আলিপুর চিড়িয়াখানা : পর্ব ১৪
নমস্কার বন্ধুরা,
চিড়িয়াখানা আসা একদমই হঠাৎ করেই হলো। আদপে মামারা এসেছিলেন বলেই হয়তো সম্ভব হয়েছে নাহলে ক বছর শীতে কলকাতায় থাকলেও জ্ঞানত অবস্থায় চিড়িয়াখানা যায়নি। আসলে চিড়িয়াখানার মূল যে বিষয় মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য অবলা পশু পাখি গুলোকে খাঁচার মধ্যে আটকে রাখা, সেটা আমার খুব একটা পছন্দ নয়, সেজন্যই চিড়িয়াখানায় অনেকে বহুবার যেতে বললেও আসা কখন হয়না। যাক শেষ পর্বে এসব নিয়ে না বলাই ভালো। চলুন যাই চিড়িয়াখানার বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন সময়ে ঘুরে বেড়ানো কালীন যে সমস্ত প্রাণী দেখেছিলাম তাদের নিয়ে।
কুমিরের জলাশয়ের ঠিক উল্টো দিকটাতেই ছিলো সরীসৃপদের ঘর। সরীসৃপদের রক্তের মতো তাদের ঘরটিও ছিলো শীতল তার সাথে আলো-আঁধারি। সেজন্য ছবি তোলার বিশেষ একটা ভালো সুযোগ পাইনি। সাপ ঘরটিতে প্রচুর প্রজাতির সাপ থাকলেও আমি গোসাপের প্রতিই একটু বেশি আকর্ষিত হয়েছিলাম তার কারণ হলো সরীসৃপটির আয়তন। প্রায় কুমিরের আয়তনে গো সাপ আমি জীবনে কখনো দেখিনি তবে বেশ মজা লাগছিল যে অন্যান্য প্রাণীরা যখন রোদের তাপ থেকে বাঁচতে ছায়া খুঁজছিল সেখানে গোসাপ বেশ আরাম করে রোদের মধ্যেই শুয়ে ছিলো।
সাপ ঘরের কিছুটা আগেই ছিলো চিতা বাঘ গাছের কাঁচ লাগানো খাঁচা। তিনি আবার ছায়ায় বসে থাকা জন্য তাকে প্রথমেই চট করে দেখতে পাইনি অথচ তিনি খাঁচার একদম সামনেই বসে ছিলেন। তাই যখন খাঁচার এদিক ওদিক তাকিয়ে হঠাৎ খাঁচার একদম কাছে দেখতে পেলাম তখন আঁতকে ওঠার অবস্থা 😂।
চিড়িয়াখানার এক অংশে একটা ছোট্ট জায়গায় জলাশয় মত ছিল যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির হাসেরা ছিলো।
আলিপুর চিড়িয়াখানা ভারতবর্ষের অন্যতম পুরনো চিড়িয়াখানা গুলোর মধ্যে একটি। তাছাড়া এই চিড়িয়াখানা কি শুধু বয়সে পুরোনো এর পরিস্থিতিও বেশ পুরোনো এবং জরা জীর্ণ। ভিতরে অবস্থা এতটাই খারাপ তবুও বর্তমান সরকারি বাবুরা কখন ভাবেননা যে চিড়িয়াখানায় বিশদ পরিবর্তন আনা দরকার। বিশেষ করে প্রাণীদের স্বাচ্ছন্দ্য গুলোকে একটু যদি মাথায় রেখে চলা যায় তাহলে হয়তো ভালো হয় কারণ এই বন্য স্বাধীন প্রাণী গুলিকে মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য আটকে রেখেছি ঠিকই তবে আমরা তাদেরকে একটু স্বাচ্ছন্দ্য দিতে পারি না কি সাথে ভরপেট খাবার?
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আজকেও তো দেখছি আপনি আলিপুর চিড়িয়াখানা হতে অনেক জানা কিন্তু না দেখা পশু নিয়ে পোষ্ট করেছেন। যাক বাবা তাহলে আর চিড়িয়াখানায় যাওয়ার দরকার কি। সরিসপ, চিতাবাঘ এর নাম শুনেছি আর বইয়ে দেখিছি। মাঝে মাঝে টিভিতেও দেখেছি। সামনাসামনি কখনও দেখি নাই। তবে হাস কিন্তু প্রতিদিনই না হোক সপ্তাহে একদিন দেখা হয়।
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য যখন চিড়িয়াখানায় প্রাণীগুলোকে আটকে রাখা হয় তখন সত্যিই খারাপ লাগে। আর যদি তারা প্রপার খাওয়া-দাওয়া পায় তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু অনেক সময় কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে বন্দী থাকা পশুপাখি গুলো সঠিক খাবার পায় না। গ্লাস থাকার কারণে আপনি বুঝতে পারেননি চিতাবাঘ গ্লাসের আড়ালে ছিল। এই সময় সত্যিই ভয় লাগার কথা দাদা।
আপনার সাথে দাদা আমিও একমত এই স্বাধীন বন্যপ্রাণীগুলোকে এভাবে খাঁচায় বন্দি করে মানুষের মনোরঞ্জন দেওয়া আমার একদম পছন্দ নয়। তাই আমার এখনো পর্যন্ত কোনো চিড়িয়াখানায় যাওয়া হলো না। তবে ইচ্ছা আছে কোন একদিন গিয়ে দেখে আসবো তাদের এই পরাধীনতার অবস্থা। কলকাতায় আলিপুর চিড়িয়াখানা আপনার মাধ্যমে দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো। তবে সরকারের উচিত এই চিড়ীয়াখানা পশুপাখি গুলোকে তাদের ভালো একটা পরিবেশের সাথে পেট ভরে খাবার দেওয়া উচিত, তাহলে তারা সেখানে ভালো থাকবে সুস্থ থাকবে এবং মানুষের মনোরঞ্জন দিতে পারবে।
আলিপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণের ১৪তম পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে দাদা পর্যায়ক্রমে আপনার মাধ্যমে আলিপুর চিড়াখানার সবকিছুই দারুন ভাবে জানতে পারছি আমরা। এরকম পুরনো চিড়িয়াখানায় সব ধরনের জীবজন্তুই দেখা যায়। আজকে চিতা বাঘ সম্পর্কে আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।