বৈশাখী রক্ষা কালী মেলায়
নমস্কার বন্ধুরা,
শীত কাল শুরু হতেই গ্রামাঞ্চলে একদিন ব্যাপী নানান পুজো ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেরমই আমাদের গ্রামের পার্শ্ববর্তী চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহে এক খুব জাগ্রত রক্ষা কালী মায়ের পুজো হয় তার সাথে হয় একদিনের মেলা। মজার ব্যাপার হলো সেই পুজোর মাস খানেক কাটতেই বৈশাখ মাসের শেষ সপ্তাহে সেখানেই আরেকবার ফিরতি পুজো ও মেলা হয়ে থাকে। যদিও বহুবছর হলো কোনো টাই আর দেখা হয় না। শেষ কবে চৈত্র মাসের মেলাতে এসেছি তা মনে নেই তবে এইবার বাড়ি এসে সৌভাগ্যক্রমে বৈশাখের মেলাটি পেয়ে গেলাম। বৈশাখ মাস যখন মধ্য গগনে। আদপে কোনো কারণে বৈশাখের শেষের মেলা কিছুটা এগিয়ে এসেছে। রক্ষাকালী পুজো তার সাথে মেলা স্বাভাবিকভাবেই যাওয়ার ইচ্ছে হবেই। তাছাড়া বহুদিন কোনো মেলায় যাওয়া হয় না সেজন্য বেলা গড়াতে মনটা উশখুশ করা শুরু করল।
যদিও দিনের বেলায় এমন পরিস্থিতি ছিল যে যাওয়ার খুব ইচ্ছে খুব একটা অনুভব করছিলাম না। চারিদিকে এত তীব্র দাবদাহ তার মধ্যে মেলায় যাওয়া কিভাবে সম্ভব। বেলা নামতে নামতে আবহাওয়া যখন ধীরে ধীরে ঠান্ডা হওয়া শুরু করলো সেই সময় ঘরে আটকে থাকলাম না। একা একা মেলা যেতে ভালো লাগেনা তাই এক পরিচিত পাড়ার ভাইপোকে সঙ্গী বানিয়ে নিলাম এবং তার বাইকে চেপেই মেলায় পৌঁছে গেলাম।
বৈশাখের মেলা তার উপরে আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি দুই মিলিয়ে মেলায় যখন পৌঁছলাম তখন দূর থেকে বেশ ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল। যেটা অত্যন্ত স্বাভাবিক বলেই আমার মনে হল। কারণ গরমের মধ্যে মেলাতে আসা অনেক সাহসের ব্যাপারই বলা চলে। মেলায় ঢুকে রক্ষা কালী মা-কে প্রণাম সেরে নিলাম।
গলা শুকিয়ে আসছিলো তাই মেলা ঢোকার মুখে একটা কুলফির দোকানে দেখে এসেছিলাম। প্রণাম সেরে সেখানেই চলে গেলাম। তিন চাকা অটোর মধ্যে বড় একটা ফ্রিজার রাখা চারপাশে মানুষের ভিড়। আমি দুজনের জন্য একটা করে মালাই কুলফি কিনে নিলাম। দাম মাত্র ১০ টাকা। দাম কম হলেও স্বাদ এতই ভালো যে আরো একটা করে কুলফি খেলাম। তারপর মেলাটা একপাক ঘুরে নিলাম। বহু পরিচিত মুখের দেখা।
অনেক দিন পরে দেখা হওয়ায় সবার সাথে আলাপ করতে সময় কোথা দিয়ে বেরিয়ে গেলো বুঝতেই পারলাম না। সন্ধ্যা হয়ে আসছে তাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। বাইকে চাপার আগে গরম গরম জিলিপি কিনে নিলাম।
অনেক সুন্দর মেলার আয়োজন দেখতে পারলাম তবে প্রচন্ড এ গরমের মুহূর্তে এমন মেলার আয়োজনে উপস্থিত হবে কঠিন। তবে হে প্রচন্ড গরমে আইসক্রিম আমাদের জন্য খুবই ভালো লাগার একটা খাবার। প্রচন্ড এই গরমে দিনের বেলায় এমন জায়গায় উপস্থিত হওয়া এবং ঘুরে ঘুরে দেখা বেশ কঠিন।
হ্যাঁ দাদা বর্তমানে যে গরম পড়েছে তাতে এই ধরনের মেলায় ঘুরতে যাওয়া অনেকটাই কষ্টের ব্যাপার। তাছাড়া এই মেলাটা দেখে আমার কিন্তু অনেক বেশি সিম্পিল মনে হচ্ছে। এর আগে রক্ষা কালী মেলার কথা কখনো শুনিনি, আজকেই প্রথম শুনলাম। তবে মেলার ভেতর জিলাপি গুলো দেখে অত্যন্ত লোভ হচ্ছে আমার। আর আইসক্রিমটা দশ টাকা হিসেবে অনেক কমই নিয়েছে তোমার কাছ থেকে। বেশ ভালো ছিল দাদা পোস্টটা।
মেলায় যেতে তো এমনিতেই ভীষণ ভালো লাগে। আর অনেকদিন পর যদি মেলায় যাওয়া হয়, তাহলে তো আরও বেশি ভালো লাগে। যাইহোক বিকেল বেলা এলাকার ভাইপোকে সাথে নিয়ে, মেলায় গিয়ে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন দাদা। এই গরমে আইসক্রিম খেতেই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া গরম গরম জিলাপি খাওয়ার মজাই আলাদা। সবমিলিয়ে মেলায় গিয়ে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
এই গরমে দাদা মেলায় ঘোরাঘুরি করা অনেক কষ্টের। তবে সাথে একজন থাকলে, সেই কষ্টটা একটু কম হয়। আমার কাছে দাদা এই ধরনের গ্রামীণ মেলা গুলো অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে, মেলার ভিতরে বিক্রি করা চপ কিংবা জিলাপি খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার। অনেক ভালো লাগলো দাদা, তোমার এই রক্ষা কালী মেলায় ঘুরাঘুরির কথা জানতে পেরে।