রেসিপি : থোড়ের মুড়িঘন্ট
নমস্কার বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলেই সুস্থ। আজ আপনাদের সাথে আরো একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের রেসিপিটি হলো থোড়ের মুড়িঘন্ট।
আমি থোড় মোটেই কাটতে পারি না। সত্য কথা বলতে গেলে আসলে আমি কোনো সবজিই ভালো কাটতে পারি না । পারিনা বললেই তো হয়না, চেষ্টা তো করতেই হবে, প্রায় ১ ঘন্টা কসরত করার পরে অবশেষে থোড় কাটতে সক্ষম হলাম। খোড় তো কেটে ফেললাম কিন্তু আমার হাতে কালো কালো দাগ হয়ে গেলো। দাগ দেখে দমে যাওয়াটা মোটেই বীরের কাজ না তাই হুটোপাটি করে রান্না সেরেই ফেললাম। যাক আর কথা বাড়াবো না সোজা চলে যাবো মূল রান্নায়।
- থোড়
- আতপ চাল
- গোটা জিরে
- দারুচিনি
- এলাচ
- তেজপাতা
- চিনি
- হলুদ গুঁড়ো
- জিরে গুঁড়ো
- লঙ্কা গুঁড়ো
- নুন
- তেল
ধাপ ১
- কড়াই চাপিয়ে তাতে অল্প তেল গরম হতে দিলাম। তেল গরম হয়ে যাওয়ার পর আতপ চাল দিয়ে ভাজতে শুরু করে দিলাম।
ধাপ ২
- আতপ চাল গুলো ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে রাখলাম।
ধাপ ৩
- বাকি তেলে গোটা জিরে, তেজপাতা, দারুচিনি ও ছোটো এলাচ দিয়ে ফোড়ন দিয়ে নিলাম। তারপর কেটে রাখা থোড় দিয়ে স্বাদমতো নুন ও পরিমাণ মতো হলুদ দিয়ে দিলাম।
ধাপ ৪
- থোড় অল্প নাড়াচাড়া করে একটা পাত্র দিয়ে ঢেকে দিলাম।
ধাপ ৫
- কিছুক্ষণ পরে পাত্র সরিয়ে থোড়ে অল্প চিনি দিয়ে নাড়াচাড়া করে দিলাম।
ধাপ ৬
- এরপর থোড়ে আগে ভেজে রাখা আতপ চাল দিয়ে দেবো। তারপর ১ চামচ করে জিরে গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মসলা গুলো ভাজতে থাকবো।
ধাপ ৭
- মশলা ভেজে নিয়ে এক কাপ জল দিয়ে থোড় ফুটতে ছেড়ে দেবো।
ধাপ ৮
- মিনিট দশেক ফুটিয়ে নিতেই থোড়ের মুড়িঘন্ট তৈরী।
||আমার বাংলা ব্লগ & ডিসকর্ড||
Support @heroism by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
খুবই মজাদার একটি থোড়ের মুড়ি ঘন্ট রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি লোভনীয় লেগেছে আপনি বরাবরই আমাদের মাঝে অনেক মজাদার মজাদার রেসিপি শেয়ার করে থাকন।মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যালো আসসালামু আলাইকুম! আমি আপনার রেসিপি চেষ্টা করব, এটা সহজ
অবশ্যই করবেন।
ভিন্ন রকম একটা থোড়ের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। থোড় খেতে বেশি ভালো লাগে আমার। আপনার রেসিপি আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে। সেই সাথে খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
থোড় দিয়ে আরো অনেক পদ করা যায়। আমি কয়েকটা করলাম মাত্র।
কলার থোড় আমার খুবই ফেভারিট যেকোনোভাবে রেসিপি প্রস্তুত করলে খেতে অনেক ভালোবাসি বিশেষ করে ইলিশ মাছ দিয়ে ঘন্ট অথবা ইলিশ মাছ দিয়ে রেসিপি প্রস্তুত করলে খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে
আর থোড় খুব উপকারী। আমি ইলিশ দিয়ে কখন খাইনি।
থোরের মুড়িঘন্ট কখনো খাওয়া হয়নি ।তবে আপনার রেসিপিটা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছিল ?এই ধরনের খাবার আমার কাছে বেশ ভালই লাগে খেতে ।ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।।
রান্না করে দেখতে পারেন। ভালোই খেতে।
আজ আপনার মাধ্যমে সম্পুর্ণ নতুন একটা রেসিপি শেখার সুযোগ হলো । ছোট বেলায় বাড়ির পাশে অনেক কলা গাছ থাকায় খুব সহজেই থোড় সংগ্রহ করা যেত । আমি খুব আনন্দ নিয়ে এই কাজ গুলো করতাম । তবে বেশির ভাগ সময়ে থোড় ভাজি করে খাওয়া হতো । তবে এখন এর অপ্রতুলতার কারণে তেমন একটা খাওয়া হয়না বললেই চলে । তবে এর পর এভাবে অব্যশই রান্নার চেষ্টা করে দেখবো ।
থোড়ের ভাজা খেতেও দারুন লাগে। চেষ্টা করবেন। থোড় খুবই ভালো।
থোড় খাওয়া হয়েছে অনেক।তবে কখনো খাওয়া হয়নি এভাবে করে।
থোড়ের মুড়িঘন্ট কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার তৈরিকৃত রেসিপিটি আমার কাছে খুবই অসাধারণ লেগেছে ভাইয়া। থোড় এবং আতপ চাল দিয়ে আপনি খুবই সুস্বাদু করে মুড়িঘন্ট রেসিপি তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার বৌদি টা যে কত লাকি হবে সেটাই ভাবছি 🤔🤔। আজকাল কার দিনে এমন জামাই,, বাঁধিয়ে রাখার মত পুরো 🙏🙏। কাটা বাছা থেকে রান্না কোন কাজে যেন ফেলে দেয়া যাবে না 👌👌 চমৎকার ছিল দাদা রান্না টা।
থোর একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। থোর কে বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। ভাজি করে ভর্তা বানিয়ে কিংবা মাছের সাথে। হ্যাঁ থোর প্রসেস করতে অনেক সময় যায়।চোরের মুড়িঘনটো আমার কখন খাওয়া হয়নি। তবে আজকে আপনি মুড়ি গন্ট বানিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন থোর দিয়ে কিভাবে মুড়ি গন্ট বানাতে হয়। চমৎকার ধাপে ধাপে দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে ভোট দিয়ে মুড়ি গন্ড তৈরি করতে হয় । ধন্যবাদ দাদা । আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।