ডেঙ্গুর কবলে // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
মঙ্গলবারের সকালটা নার্সিংহোমেই কেটে গেলো। বিগত দিন গুলো বেশ চিন্তার মধ্যেই কাটছে। আসলে বোনের ডেঙ্গু ধরা পড়ার দিন থেকেই ব্যস্ততার শেষ নেই। জল খাওয়ার পরিমান কম হওয়ার কারনে সোমবার রাত থেকে বোনের বাড়াবাড়ি রকমের ডিহাইড্রেশন হয়ে গিয়েছিলো। সকাল বেলা থেকেই প্রচন্ড শারীরিক দুর্বলতা। অল্প হাঁটা চলা করেই মাথা ঘোরা। সবকিছু এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিলো যে বাধ্য হয়েই সকালে বোনেরও নার্সিংহোমে যেতে হলো। স্যালাইনের প্রয়োজনে।
স্যালাইন সাধারনত দ্রুত নিয়ে নেওয়া যায় কিন্তু অতিরিক্ত ডিহাইড্রেশনের ফলে খুবই ধীরে স্যালাইন চললো। দ্বিতীয় স্যালাইনটা বেশ খানিকটা সময় লাগলো, সবমিলিয়ে ১ লিটার স্যালাইন চালাতে প্রায় দু ঘন্টা লেগে গেলো।
সবকিছুর মাঝেই বোনের সিনিয়ররা বোনের খোঁজ নিতে এসে ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে বোনকে খুঁচিয়ে দিচ্ছিলো। আদপে মাঝেমধ্যে তাঁরা খোঁজখবরের পাশাপাশি পরিবেশ শান্ত রাখা চেষ্টা করেছিলো। স্যালাইন দিয়ে নার্সিংহোম থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে তবেই বাড়ি ফিরলাম।
বাড়ি ফিরে ব্লাড প্রেসার মাপা হলো, ততক্ষণে প্রেসার অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। মাথা ঘোরাও অনেকটা কমেছে।যেখানে নার্সিংহোমে পৌঁছানোর সময় ব্লাড প্রেসার নীচের দিকে ৫০ এ নেমে এসেছিলো বাড়িতে এসে সেটা বেড়ে ৮০ তে গিয়ে ঠেকেছে। ব্লাড প্রেসার অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি পাওয়া গেলো।
উপমহাদেশীয় পরিবেশে ডেঙ্গু প্রকোপ গ্রীষ্মেই বেশি দেখা যায়। গতবার কলকাতাতেও ডেঙ্গু আক্রান্তের পরিমান বেশ কম ছিলো। তবে এবারে পরিস্থিতি একদমই ভিন্ন। আগের গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। আমার মনে হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের পরিমান বাড়ার পেছনে দুটো কারন আছে। প্রথম কারন অবশ্যই অতিরিক্ত বৃষ্টি। দ্বিতীয় হলো প্রত্যেক বারের মতোই ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রশাসনিক ব্যর্থতা।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ কিভাবে করবেন :
• ডেঙ্গুর মশা অর্থাৎ এডিস এজিপ্টিস ফেলে রাখা জমা জলে বংশ বৃদ্ধি করে তাই ঘরের আশপাশে জমে থাকা জল ফেলে দিতে।
• রাত্রে শোবার সময় অবশ্যই মশারির ব্যবহার করতে হবে। মশার তেলের থেকেও মশারি টা বেশি ভালো ও কার্যকরী।
অসাবধানতাবশত কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ আর জল খাবেন। ডেঙ্গু রোগীর জন্য পেঁপে খুবই উপকারী। হঠাৎ বৃষ্টিতে কিছু জায়গায় ডেঙ্গুর পরিমান বেড়ে যাবে তাই আগামী ১৪-১৫ দিন খুবই সাবধানতা অবলম্বন করুন আমরা বর্তমান পরিস্থিতি খুব সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারবো।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
প্রথমেই আমি আপনার বোনের জন্য দোয়া করতেছি তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়। ডেঙ্গু জ্বর আসলে খুবই কষ্টকর একটি রোগ যার হয় সেই বুঝে। বর্ষাকালীন সময়ে ডেঙ্গু মশার প্রভাবটা বেশি বেড়ে যায়। এ সময় সব জায়গাতেই পানি জমে থাকে এর ফলে জমে থাকা পানিতে তারা ডিম পাড়ে এবং তাদের বংশ বিস্তার ঘটে। ভাইয়া আপনি খুব সাবধানে থাকবেন।
গ্রীষ্মের শেষে বর্ষার শুরুতেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে তবে এবারে শীতেও অনেকের ডেঙ্গু হচ্ছে। যেটা অন্তত চিন্তার। ধন্যবাদ ভাই। 🤗
জি ভাইয়া মশার উৎপাত টা অনেক বেশি হয়ে গেছে।
শুনে খুব খারাপ লাগলো। দোয়া করি বোন যেনো খুব তাড়াতাড়ি সুস্থহয়ে যান। আসলেই দাদা ডেঙ্গুর হার ঢাকাতেও ক্রমাগতহারে বেড়েই চলছে বেড়েই চলছে। যা উদ্বেগের কারন হিসেবে দেখা দিচ্ছে। প্রতিদিন আক্রান্তের হার বেড়েই চলছে। আমাদের সবার সাবধানে থাকা উচিৎ।এবং ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চলা উচিৎ।
সাবধানতা অবলম্বন করে চলুন। ফুল হাতা জামা পড়বেন। অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে শোবেন।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন নারিকেলের খোল এবং বিভিন্ন ফুলের টপ বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানির মধ্যে ডেঙ্গু এডিস মশা জন্ম নেয়। আমাদেরকে এসব সময় আমাদের বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করে ফেলে দেওয়া সবচাইতে উত্তম। আর বোনের অসুস্থতার জন্য আপনি নার্সিংহোমে অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছেন এবং ক্লান্তির কমতি ছিল না। নিজের ব্যক্তিগত কাজ তো আছেই সব মিলিয়ে খুব পেরেশানির মধ্যে ছিলেন। আর আমাদের সাথে অনেক সুন্দর করে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ক্লান্তি বিশেষ ছিলোনা তবে চিন্তার অন্ত ছিলো না।
আপনার দিদির দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
তবে আজকাল অসম্ভব মশা বেড়েছে আজকাল।একেবারে টেকাই যাচ্ছেনা।
এবারে যে পরিমানে বৃষ্টি হলো সত্যিই অভাবনীয়। আর সেকারনেই হয়তো এতো মশা বেড়েছে।
বিষয়টা খুবই দুঃখজনক ,আমার কাছে খুবই খারাপ লাগলো। তবে এভাবেই আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিদিন বহু মানুষ , তাই আমাদের অনেক সতর্ক হতে হবে, কারণ একটা মশা এই যথেষ্ট একজন মানুষের প্রাণ নিতে। দাদা আপনার বোনের জন্যে অনেক দোয়া রইলো ,সৃষ্টিকর্তা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ করে তুলেন।
অসাবধান হলেই মশা কামড়ে দিচ্ছে। আর ভাগ্য খারাপ থাকলে ও থেকেই ডেঙ্গু।