বিদায় ফুটবল সম্রাট
নমস্কার,
ফুটবলের সিংহাসন শূন্য করে ৮২ বছর বয়সে আমাদের সকলকে বিদায় জানিয়ে চলে গেলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তী ফুটবলার, পেলে। বিগত একমাস ধরে হাসপাতালে ক্যানসারের সাথে যুদ্ধের ময়দানে থাকার পর অবশেষে ২৯ সে ডিসেম্বর ২০২২, তারিখে ইহলোক ত্যাগ করলেন।
২০২১ সালে অন্ত্রের ক্যানসার ধরা পড়ার পর থেকেই পেলে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। যদিও গত সেপ্টেম্বর মাসে ক্যানসারের অস্ত্রোপাচার হয়, তবুও ক্যানসার থেকে পুরোপুরি মুক্তি মেলেনি। তারপর হঠাৎ করে কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন খবর পাওয়া যায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে ফুটবল সম্রাটের।
শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়েই গত ২৯ নভেম্বর তারিখ ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর অনেকটা সুস্থ হয়েও গিয়েছিলেন তিনি কিন্তু হঠাৎই গত ২২ সে ডিসেম্বর তারিখ থেকে ফের ক্যানসারের প্রকোপ বেড়ে যায়। ক্যানসারের প্রকোপ বাড়তে থাকায় ডাক্তাররা তাকে হাসপাতালেই বছরের শেষ কয়েকটা দিন থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ডাক্তারদের কথা মেনে কিংবদন্তী তাই বিগত কয়েক দিন হাসপাতালেই কাটিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। ফুলবলের মাঠে ডিফেন্ডারদের বুকে ভয় তুলে অগনিত ডুয়েলে জয়ী হলেও ক্যানসারের সাথে ডুয়েলে হেরে গেলেন ফুটবল সম্রাট। হাসপাতালেই গত হলেন।
১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের ট্রেস কোরাসোয়েস শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ফুটবলের কিংবদন্তী। সর্বকালের সেরা এই ফুটবলারকে যদিও আমরা চিনি পেলে নামে তবে তার পিতৃদত্ত নাম এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো।
মাত্র ১৫ বছর বয়সেই ব্রাজিলের ঐতিহ্য শালী ক্লাব স্যান্টোসে যোগ তারপর স্যান্টোসে নজর কাড়া খেলার দৌলতে ১৭ বছর বয়সে ব্রাজিলের হলুদ সবুজ জার্সিতে ফুটবল বিশ্বকাপে আগমন। ১৯৫৮ সালে দেশের জার্সিতে নেমেই বিশ্বকাপ জয়। সেই বিশ্বকাপেই সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড স্থাপন, যা বর্তমানে এখন অটুট। ফের বিশ্বকাপ জয়ের মুকুট ওঠে ১৯৬২ সালে তারপর আবার ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপ। দেশ এবং ক্লাবের হয়ে ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ২১ বছরের পেশাদার ফুটবলে জিতেছিলেন সব ধরনের ট্রফি। দেশের জার্সিতে ৯২ ম্যাচে ৭৭ টি গোল, স্যান্টোসের হয়ে ৬৫৯ ম্যাচে ৬৪৩ গোল এবং নিউইয়র্ক কসমস ক্লাবের হয়ে ৬৪ ম্যাচে ৩৭ গোল।
ভারতীয় সময় রাত ১২:৪৫ মিনিটে যখন খবরটা পেলাম যে পেলে আর নেই তখন ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। হত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসে ব্রাজিলীয় ফুটবল ঘরানাকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা করা ফুটবলের রাজা আর যে ফিরবেন না। তিনি চলে গেলেন না জানার দেশে, রেখে গেলেন তার পায়ের জাদু। শেষ বেলায় এসে আমার তরফ থেকে বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা। বিদায় সম্রাট।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ফুটবল প্রেমী মানুষ একটি রত্নকে হারিয়ে ফেলল। আসলে খবরটি শোনার পর সত্যিই অনেক খারাপ লেগেছে। গভীর রাতে যখন হঠাৎ করে ফেসবুক ঘাঁটাঘাটি করছিলাম তখন নিউজটি দেখতে পেয়েছিলাম। ভীষণ খারাপ লেগেছে নিউজটি দেখার পর। এভাবেই হয়তো প্রিয় মানুষগুলো হারিয়ে যায়। হয়তো ধরে রাখার ক্ষমতা আমাদের কারো নেই। তিনি হয়তো বেঁচে থাকবেন সকলের অন্তরে।😭😭
আসলে ব্রাজিলের ফুটবলার পেলে না ফিরার দেশে চলে গেছে জেনে অনেক খারাপ লাগল। আসলে দাদা এটাই প্রকৃতির নিয়ম।এক সময় আমাদের সবাইকে এভাবে চলে যেতে হবে।যাইহোক পেলের জন্য অনেক দোয়া রইল যাতে ওপারে ভালো থাকে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বিশ্বসেরা ফুটবলার পেলে আর নেই। ছোটবেলায় কোন বইতে যেন পড়েছিলাম এই কিংবদন্তী ফুটবলের যাদুকরের কথা। আসলে পেলের মৃত্যুর সংবাদটি শুনে আমারও যেন কেমন লাগছিল। তবে পেলেরা মরে না। তারা যুগ যুগ ধরে বেচেঁ থাকে বইয়ের পাতায় অথবা মেসি আর নেইমার হয়ে। ভাল থাকো ফুটবলের যাদুকর।
এই মৃত্যুর খবর শুনেছিলাম আমার আব্বুর কাছে। আসলে এই খবরটা শুনে আমার সত্যি খুব খারাপ লেগেছিল। ফুটবলের রাজা ছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে হারিয়ে ফেলেছে সবাই। যদিও তার মৃত্যু শরীর গত ভাবে হলেও তিনি সকলের মনের মাঝে থেকে যাবেন। পোস্টটি পড়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে গেলাম অনেক বেশি।
দ্য গ্রেটেস্ট প্লেয়ার ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড। আমরা পেলের খেলা দেখিনি কিন্তু নাম শুনেছি।সেই সময়ের বিখ্যাত প্লেয়ার ছিলেন তিনি। পেলে হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসে। পরবর্তীতে সে বিশ্বে ফুটবলের রাজা হয়ে যায়। তিনি অনেকগুলো ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। তিনি পরপর তিনবার বিশ্বকাপ পান। তার বিদায়ে ফুটবলের আকাশে কালো মেঘ ঢেকে গেছে।
পুরো ফুটবল বিশ্ব একটি বড় মানিক হারিয়েছে । আপনার পোস্টের মাধ্যমে পেলের অনেক অজানা জানতে পেরেছি। তিনি খুব অল্প বয়সেই অনেক ভাল ফুটবল খেলতেন এবং অনেক অর্জন হয়েছিল। উনাকে দিয়েই ব্রাজিল ফুটবল দলের এতদূর আসা। আশা করছি ফুটবল বিশ্ব এই শোক কাটিয়ে উঠবে। ধন্যবাদ দাদা ।
ফুটবলের কিংবদন্তি আমাদের থেকে বিদায় নিয়েছে এটা শুনে অনেক খারাপ লাগতেছে। ফুটবল আকাশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ডুবে গেলো। ফেলে ছিলো শতাব্দীর সেরা ফুটবল খেলোয়াড়। যাকে ফুটবল ইতিহাসের সেরাদের সেরা হিসেবে গণ্য করা হয়। বিদায় কিংবদন্তি বিদায় ওপারে ভালো থাকবেন নিশ্চয়।