যাত্রা শুরু // ১০% লাজুক 🦊-কে
নমস্কার,
প্রায় মাস ছয়েক পর ঘুরতে যাওয়া উদ্দেশ্য নিয়ে বেরোলাম। গত বছরের অক্টোবর মাসে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম বটে কিন্তু তারপর থেকে কলকাতার বাইরে বিশেষ যাওয়া হয়নি। মাঝে যদিও একদিনের জন্য বর্ধমান ঘুরে এসেছি তবে সেটাকে হয়তো পূর্ণ ঘুরতে যাওয়া বলাটা ঠিক হবেনা। আসলে হাতে সময়ের বড্ড অভাব, তাই যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও কলকাতা ছেড়ে বেরোনো দায়! বেশ কয়েকবার ঘুরতে যাওয়ার কথা উঠলেও নানা কারণে শেষ সময়ে গিয়ে সব ভেস্তে যায় তাই যখন হঠাৎ করে উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা হলো আমিও রাজি হয়ে গেলাম।
আমার তিন বছর ধরে অযোধ্যা আর বেনারস ঘুরতে যাওয়ার খুব ইচ্ছে, কিন্তু সাথী আর সময় দুটোরই অভাব। অবশেষে যখন সুযোগ পেলাম তাই সুযোগটাকে জড়িয়ে ধরলাম। রেলের টিকিট হলো মঙ্গলবার। টিকিট কাটা হতেই অপেক্ষার দিনগোনা শুরু। মাঝে চারটা দিন। দিন বেড়ে যেন ৪৮ ঘন্টার হয়ে গিয়েছিলো, কিছুতেই মঙ্গলবার আসতে চাইছিলো না।
অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার সকাল হলো। তোড়জোড় করে ব্যাগ পত্র গুছিয়ে নিয়ে সকাল ১০ টা বেজে ৩০ মিনিটে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কলকাতা স্টেশনের দিকে রওনা হলাম। সকাল ১১:৪৫ মিনিটে জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস।
বাস থেকে স্টেশনের চত্বরে নামার পরেই কাঠফাঁটা রোদ্দুরের সম্মুখীন হতে হলো। চত্বর থেকে মূল স্টেশন প্রায় ৪০০ মিটার দূর। রোদের তেজ দেখে প্রথমে অল্প ঘাড়বে গিয়েও ঘুরতে যাওয়ার চাপা আনন্দে টুক করে হেঁটে স্টেশনে পৌছেই গেলাম।
কলকাতা স্টেশনে ঢোকা মাত্র যেটা সবচেয়ে আগে নজরে আসে তা হলো ভারতের পতাকা। স্টেশনে ঢুকেই দৌড়ে গিয়ে গাছের ছায়া দেখে দাঁড়িয়ে পড়লাম। আমার সহযাত্রীরা তখন পৌঁছায়নি।
গাছের ছায়ায় কিছুক্ষন দাঁড়াতেই বাকিরা এসে পড়লো। সবাই মিলে প্লাটফর্মে ঢুকে জম্মু-তাওয়াই ট্রেনে উঠে নিজেদের বার্থ গুলোতে বসে পরলাম। ১১:৪৫ মিনিটে যথাসময়েই আমাদের ট্রেন ছেড়ে দিলো। যাত্রা শুরু হলো, বহুপথ পেরিয়ে উত্তরপ্রদেশের দিকে...
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
শুধু স্টেশনে কেন দাদা সমগ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বাধীনদেশের পতাকা উড়বে। আর রোদ গরমের কথা কি বলব, একটু ইনজয় করতে হলে তো রোদ গরমের কষ্টটা সহ্য করতে হবে।
সেটাই হওয়া উচিত! জাতীয় পতাকার প্রকৃত সন্মান তাহলেই করা হবে।
ভ্রমণ সবসময়ই আনন্দের। শহরের ইট পাথরের মধ্যে আর কতদিন থাকা যায়। প্ল্যান থেকে স্টেশন পযর্ন্ত ভালো লাগল। সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে লিখেছেন দাদা। আশাকরছি আরও কিছু পোস্ট পাব এই ভ্রমণ রিলেটেড।
মাত্র এক পোস্টেই তিন বছরের প্ল্যান বলে ফেললাম। হাঃ হাঃ।
বাকিগুলো আসছে...
দাদা ঘুরতে আমার যেমন ভালো লাগে তেমন ভালো লাগে নতুন নতুন জায়গা ঘুরতে যাবার গল্প শুনতেও। বিশেষ করে ট্রেন জানি আমার খুব পছন্দের। এছাড়া ভারতের রেল ভ্রমণের ইচ্ছা আমার বহুদিনের। আশা করি আপনার ভ্রমণের আকর্ষণীয় সবকিছুই আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। যার মাধ্যমে অন্তত দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে পারব। পরবর্তী পর্বগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।
ফিরদৌস দা, ভারত যদি প্রকৃত ঘুরতে হয় তাহলে ট্রেনের বিকল্প নাই!
বাকিগুলো ক্রমশ প্রকাশ্য।
আমারও ইচ্ছা আছে দাদা ইন্ডিয়াতে যাওয়ার সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সামনের জুন-জুলাই এ দার্জিলিং এবং সিকিম যাবো
বাহ। আমার দেশ ঘুরে যান রহমান ভাই, খুব ভালো লাগবে।
যাত্রার পরের গল্পগুলোও এবার নিয়মিত চাই।আপনি যাত্রা করেন,আমরা না হয় বসে বসেই দেখি।কি আর করার।
আমিও নিয়মিত লিখতে চাইছি কিন্তু হয়ে উঠছে না। আসলে আমি তো শুরু করে দিলাম কিন্তু চালিয়ে যাওয়ার সময় পাচ্ছি না।
মাঝে মাঝেই আমাদেরকে কোথাও ভ্রমন করতে যাওয়া উচিত। এতে যেমন আমাদের মন ভালো থাকে তেমনি কিন্তু আমরা শারীরিকভাবে ভালো থাকি। আপনি আজকে অনেকদিন পর ঘুরতে যাচ্ছেন শুনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে এখন যদি অনেক বেশি গরম পরছে যে কারণে অসহ্য লাগবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল দাদা।
অসহ্য গরম নিয়েই বেরিয়ে পড়লাম।