য ফেলে দিয়ে আসে। কিন্তু এক ট্রাক চালক ক্রিসকে রাস্তায় পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।

কিছুদিন হাসপাতালে থেকে ক্রিস বাড়ি ফিরে আসে তারপর বাড়িতেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে। সুস্থ হওয়ার পর ক্রিস শেরিফের কাছে তার পেটে চাকু চালানোর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানাতে যায়, কিন্তু শেরিফ ক্রিসের চার্জ নিতে অস্বীকার করে কারণ হিসাবে বলে ক্যাসিনোটিকে শহরের জন্য খুবজ গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিস অভিযোগ জানাতে ব্যর্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসে।

বাড়ি ফিরে দেখে তার ভাগ্নে পিট অতিরিক্ত ক্রিস্টাল মেথ নামের ড্রাগস নেওয়ার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ক্রিস পিটের বন্ধুদের কাছে ড্রাগসের উৎসস্থল জানতে চাইলে তারা ক্যাসিনোর নিরাপত্তা রক্ষীর নাম বলে। ক্রিস রেগে ক্যাসিনোতে যায়। ক্যাসিনোতে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের মারধর করে ও ক্যাসিনোতে ভাঙচুর করে। ক্যাসিনোর মালিক জে ক্রিসের বিরূদ্ধে শেরিফের কাছে অভিযোগ জানালে স্থানীয় কোর্টে কেসটি যায়। ক্রিস কোর্টে নিজেই নিজের কেস লড়ে জিতে যায়। কোর্ট থেকে বেকসুর খালাস পেয়ে ক্রিস শেরিফের পদের জন্য প্রার্থী হয় ও শেরিফ নির্বাচনে জিতে যায়। শেরিফের দায়িত্ব নেওয়ার পরে, ক্রিস পুরোনো পুলিশ বাহিনীকে পুরোপুরি বরখাস্ত করে দেয়া ও বন্ধু রে টেম্পলটনকে ডেপুটি হিসেবে নিযুক্ত করে।

ক্রিস ও রে তারপর জে হ্যামিল্টনের ক্যাসিনোর মূল রক্ষী বুথকে ধরে তাঁকে সার্চ করে। সার্চের সময় বুথের কাছে কিছু ড্রাগস খুঁজে পায় ও তাকে দুজনে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে যায়। তারপর মাদক থাকার সন্দেহে বুথের ট্রাকটি তার সামনেই পুরোপুরি খুলে ফেলে।

ক্রিস ও রে তারপর বুথকে নিয়ে স্থানীয় জেলে বন্দি করে দেয়। তারপর জো'র নির্দেশে প্রাক্তন শেরিফ ও ডেপুটিরা শেরিফ অফিসে আক্রমণ করে। প্রথমে তারা ক্রিসের ট্রাকটা উড়িয়ে দেয়। ট্রাক উড়িয়ে দেওয়ার পর তাঁরা শেরিফ অফিসের দিকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। জীবনের ভয়ে বুথ ক্রিসকে মাদক তৈরীর অবস্থান বলে দেয়। ক্রিস তারপর বুথকে জেল থেকে বের করার চেষ্টা করে কিন্তু বুথ গুলিবিদ্ধ হয় ও মারা যায়। ক্রিস পালাতে সক্ষম হয়।

ক্রিস তারপর পুরোনো কাঠের মিলে, যেটা হলো ড্রাগের মূল উৎস স্থল। ক্রিস সেখানে পৌঁছতেই মিলের পিছনের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জো তার উপরে আক্রমণ করে বসে। ক্রিস ও জো'র মধ্যে ভীষণ লড়াই হয়। লড়াইয়ে ক্রিস জো'কে ধরাশায়ী করে গ্রেপ্তার করে নেয়।

জো'কে গ্রেপ্তার করার পর ক্রিস ক্যাসিনোটা বন্ধ করে দেয়। শেষ দৃশ্যে গিয়ে দেখা যায় ক্রিস তাঁর বাবার সাথে কাঠের মিলটি নতুন ভাবে খোলার ব্যাপারে আলোচনা করছে।


আমার অভিমত

অসাধারণ! পুরো সিনেমাটা দেখার পর আমার এই কথাটাই মনে হলো। ডোয়েন জনসন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দারুন লেগেছে। পুরো সিনেমা জুড়েই ছিল আ্যকশনে ভরপুর।


রেটিং

পরিচালনা
কাহিনী১০
অভিনয়


Support @heroism Delegating your SP

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  
 2 years ago 

দ্যা রক এসব চরিত্রের জন্য একদম পারফেক্ট।মুভিটি দেখতে হবে।

 2 years ago 

ছবিটির আমি এড দেখেছিলাম তবে আপনার রিভিউ এর মাধ্যমে খুব ভালো লাগলো ছবিটির কাহিনী এবং আশা করি খুব শীঘ্রই দেখে নেব। ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন সর্বদায়।

 2 years ago 

এই মুভি গুলো আমি অনেক বেশি পছন্দ করি তবে দেখতে পারিনা, আপনার এই রিভিউ পরে আমার অনেক ভালো লাগলো। যদি পারেন দাদা মুভি লিংক টা দিয়ে দিয়েন , তবে তবু ও মনে হয়না ইউটিউব থেকে দেখা যাবে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 58248.35
ETH 3136.18
USDT 1.00
SBD 2.36