আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪ : পর্ব ১৩
নমস্কার বন্ধুরা,
বিগত কয়েক বছর ধরে কলকাতা বইমেলার একটা দুর্নাম বেড়েই চলেছে তা হল বইমেলায় বেশিরভাগ মানুষ'ই আসেন বই কিনতে নয় খাবার দোকানে ভিড় জমাতে। কথাটা অনেকাংশে সত্যি। যারা বিশেষ করে বইমেলাতে যান তারা এই জিনিসটা অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন যে যদি কোনো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ভিড় সর্বাধিক বেশি হয় তাহলে অবশ্যই সেটা খাবারের স্টল গুলো। বইমেলার এক নাম্বার গেটের কাছেই মূলত খাওয়ার স্টল গুলি বসে। আরো কয়েকটা খাবারের দোকান বসে তবে সেগুলি বইমেলার এক্কেবারে শেষের দিকে। মাত্র হাতে গোনা দু তিনটে স্টল। সেখানে এক নাম্বার গেটের সামনে খাবারের জায়গাটি সত্যিই অনেকটা বড় তাই এখানেই সবাই মিলে গুছিয়ে আড্ডা দেয় এবং সাথে ফিশ ফ্রাই কিংবা চিকেন কাটলেট চলতেই থাকে।
খাবার দেখলে এমনিতেই খিদে পায় তার উপর এত বড় মেলার এত গুলো স্টলে ঘুরে বেড়ানো মানে অনেক হাটা। স্বাভাবিক ভাবেই খিদেও পাবে। আর সেই জন্যই মানুষজন বইমেলায় ঘুরতে এসে খাবার দোকানে ভীড় করে। যার কারণে ইদানিং বইমেলার ঘুরতে আসা অনেক কেই সমালোচনায় মুখে পড়তে হয়। তার মধ্যে পাঠকের সংখ্যা কমই। তবে এটাও ঠিক যে প্রচুর মানুষজন যারা শুধুমাত্র মেলা দেখার জন্য আসেন তাদের কিছু সংখ্যক মানুষ ঘুরতে এসে বই পছন্দ করে বই কিনে নিয়েও যান।
যাই হোক আমি আবার দু দলের মধ্যেই। পছন্দ হলে বই কিনি আর যদি পছন্দ না হয় তাহলে শুধুমাত্র "বেনফিসে" খেয়ে চলে যাই। যেমন গত বছরে আমি বিশেষ একটা বই পত্র কিনিনি তাই কোথাও খেতেও যাইনি। তবে ৪৭ তম কলকাতা বইমেলায় এসে আমি কিন্তু বেশ কয়েকটা বই পত্র কিনেছি। সেগুলোকেই সারা বইমেলায় ব্যাগে করে টানছি। স্বভাবত বই বয়ে হেঁটেছি তাই খিদে পেয়ে গেল। খিদের পেট তাই খাবারের স্টল গুলোর গন্ধ শুকতে শুকতে পৌঁছে গেলাম এক নাম্বার গেটের ঠিক সামনে। সেখানে পৌঁছে দুটো বিষয় খেয়াল করলাম, চারিদিকটা ফিস ফ্রাইয়ের গন্ধেই ম'ম করছে আর এতো মানুষ সারা বইমেলাতেও আর কোথাও জটলা পাকিয়ে নেই।
চারিদিকে খাবারের স্টল এবং তার সামনে ভিড় দেখে নিজেরই চক্ষু চরক গাছ হয়ে গেলো। নবদ্বীপের লাল ক্ষীর দই, ফিস ফ্রাই, চিকেন কাটলেট, নানান ইন্দো চাইনিজ খাবারের স্টল। চারিদিকে স্টল গুলোতে দেখছিলাম আর ভিড় দেখে ভয় পাচ্ছিলাম। বইমেলায় খাবারের দোকানে ভীড় দেখে বইমেলার দুর্নামটাই সত্যি মনে হতে পারে। আমি বেনফিসের ফিক্স ফ্রাই খাব ঠিক করলাম কিন্তু দোকানে ভিড়টা অনেকটাই। তারপর মনকে শান্তনা দিলাম বইমেলা থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়েই বাইরে খাবো। তবে ক্ষুধা নিবারণের জন্য "ঘটি গরম" হাতে তুলে নিলাম।
💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project.
Also your post was promoted on 🧵"X"🧵 by the account josluds
@tipu curate
কলকাতার একজনের ব্লগ দেখেছিলাম বইমেলা নিয়ে। যেখানে অধিকাংশই বই কিনতে না ঘুরতে এবং খেতে গিয়েছিল। আপনাদের ওখানে তো খাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে কিন্তু আমাদের এখানে বইমেলায় রীতিমতো শুরু হয় টিকটক করা ব্লগ করা এসব। তবে আপনার ব্যাপার টা ভালো লেগেছে আমার কাছে দাদা। আপনি আবার দুই দলেই আছেন হা হা। এটা বেশ ভালো কিন্তু। এটা খারাপ লাগল শেষমেশ মানুষের ভীড়ের কারণে ঘড়ি গরম নিয়ে বের হয়ে আসা লাগল আপনার হা হা।
বইমেলা নিয়ে হয়তো অনেক রিলস তৈরী হয়েছে তবে নাচানাচি করেছে কিনা জানিনা। আমি শুধু ভাবছি, বই উল্টে পাল্টে দেখছি সেই সময়ে কেউ পাশে নাচানাচি শুরু করে দিলো। হাঃ হাঃ
একদম ঠিক বলেছেন ভাই বর্তমান সময়ে বইমেলা বলেন বা যেকোন অনুষ্ঠান সেখানে সব সময় খাবারের দোকানগুলোই আগে প্রাধান্য পায়। আমাদের দেশেও বইমেলাতে গিয়ে দেখা যাবে খাবারের দোকানগুলোতে যেমন ভিড় ঠিক তেমনি রয়েছে কিছু ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বা ব্লগার। আসলে বই কিনা থেকে তারা বেশি শো-অফ করে এটাই দেখেছি। যাই হোক যারা বই প্রেমী তারা তো অবশ্যই বই কেনেন তাদের ব্যাপারে তো কিছুই বলার নেই। তবে এটা ঠিক বইয়ের ভার নিতে গিয়ে ক্ষিদে পাবে আর খাবার দোকানে গেলে সেই বদনামের ভারটা নিতেই হবে, বই কিনতে এসে খাবার দোকানে ভিড় জমালো হাহাহা।
আমার মনে হয় বই কিনে শো অফ করুক কিন্তু নাচানাচি এবং খাওয়া যদি মুখ্য হয়ে যায় তাহলে হয়তো বইমেলার সাথে আর পাঁচটা সাধারণ মেলার পার্থক্য থাকবে না।
দাদা আমাদের দেশে কিছুদিন আগেই বইমেলা শেষ হয়েছে। মানুষের প্রচুর ভিড় ছিলো, বিশেষ করে ছুটির দিনে। বইমেলায় বেশিরভাগ মানুষ যায় ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে। তাছাড়া মজার মজার খাবার খেতে। বই কেনা তো দূরের কথা, তারা তো বই হাতে নিয়েই দেখে না। সেজন্যই বই এখন তুলনামূলকভাবে কম বিক্রি হয়। যাইহোক এবার বইমেলায় গিয়ে বেশ ভালোই বই কিনেছেন দাদা। এতগুলো বই নিয়ে হাঁটাহাঁটি করলে তো ক্ষুধা লাগবেই। তবে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে এতো মজার মজার খাবার খেতে না পেরে, শেষ পর্যন্ত ঘটি গরম খেয়েছেন তাহলে। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
I also love book fair. I missed this year
পরের বছর যাবেন।
দাদার সেই পোস্টটা মনে পড়লো, বই পড়ার মানুষ কমছে শোনার মানুষ বাড়ছে।
আমার মনে হয় যারা আসছে তারা ছবি তুললে আরো বেশি প্রচার পাবে ফলে আরো মানুষ বইমেলায় আসবে। তার মধ্যে হয়তো কয়েকজন বই কিনবে।