পুজো পরিক্রমা ২০২৩ : গৌরীমাতা উদ্যান
নমস্কার বন্ধুরা,
বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের এক অতি প্রয়োজনীয় জিনিসে পরিণত হয়েছে। সেই সাথে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম গুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামের মতো সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ সবাই ডুবে। সামাজিক মাধ্যমের সুফল গুলো আমরা বেশি তুলতে না পারলেও এদের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছি অনেকটাই। রাস্তাঘাটে বেরোলে সেটা আরো পরিষ্কার বোঝা যায়। ট্রেনে, বাসে, মেট্রোতে যেখানেই সর্বত্রই আমরা মোবাইলে ফোনে মুখ গুঁজে থাকি। মোবাইলে তাকিয়ে সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করে চলি! মানুষের সৃষ্টি করার সোশ্যাল মিডিয়াকে যেখানে আমরা কন্ট্রোল করবো সেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন আমাদের কন্ট্রোল করছে। এই ভাবনার উপরেই গৌরীমাতা উদ্যানের এবারের দুর্গাপুজোর থিম "মগজ ধোলাই"।
সামাজিক মাধ্যম এখন মানুষের জীবনে এক নেশার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিচ্ছি। পাতার পর পাতার শেষ না হওয়ার পেজ স্ক্রল করে চলেছি। অথচ সামাজিক মাধ্যম গুলো শুরুর সময় তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে আসা, এক মানুষ আরেক মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে তাতে এটা বললে ভুল হবে না যে সোশ্যাল মিডিয়াকে আমরা নয় বরং সোশ্যাল মিডিয়াই আমাদের পরিচালনা করছে। এমনকি নতুন প্রজন্মের বাচ্চাদের মধ্যে বইয়ের পাতা ওল্টানোর অভ্যাসটাই উঠে যেতে বসেছে পরিবর্তে তারা মোবাইলের স্ক্রিন স্ক্রল করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। সামাজিক মাধ্যমের এই দিকটা নিয়েই এ বছরে গৌরী মাতা উদ্যানের দুর্গাপুজো।
জগৎ মুখার্জ্জী পার্কে খুব সুন্দর এক ট্রিবিউট থিম দেখার পরে যখন বাগবাজারের পথে চলেছি ঠিক তখনই হঠাৎ রাস্তা থেকেও মন্ডপটা চোখে পড়ে। বাইরে থেকে মণ্ডপটা দেখেই খুব সুন্দর লেগেছিল সেই সুবাদে মন্ডপে ঢুকে পড়লাম। মন্ডপের বাইরের সজ্জা দিয়ে দেখানো হয়েছে কিভাবে আমাদের বই পড়ার প্রবণতা এবং ইচ্ছে ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। মণ্ডপ সজ্জাতে খুব সুন্দরভাবে সেই দিকটা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মন্ডপের অন্তরে যেতেই পুজোর মূল ভাবনাটা আরো পরিষ্কার হয়ে গেলো। মন্ডপের ঠিক মাঝের জায়গায় মানুষের মস্তিষ্কের প্রতিকৃতি বানানো হয়েছে যেটার সাথে জুড়ে আছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গুলো। পুরো মন্ডপ জুড়েই দেখানো হয়েছে কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের মগজ ধোলাই করে চলেছে।
মন্ডপের মধ্যিখানে জগজ্জননী মায়ের প্রতিমা বিরাজিত। মা দুর্গাকে এখানে স্নেহময়ী মা হিসেবে দেখানো হয়েছে যিনি তার সন্তানদের সোশ্যাল মিডিয়া এই আসক্তি থেকে সুরক্ষিত করে পড়ার বইয়ের দিকে মনোযোগ দেওয়ার শক্তি প্রদান করছেন।
দাদা আপনি তো প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে বিভিন্ন পুজো মন্ডপের পুজো নিয়ে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর কিছু বর্ণনা শেয়ার করে যাচেছন। আজও কিন্তু দারুন কিছু ফটোগ্রাফি সহ গৌরীমাতা উদ্যানের পুজোর বেশ সুন্দর বর্ণনা তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ দাদা আমাদের সাথে এমন সুন্দর কিছু তথ্য শেয়ার করার জন্য।
দাদা গৌরীমাতা উদ্যানের দূর্গা পূজার থিমটা তো দারুণ "মগজ ধোলাই"। আসলেই সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের মগজ ধোলাই করছে প্রতিনিয়ত। আমরা প্রচুর পরিমাণে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভরশীল হয়ে গিয়েছি। এটা অবশ্যই ক্ষতিকর আমাদের জন্য। যাইহোক তারা তো দেখছি পূজা মন্ডপ চমৎকার ভাবে সাজিয়েছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম সম্পূর্ণ পোস্টটি। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গৌরীমাতা উদ্যানের "মগজ ধোলাই" থিমটি বেশ দারুন লাগলো দাদা। দারুন একটা সোশ্যাল মেসেজ দেওয়া হয়েছে এই পুজো প্যান্ডেলটির মাধ্যমে। সময়ের সাথে সাথে আমরা বইয়ের পাতা উল্টানো ভুলে গেলেও, ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল চালানো ভুলি না। এগুলো আমাদের জীবনেরই একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্ম গুলো কেমন জানি আমাদের মগজটাকে একদম ঘিরে রেখে দিয়েছে। আমরা কোন এক মুহূর্ত এগুলো ছাড়া চলতে পারি না এখন। দুর্গাপুজোর এই প্যান্ডেলের মাধ্যমে দারুন একটা বিষয়কে খুব সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে এবং একটা গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ প্রদান করা হয়েছে সবার মাঝে।