৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস
স্বাধীনতা দিবস মানেই ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে সক্কাল সক্কাল স্কুলে যাওয়া। লাইন দিয়ে জনগণ মন অধিনায়ক গাওয়া। জাতীয় সংগীত শেষে স্যার-ম্যাডামদের বক্তৃতা আর চকলেট। ভাগ্য ভালো থাকলে কোনো কোনো বছর লাড্ডু। এখন ওই দিনগুলো খুবই মনে পড়ে। যদি একটা টাইম মেশিন থাকতো!
এখন নেই সেই লাড্ডু, নেই সেই স্যার-ম্যাডামরা। বড্ড সাদামাটা। তবে এই দিনটায় একটা ভালো লাগা থাকে।
সকালটা অলসতায় কাটালেও, দুপুর বেলায় বেরিয়ে পড়লাম। নবনিতার সাথে কিছু বাজার করতে হবে। ওর ব্রিটেন যাবার দিন এগিয়ে আসছে। শেষ কিছু মালপত্র কেনার বাকি।
বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরোতেই চারদিকে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের চিহ্ন। দেশাত্ববোধক গান। বেশ ভালো লাগলো।
চললুম কলকাতা থেকে ৫০ কিমি দূরে। আজ স্টেশন চত্বর মোটামুটি ফাঁকাই। ছুটির দিন, মানুষ বাড়িতেই। বেশ আরাম করে সিটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়া গেলো। এ এক অন্য অনুভূতি। যারা কলকাতার লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেননি তাঁরা বুঝবেন না।
আজকের বাজার বলতো একটা এক্সটেনশন কর্ড আর কিছু মশলা। প্রথম কয়েকমাসের ব্যবহারের জন্য।
এখন থেকেই বাজারে পুজোর ভীড়। নবনিতা বললো এই ভীড় কিছুই না। পুজোর আগ দিয়ে নাকি পা ফেলার জায়গা পাওয়া যায় না। মা আসছেন। আর কয়েকটা দিন বাকি।
ভিড়ের মাঝেই আমরা জিনিস পত্র কিনে ফেললাম। তারপর আমরা আমাদের পছন্দের আমূল পার্লারে গিয়ে কুলফি খেলাম। অমুলের প্রতিটা প্রোডাক্ট অতুলনীয়।
সকল শহীদদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
তাঁরা যা করেছেন তার তুলনা হয় না🙏🏾
স্বাধীনতা দিবসে সকল শহীদদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ও অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা।
তাদের বলিদানে আমরা আজ স্বাধীন।