গাত্র হরিদ্রা // ১০% লাজুক 🦊-কে
নমস্কার,
ট্রেনে সারারাত ঘুম হয়নি। আর রাতে ঘুম না হওয়ার মূল দায় আমার সহযাত্রীদের। আমার সিটের নীচে যারা ছিলেন তারা সারারাত ধরে গল্প করেছেন। আমার যে কবার চোখে ঘুম এসেছে বারবার তাদের তারস্বরে গল্পের কারণে ভেঙেও গেছে।
সকালে মালদহ স্টেশনে যখন পৌঁছালাম ঘুম ঘুম চোখে বাইরে তাকিয়ে দেখি স্টেশন পুরোটাই কুয়াশাচ্ছন্ন!! আমি খুবই অবাক। রাতে ভালোভাবে ঘুম হয়নি তাই হয়তো চোখে ভুল দেখছি। খুব করে দুবার চোখ কচলে নিলাম। নাহ স্টেশনে সত্যিকারেরই কুয়াশা। মনটা আনন্দে ভরে উঠলো। কলকাতা থেকে বীভৎস গরম নিয়ে মালদহে এসে ঠান্ডা! স্টেশনে নেমে বুঝতে পারলাম কুয়াশার মূল কারণ। আসলে আগের রাতে খুব বৃষ্টি হয়েছে।
ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে দিদির বাড়ি গিয়ে সোজা বিছানায় আশ্রয় নিলাম। ঘুমটা ভাঙলো বিয়েবাড়ির ফোনে। কনের বাড়িতে নাকি তত্ত্ব পাঠাতে হবে তাই তাড়াতাড়ি যাওয়ার আদেশ হয়েছে। ফোন পাওয়া মাত্র বিছানা ছেড়ে উঠে স্নান করে জামাকাপড় গলিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। বিয়েতে পৌঁছে দেখি মন্ত্রোচ্চারণ সহ পুজো চলছে।
পুজোর কাছে বসেছি মাত্র কাজের দায়িত্ব পেয়ে গেলাম। মিষ্টির দোকান থেকে কনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য মিষ্টি তত্ত্ব আনতে হবে। আমি ভাগ্নেকে নিয়ে মিষ্টির দোকানে বেরিয়ে পড়লাম। দোকানে পৌঁছে তত্ত্বের মিষ্টি হাতে নিতেই নজরে পড়লো সন্দেশের উপরের সুন্দর প্রজাপতির নকশা।
তত্ত্বের মিষ্টি নিয়ে বিয়ে ফিরতেই দেখি গায়ে হলুদের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কাঁচা হলুদ, চন্দনের সাথে আরো কিছু মিশিয়ে হামান দিস্তায় বাটা হচ্ছে। হলুদবেটে নিয়ে একে একে বাড়ির বড়রা ধান দূর্বা দিয়ে মামাকে আশীর্বাদ করে মিষ্টিমুখ করিয়ে দিলো। সবার আশীর্বাদ শেষ হতেই গালে, হাতে ও পায়ে হলুদ মাখিয়ে দিলো।
গায়ে হলুদ পর্ব মিটতেই সকলে মেয়ের বাড়িতে তত্ত্ব নিয়ে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়লো। তবে আমাকে থেকে যেতে হল আত্মীয়দের খাবার পরিবেশনের জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এমন করে আয়োজন গুলো শহরের দিকে একেবারেই কখনো চোখে পরেনি।যা একটু দেখেছি তাও অনেক বছর আগে।আজ তাই দেখে ভালো লাগলো।
বিয়ের নিয়ম গুলো পালন করতেই হবে।
দাদা এই গরমে শুধুমাত্র শান্তির পরশ দিতে পারে একরাশ বৃষ্টি। ভেবেছিলাম আপনি যা ব্যস্ত, তাতে এই পর্বটির জন্য হয়তো আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। বিয়ে বাড়িতে পৌঁছে গেলেন, বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল। বাদ পড়লেন তত্ত্ব নিয়ে কন্যা বাড়ি যাওয়া থেকে। মেহমান সামলানোই এখন আপনার কাজ। দেখা যায় পরবর্তীতে কি অপেক্ষা করছে।
পরপর লেখার চেষ্টা করবো।
তত্ত্ব দিতে যেতে পারলে আরো বেশি ভালো হতো কিন্তু যা দায়িত্ব পেয়েছি তাতেই আমি খুশি।
সময়টা বেশ দারুন কেটেছে আপনার,এই পোষ্ট এত সুন্দর বর্ণনা থেকে বোঝা যায়। অবশ্য ফোনটা একটু পরে আসলে হয়তো ঘুম টা আরো সুন্দর দিতে পারবেন। যাইহোক খুব ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করা দেখান।
আসলেই ভালো তো কিন্তু ওই যে সব পাওয়া যায় না।
বাহ দারুণ সময় কাটাচ্ছেন মামার বিয়েতে।আপনাদের বিয়ের বিষয়গুলো আসলে আমি খুব একটা বুঝিনা।আমাদের থেকে ভিন্ন।তবে গায়ে হলুদের মিল পাওয়া যায়।সন্দেশের বাক্সের উপর প্রজাপতি টি দেখতে খুব চমৎকার হয়েছে। ভেতরে মনে হয় অনেক সন্দেশ। যাই হোক সময়গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দারুন কেটেছে সময়টা। আসলে অনেক নিয়ম তাই না বোঝা মুশকিল।
অনেক সন্দেশ ছিলো।
সন্দেশের উপরে প্রজাপতির নকশা দেখতে বেশ দারুন লাগছে।আপনাদের ধর্মের বিয়ে,আমার খুব কাছ থেকে দেখার ইচ্ছে। যাই পোস্ট পড়ে এবং ছবি দেখে বেশ ভালো লাগলো।দাদা আপনি বিয়ে করার সময় আমাকে নিমন্ত্রণ করিয়েন,😀😀।ধন্যবাদ আপনাকে।
কোনো বান্ধবীর বা বন্ধুর বিয়েতে জোর করে নিমন্ত্রন নিয়ে নেবেন ব্যাস। হাঃ হাঃ।
আচ্ছা করবো।
গাত্র হরিদ্রা বিষয়টি আপনি অত্যন্ত চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। বিশেষ করে দিদির বাড়িতে যেয়ে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি করে উঠে পূজার জায়গায় হাজির হওয়া এবং সেখান থেকে নতুন দায়িত্ব পেয়ে সে দায়িত্ব পালন করা ।সব মিলিয়ে সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুন সময়টা কাটলো। 🤗