রক্ষা কালী মায়ের মেলায় ঘোরাঘুরি (পর্ব ২)
নমস্কার,
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সকলে ভালো আছেন। ইশ্বরের কৃপায় আমিও ভালো আছি।
সন্ধ্যে বেলায় মেলায় পৌঁছে আমরা যে ভীড়টা পেয়েছিলাম মেলার আরেক অংশটায় প্রাথমিকভাবে সেটাই অল্প কম দেখে মনে মনে বেশ খুশি হলাম। ভেবেছিলাম হয়তো মেলার বাকি অংশটুকু ফাঁকা ফাঁকা থাকবে। আসলে কোভিড পরবর্তী সময় থেকে মেলায় মানুষজনের যাতায়াত অনেকটাই কমেছে। তাছাড়া আগে মানুষের মেলায় যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল মেলায় আসা জিনিসপত্র কেনা। কিন্তু বর্তমান সময়ে হাতের নাগালেই সমস্ত কিছু চলে আসায় মেলার মানুষজনের কেনাকাটির পরিমাণটা অনেকটাই কমেছে তার সাথে দল বেঁধে মেলায় যাওয়া। তাই ফাঁকা ফাঁকা ঘুরবো ভেবে মনে মনে যেমন ভালো লাগছিল তেমনি কিছু দোকানিদের বসে থাকতে দেখে মন খারাপও লাগছিল।
মেলার অন্য দিকে এগোতেই আমার ভুল ভেঙে গেলো। আর যেভাবে ভঙ্গ হলো সেটা আমি কল্পনাতেও ভাবিনি। গুটি গুটি পায়ে এ দোকান সে দোকান দেখতে দেখতে এগোচ্ছি, যেই না মেলায় প্রসাধনীর দিকে ঢুকলাম ভীড় দেখে আমি রীতিমতো অবাক। বুঝলাম ভিড়টা এদিকে। শুরুতেই প্লাস্টিকের তৈরি নানা প্রসাধনীর দোকানে ঢুকে পড়লাম। কাছ থেকে না দেখলে বোঝা যাবে না, এগুলো প্লাস্টিকের।
প্লাস্টিকের একটা গাছ খুব সুন্দর লাগছিল তবে দাম শুনে নেওয়ার ইচ্ছে চলে গেলো। কিন্তু ভাবলাম মেলার প্রাথমিক পর্বে ঘোরাঘুরি করে পরবর্তী সময়ে এসে আবার দাম করবো। এটুকু জায়গা ছিলো ফাঁকা। আরেকটু এগোতেই মেলার পরের গলিতে ভীড় দেখে সব ভুল ভেঙে গেল। আমরা আগে গুটি কয়েক মানুষ দেখেছিলাম সামনেই গিয়ে দেখি জন স্রোত।
জনস্রোতের বেশিরভাগ অংশটায় মহিলারা দখল করে রেখেছেন বিশেষ করে দোকানের চারপাশটা। মহিলাদের ভীর দেখামাত্রই বুঝতে পারলাম নিশ্চিত ভাবে সামনে মহিলাদের প্রসাধনের জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে। ওমা ঠিক তাই হলো। বিভিন্ন ধরনের কানের দুল নাকের দুলের আর সমস্ত ধরনের মহিলাদের প্রসাধনী রয়েছে। মহিলাদের প্রসাধনীর সব কিছুর জায়গা ছিল মেলার এই অংশটা। মেলার মধ্যে পাশাপাশি দুটো অংশের দুই ধরনের চিত্র হয়তো আমি ভাবিনি কিন্তু দেখার পরে খেয়াল হলো মেলাতে ঢোকার সময়তেই অতিরিক্ত পরিমাণে মানুষ দেখেছিলাম।
ভীড় দেখতে দেখতে এগোচ্ছি আর ভাবছি প্রসাধনীর নিয়ে কত চাহিদা বর্তমান আছে। দোকানগুলোতে যেন মৌমাছির ন্যায় ঝাঁক ধরে আছে তাদের পছন্দের জিনিসটা তাড়াতাড়ি কেনার জন্য। ভিড়ের মাছ থেকে যে বেরিয়ে মেলার অন্য অংশে যাব তার উপায় পাচ্ছিলাম না। কোনো মতে ঠেলাঠেলি করে মেলার এই পাশ থেকে বেরিয়ে পড়লাম মেলার অন্য অংশে যাওয়ার জন্য, যেদিকটা আমার সবচাইতে পছন্দের। কেন পছন্দের, আপনারা আমার পরের পর্ব পড়লেই তা বুঝতে পারবেন।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
জী দাদা আপনি ঠিকই বলেছেন। মেলাতে বেশি ভিড় থাকে ফুচকার দোকানে আর প্রসাধনী বা কসমেটিক্সের দোকানে। আর এখন আগের মত মেলাও বসে না। এখন কারো কোন কিছু দরকার লাগলে দোকানে বা মার্কেটে চল যায়। তারপরও পর মাঝে মাঝে এরকম মেলায় গেলে ভালই লাগে। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আজকে তাহলে পর্ব ২ শেয়ার করেছেন ৷ আসলে মেলা মানেই তো হাজারো লোকের সমাগম ৷ তবে বেশির ভাগ কেনা কাটা করে মহিলার প্লাশটিকের গাছের দোকানটি অনেক ভালো লাগলো ৷ যা হোক দাদা পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ৷
দাদা, মেলায় গিয়ে তোমার ধারণা হঠাৎ করে ঘুরে যাওয়াটা স্বাভাবিক । মেলায় এখন প্রচন্ড পরিমাণে ভিড়ও হয় সাথে বিক্রিও ঠিকঠাক হয় তাই দোকানদারদের জন্য দুঃখ করে লাভ নেই। আর মেলাতে মহিলাদের জিনিসই বেশি থাকে। মেলায় ৭০% জিনিস মহিলাদের পাওয়া যায় আর পুরুষদের জিনিসপত্র কমই পাওয়া যায়।