চলচিত্র রিভিউ : দা কন্ট্রাক্টরsteemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার,

বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় সকলেই ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদ ও ভালোবাসায় আমি ভালো আছি। আজ আপনাদের সামনে আরো একটি সিনেমার রিভিউ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে যে সিনেমাটি রিভিউ করছি সেটা হলো ১-লা এপ্রিল ২০২২ সালে রিলিজ হওয়া দা কন্ট্রাক্টর। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।


প্রাপ্তি : YouTube


চলচিত্র
দা কন্ট্রাক্টর
পরিচালক
তারিক সালেহ
অভিনয়
ক্রিস পাইন, বেন ফস্টার, কিফার সাদারল্যান্ড
চিত্রনাট্য
জে. পি. ডেভিস
মুক্তি
১-লা এপ্রিল, ২০২২
দেশ
আমেরিকা
ভাষা
ইংরেজি
সময়
১০৩ মিনিট

পটভূমি

আমেরিকান সেনাবাহিনীতে কর্মরত জেমস (ক্রিস পাইন) তার হাঁটুর চোটের জন্য নিষিদ্ধ স্টেরয়েড ব্যবহার করে যার কারণে সেনাবাহিনী তাকে সেনা থেকে বরখাস্ত করে দেয়। চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর জেমস তার পরিবার নিয়ে আর্থিক অনটনে পড়ে যায়। তখন জেমস তার সেনা বাহিনীর বন্ধু মাইকের (বেন ফস্টার) সাথে যোগাযোগ করে, যে কিনা সেনা থেকে অবসর নেওয়ার পর আর্থিক ভাবে অনেকটা স্বচ্ছল। মাইক বলে সে রাস্টি (কিফার সাদারল্যান্ড) নামের পূর্বতন সেনা কর্মী চালিত এক প্রাইভেট মিলিটারি কন্ট্রাক্টর কোম্পানিতে কাজ করে যারা তার কাজের জন্য ভালো টাকা দেয়। জেমসকেও সে তার সাথে যোগ দিতে বলে।

1.png

স্কিন শট নেওয়া হয়েছে : Amazon Prime

কিন্তু জেমস দেশের প্রতি কর্তব্যবোধ থেকে প্রাইভেট মিলিটারির হয়ে কাজ করার জন্য দ্বিধায় পড়ে যায়। মাইক তখন জেমসকে আশ্বস্ত করে যে রাস্টি প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্য কাজ করে। জেমস মাইকের আর্থিক স্বচ্ছলতা দেখে শেষমেষ রাস্টির সাথে দেখা করতে রাজি হয়। রাস্টি জেমসের সাথে কথা বলে তাকে তার হয়ে কাজ করার জন্য রাজি করিয়ে নেয়। জেমসের প্রথম অপারেশন পড়ে জার্মানিতে। ড. সেলিম নামের এক বিজ্ঞানীর সার্ভিলেন্স করে তা রাস্টির কাছে জানানো। জেমস কদিন ধরে ড. সেলিমকে লক্ষ্য করে রাস্টিকে সব তথ্য পাঠালে রাস্টি জানায় যে ড. সেলিম আল-কায়েদার হয়ে বায়ো-এজেন্ট তৈরি করার কাজ করছে। রাস্টি জেমসকে ড. সেলিমের গবেষণাগারে অভিযান চালিয়ে সমস্ত গবেষণার তথ্য উদ্ধার করার নির্দেশ দেয়।

মাইকের দল সেই রাতে খুব সন্তর্পনে ল্যাবে ঢুকে ড. সেলিমকে বন্দী বানিয়ে তার সমস্ত গবেষণার তথ্য কুক্ষিগত করে ফেলে। তারপর মাইক ড. সেলিমকে মেরে ফেলার নির্দেশ দিলে জেমস তাকে গুলি মেরে ল্যাবে আগুন ধরিয়ে সবাই পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা পুলিশের মুখোমুখি হয়। সেখানে পুলিশের সাথে গুলির লড়াইয়ে মাইক আহত হয় ও দলের বাকি সদস্যরা মারা পড়ে। জেমস তখন আহত মাইককে উদ্ধার করে কাছের একটি ভূগর্ভস্থ ড্রেনে লুকিয়ে যায়।

2.png

স্কিন শট নেওয়া হয়েছে : Amazon Prime

মাইক বুঝতে পারে যে সে মারা যাবে, তাই জেমসকে তার পরিবারের দেখভাল করার জন্য অনুরোধ করে। জেমস তখন রক্ত ​​​​দিয়ে মাইকের প্রাণ বাঁচায়। মাইক সুস্থ হয়ে রাস্টির কাছে ফিরে যেতে প্রস্তুতি নেয়, কিন্তু জেমসের হাঁটুর চোট জেমসকে আটকে দেয়। তারপর জেমসকে বিশ্রাম নিতে বলে মাইক একা অপারেশন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সাথে মাইক আশ্বস্ত করে যে জেমস অল্প সুস্থ হলে তারা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে তাকে উদ্ধার করে নেবে।

জেমস অল্প সুস্থ হলে মাইকের বলা হোটেলে যায় কিন্তু হোটেলে মাইক বা রাস্টি কারোর দেখা পায় না। জেমস একটা সেখানে বার্নার ফোন পায় যা দিয়ে রাস্টির সাথে যোগাযোগ করে। রাস্টি বলে তার জন্য একটা গাড়ি অপেক্ষা করছে। জেমস গাড়ির কাছে যেতে দেরী করলে, একটি বন্দুকধারী দল সেখানে উপস্থিত হয় ও জেমসকে লক্ষ্য করে গুলি করতে শুরু করে। জেমস সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। জেমস তারপর ড. সেলিমের বাড়িতে গিয়ে ড. সেলিমের স্ত্রী সিলভিকে সেলিমের গবেষণার তথ্য দেওয়ার হুমকি দেয়। সিলভি জেমসকে তার স্বামীর আইপ্যাড দিয়ে দেয়। জেমস আইপ্যাডে ড. সেলিমের একটা ভিডিও চালায়। ভিডিওতে ড. সেলিম বলেন যে তিনি এইচ৫এন১ ভ্যাকসিন তৈরী করতে সক্ষম হয় গেছেন যা তিনি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির কাছে বিক্রি না করে বিনামূল্যে প্রদান করতে চান। জেমসের কাছে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যায়।

জেমস সবার নজর এগিয়ে দেশে ফিরে আসে। দেশে ফিরে মাইককে ট্র্যাক করে ফেলে। মাইক তখন বলে যে রাস্টি তাকে বলেছিল জেমস মারা গেছে। তারপর দুজনে মিলে রাস্টির উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে। মাইক জেমসকে গাড়ির ভেতর লুকিয়ে রাস্টির বাড়িতে নিয়ে যায়। রাস্টির বাড়িতে ঢুকেই তারা রাস্টির গার্ডদের উপর অতর্কিত হামলা করে। আক্রমণে সবাই বিভ্রান্ত হয়ে গেলে, জেমস রাস্টির বাড়ি ভেতরে ঢুকে পড়ে। জেমস রাস্টিকে ধরাশায়ী করে ফেলে।

3.png

স্কিন শট নেওয়া হয়েছে : Amazon Prime

রাস্টি গুলি খাওয়ার আগেই মাইককে মারাত্মকভাবে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। মাইক পথে মারা যায়। সবশেষে জেমস তার পরিবারের কাছে ফিরে আসতে সক্ষম হয়।


আমার অভিমত

টানটান উত্তেজনায় ভরপুর ছিলো ক্রিস পাইন অভিনীত দা কন্ট্রাক্টর সিনেমাটি। সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হয়ে যাওয়ার পর প্রয়োজনের তাড়নায় মাইক বিবেকের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজে গিয়ে নানা অপরাধমূলক ও জটিলতার সন্মুখীন হয়। বিবেক তাড়নায় বিদ্ধ হলেও তাকে শেষমেষ অর্থ কে বেছে নিতে হয়। সেই অনুভূতি গুলো ক্রিস পাইন দারুন ভাবে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে ব্যক্ত করেছেন। রাস্টির চরিত্রে কিফার সাদারল্যান্ড বেশ ভালো অভিনয় করেছেন।

সিনেমাটোগ্রাফি বেশ ভালো লেগেছে। লোকেশন চয়েস বেশ ভালো ছিলো।


রেটিং

পরিচালনা
কাহিনী
অভিনয়



IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness


Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 63047.55
ETH 2690.45
USDT 1.00
SBD 2.54