আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪ : পর্ব ২
নমস্কার বন্ধুরা,
মহিলা কমিশনে কিছুক্ষণ গানের লড়াই শোনার পরে বইমেলার মূল দিকে যাওয়া ঠিক করলাম। কারণ ধীরে ধীরে সন্ধ্যা রাতের দিকে এগিয়ে চলেছে। ওদিকে আবার আটটা বাজলেই বইমেলার দ্বার বন্ধ হবে। শুরু করলাম ২০২৪ সালের বইমেলার যাত্রা। এক নাম্বার গেটের একদম মুখেই জায়গা হয়েছে "দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি কলকাতার"। স্যার উইলিয়াম জোনসের হাত ধরে প্রতিষ্ঠা পাওয়া দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি কলকাতা ১৮-শ শতাব্দী থেকে ভারতীয় ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তর হয়ে আইন ডিগ্রি নিয়ে স্যার উইলিয়াম জোনস কলকাতা সুপ্রিম কোর্টে কনিষ্ঠতম বিচারক হিসেবে যোগদান করেন। শিক্ষানবিস অবস্থা থেকেই এশিয়ার ভাষা তত্ত্বের উপরে তার বিষদ আগ্রহ ছিল। সেই আগ্রহ থেকেই তিনি কলকাতাতে আসার পর ভারতীয় উপমহাদেশের ঐতিহাসিক পান্ডুলিপি পুনরুদ্ধারের চিন্তাভাবনায় এগিয়ে আসেন এবং সেই সূত্র ধরে ১৭৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন "দা এশিয়াটিক সোসাইটি কলকাতা"।
১৮০০ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠা পাওয়া প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী সংস্থাটি এখনো ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস উন্মোচনের কাজে ব্রতী হয়ে রয়েছে। স্টলে ঢুকেই সেই সম্পর্কে আরো কিছুটা অবগত হওয়া গেল। কিভাবে সংস্থাটি প্রাথমিকরূপে সুপ্রিম কোর্ট ভবনের জায়গা থেকে একসময় নিজের একটি আস্ত বিল্ডিং প্রাপ্তি পেলো। পরবর্তীতে সেটাই আজকের কলকাতা ভারতীয় মিউজিয়ামে।
কলকাতা মিউজিয়াম সহ ব্রিটিশ মিউজিয়ামে যে সমস্ত ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব রয়েছে তার কিছু অংশ এই এশিয়াটিক সোসাইটির হাত ধরেই উন্মোচন হয়। চোখের সামনে জ্বলন্ত ইতিহাস দেখতে থাকলাম। আমাদের দেশে যেখানে একসময় ভারতীয় ইতিহাস হারিয়ে যেতে বসেছিল সেখানে কয়েকজন ব্রিটিশ মানুষ এসে আমাদের দেশের ইতিহাস সংরক্ষণে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। যদিও পরবর্তী সময়ে তারা প্রচুর জিনিসপত্র উদ্ধার করে নিজেদের দেশে নিয়ে চলে যান তবে দা এশিয়াটিক সোসাইটি কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা স্যার উইলিয়াম জোন্সের অবদান অনস্বীকার্য। কারণ তার হাত ধরেই কালিদাস রচিত অভিজ্ঞানশকুন্তলম, জয়দেবের গীতগোবিন্দম প্রথম সংস্কৃত থেকে ইংরেজি ভাষায় ট্রান্সলেট করা হয়।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
স্যার উইলিয়াম জোনস একজন ব্রিটিশ নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও, এশিয়ার ভাষা তত্ত্বের উপর এতো আগ্রহ ছিলো, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। তিনি ভারতীয় ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেছেন,এটা ভারতবর্ষের প্রতিটি মানুষের জন্য একটি গর্বের বিষয়। "দ্যা এশিয়াটিক সোসাইটি কলকাতা" সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে পারলাম এই পোস্টটি পড়ে। বইমেলার এই স্টলে ঢুকে আপনি অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন দাদা। সবমিলিয়ে পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।