রাধা গোবিন্দ মন্দিরের জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানে
নমস্কার বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলে সুস্থ। আপনাদের আশীর্বাদ ও ভালোবাসায় আমিও ভালো আছি। আবার হাজির হলাম নতুন অরেকটি ব্লগ নিয়ে।
জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানে গিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনে প্রসাদ গ্রহণের শেষ হলে মিশনের নাট মঞ্চে কিছুক্ষণ বসে আরাম করতেই হলো। আসলে পুজোর এই বিশেষ দিন গুলিতে পরিচিত মানুষ গুলো মন্দিরে আসেন। আর তাদের সাথে দেখা হয়ে গেলে টুকটাক গল্প করাটা জরুরি, আবার কবে দেখা হয়। তাছাড়া ভর দুপুরের গরমে মন্দিরের ঠান্ডায় কিছুটা বসে গল্প করে বেরিয়ে পড়া হলো রাধা গোবিন্দ মন্দিরের দিকে। রাধা গোবিন্দ মন্দির বেশি দূরে না। রামকৃষ্ণ মিশনের খুব কাছেই। মিশন থেকে বেরোনো মাত্র টোটো পেয়ে গেলাম আর পৌঁছে গেলাম রাধা গোবিন্দ মন্দিরে।
রাধা গোবিন্দ মন্দিরে পৌঁছে দেখলাম তখন মন্দির বেশ ফাঁকা ফাঁকা, মনে বেশ আনন্দ পেলাম। আর তাছাড়া জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান মধ্যরাতে, সেটাও আরেকটা কারণ দুপুরে লোক সমাগম কম হওয়ার। কারণ যাই হোক কম লোকজন আমার বেশি ভালো লাগে। যারা জন্মাষ্টমী সম্পর্কে জানেন না তাদের তাদের জানিয়ে রাখি, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম দিনকে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী বলা হয়। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম সে থেকে এই দিনে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পালিত হয়।
রাধা গোবিন্দ মন্দিরের গর্ভগৃহ দোতালায় তাই সোজা সেখানেই উঠে গেলাম। যথারীতি মন্দিরের ভেতরেও হাতেগোনা গুটি কয়েক লোকজন। শান্তি! মন্দিরের গর্ভ গৃহ তখন বন্ধ, তাই গর্ভ গৃহের সামনেই গিয়ে বসে পড়লাম।
মন্দিরের গর্ভ গৃহ বিকেল চারটের পর খুলে দেওয়া হবে শুনে মন্দির খোলার অপেক্ষায় বসে পড়লাম, মন্দিরের ঠান্ডা আবহাওয়ায়। ফ্যানের তলায় বসে থাকতে থাকতে অল্পতেই চোখে ঘুম চলে এলো। ঘুম কাটাবার উপায় খুঁজতে মন্দিরের আশপাশটা ঘুরতে বেরোলাম। মন্দির থেকে বেরোনো মাত্র রোদ্দুর গায়ে পড়লো সাথে সাথে আমার ঘুম উবে গেলো, দৌড়ে মন্দিরে ঢুকে পড়লাম।
বিকেল চারটে বাজতেই মন্দিরের গর্ভ গৃহ খুলে গেলো। আর গর্ভ গৃহ খুলে দেওয়ার সাথে সাথে কোথা থেকে বেশ কিছু ভক্তের সমাগম হয়ে গেলো। আমি বেশ আশ্চর্য্য হলাম। প্রায় ঘণ্টাখানেক ভেতরে বসে আছি অথচ গুটি কতক ভক্ত ছাড়া কারো লেশমাত্র ছিল না। অথচ মন্দির খুলে দিতেই একঝাঁক ভক্ত।
ভক্তরা ধীরে ধীরে সবাই প্রণাম করে ফাঁকা হলে আমিও টুক করে প্রণাম সেরে নিলাম। মন্দিরের ভেতরে ছবি তোলা নিষিদ্ধ না থাকলেও ঠাকুরের সাথে সেলফি তোলা নিষিদ্ধ, তাই শুধু ঠাকুরের ছবি তুলেই সন্তুষ্ট থাকলাম।
খানিক পরে গর্ভ গৃহের ঠিক পাশে প্রসাদ দেওয়া শুরু হলো। গোপাল ঠাকুরের মূল প্রসাদ তালের বড়া আর চরণামৃত। দুটোই হাতে নিয়ে অল্প অর্থ মন্দির প্রকল্পে দান করে বেরিয়ে আসলাম।
আজকের মতো এখানেই বিদায় দিন। আপনাদের সাথে আবার দেখা হবে, অন্য কোনো ব্লগে। সুস্থ থাকুন। ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা নমস্কার
দাদা শুভ জন্মাষ্টমী আপনি রাধা গোবিন্দ মন্দিরের জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানে গিয়ে খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন ৷আর মন্দিরের পরিবেশ টা বেশ সুন্দর ছিল ৷
হরে কৃষ্ণ রাধে রাধে
ফাঁকা ফাঁকা ছিল আমার তো দারুন লাগলো।
এই রাতের বেলা ভগবানের দর্শন দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নির্মাল্য দা।
এটা এমন একটা জায়গা যেখানে গেলে যেকোনো মানুষের মন প্রশান্তিতে ভরে যাবে। খুব ভালো লাগলো তোমার এই পোস্ট।
সত্যিই। এতো শান্তি লাগে, ভাষায় বলে বোঝানো যাবে না।
দাদা আপনার রাধা গোবিন্দ মন্দিরের জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানের পুরো লেখা পড়ে বুঝতে পেরেছি আপনি অনেক আনন্দের সময় পার করেছেন।তাছাড়া মন্দিরে পূজা করতে যেয়ে অনেক পরিচিত জনের সাথে দেখা হওয়া আর গল্প করার মজাই আলাদা।ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য
ঠিক ধরেছেন। দুটো জায়গাতেই দারুন সময় কাটলো।
হ্যাঁ, জন্মাষ্টমীর দিনে দারুন সময় কাটলো।
ধন্যবাদ দাদা।আপনি শেয়ার না করলে এত সুন্দর মন্দির এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এর মূর্তি দেখতে পেতাম না।
মন্দির টি খুবই সুন্দর। সামনে থেকে আরো ভালো বোঝা যায়।
পাসপোর্ট বানাতে দিতে হবে।খুব ইচ্ছে আছে ওপার বাংলা আর কাশ্মীর ঘুরে দেখার।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে। আপনার মাধ্যমে গত পর্বে আমার রামকৃষ্ণ মিশন দর্শন হয়েছে। আজ আবার দর্শন পেলাম রাধাগোবিন্দ মন্দিরের। অনেক অনেক শুভকামনা রইল দাদা আপনার জন্য।
আমি আপনার থেকে বয়সে বেশ ছোটো হবো। ভাই/ভাইপো/ভাগ্নে বললেও সমস্যা নেই।
রাধা গোবিন্দ মন্দিরের ভিতরের পরিবেশ অনেক সুন্দর ও পরিস্কার। আপনি জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান নিশ্চয়ই খুব ভালভাবে উদযাপন করেছেন। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মুহুর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
মন্দিরের সব টুকু জায়গায় খুব সুন্দর। ধন্যবাদ
নমস্কার দাদা।আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যার মাধ্যমে আমরা গর্ভ গৃহের রাধা গোবিন্দের অপরূপ রূপ দর্শন করতে পারলাম। মন্দির হলো সবচেয়ে শান্তির স্থান। মাঝে মাঝে মন্দির দর্শন করলে শরীর ও মন দুই পবিত্র হয়।ধন্যবাদ দাদা 🙏🙏🙏
ধন্যবাদ দিদি। আহা! খুবই শান্তি পাই, তাই মাঝে মধ্যে ঘুরে আসি।
দাদা ধর্মীয় অনুষ্ঠান মানেই অনামিল আনন্দ।রাধা গোবিন্দ মন্দিরের জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান উদযাপনের কথাগুলো জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে খুবই আনন্দ করেছেন আপনি। আর সেই আনন্দের কথাগুলো আমাদের মাঝে অতি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ বিদ্যুৎ ভাই 🤗
রাধা গোবিন্দ মন্দিরের বিস্তৃতি ও কারুকার্য প্রাণ স্নিগ্ধ করলো। মন্দিরের ভেতর এমনিতেই খুব ঠাণ্ডা থাকে। জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে আপনার এই ভ্রমণ ভালো লাগলো বেশ।
পুরো মন্দির জুড়ে অসাধারন কারুকার্য। বাইরে গরম আর ভেতরে দারুন ঠান্ডা। অদ্ভুত লাগে আমার।