কিষানগঞ্জ শহরের বুকে বুদ্ধ নেহেরু শান্তি পার্কsteemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার বন্ধুরা,

জীবনের এত নিরস পার্ক প্রথম দেখলাম। গুটিগতক কপোত কপোতী ছাড়া পার্কটা একদম রসহীন ছিলো। কেন বলছি সেটা ব্লগের বিস্তারিত পড়লেই বুঝতে পারবেন। আসলে বুধবার সন্ধ্যাবেলায় কিষানগঞ্জ পৌঁছে সেখানে রাত্রি কাটিয়ে বৃহস্পতিবার দিন সকালবেলায় বেরিয়ে পরলাম কিষানগঞ্জের কাজকর্ম সেরে নেওয়ার জন্য। সকালবেলা যাওয়ায় কাজকর্ম দুপুর তিনটের মধ্যে শেষ হয়ে গেল। হাতে বেশ কিছুটা সময়, আর ঘরে গিয়ে কোনো কাজ নেই। চিন্তা করলাম যে শহরের আশপাশটা একটু ঘুরে দেখলে কেমন হয়। সেই সুবাদে গুগল সার্চ করে কিষানগঞ্জের বুদ্ধ নেহেরু শান্তি পার্কে যাওয়া।

PXL_20230202_165155793_copy_1209x907.jpg

বুদ্ধ নেহেরু শান্তি পার্কটি কিষানগঞ্জ শহরের একদম মাঝখানে অবস্থিত হলেও পার্কটিকে কিষানগঞ্জ এর মধ্যমণি মোটেও বলা যায় না। ফুল হীন, মানুষ হীন পার্ক হয়ে হতে পারে সেটা না দেখলে কেউ হয়তো কল্পনাও করবে না। যদিও পার্কের প্রবেশদ্বার দেখে অনেকের মনে সন্দেহ জাগতে পারে। তাহলেও প্রবেশদ্বার দিয়ে কি যায় আসে ভেতরটা সুন্দর হলেই হয় তাই নয় কি? কিন্তু প্রবেশদ্বার যেমন ছিল পার্কের ভেতরটাও ঠিক তেমনি ছিল। ঠিক অপরিষ্কার না কিন্তু কেমন যেন প্রাণহীন।

PXL_20230202_165505681_copy_1209x907.jpg

পার্কে ঢোকার টিকিট মাত্র ১০ টাকা। বিকেলের দিকে টিকিট কেটে ঢুকে পরলাম। ভেতরে ঢোকার রাস্তাটাই যা সুন্দর। পাকা পোক্ত রাস্তা, যার দুপাশে ইয়া বড় বড় গাছ। এটাই ছিল পার্কের দেখার মতো জায়গা। পার্কে ছোট ছোট কিছু ঝাউ গাছ আর কিছু বহু পুরনো বড় গাছ ছিল। কিন্তু ফুল গাছের খুবই অভাব ছিল, যা শীতকালে পার্কের মূল আকর্ষণ থাকে।

PXL_20230202_165301131_copy_1209x907.jpg

পার্কে ঢুকতেই ডানদিকে একটা বসবার মতো ছাউনি ছিল আর হাতের বামদিকে ছিল ঝাউয়ের মাঝে একটা রাস্তা। যথারীতি আমি বাঁ দিক দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে থাকলাম, কিছুদূর এগোতেই দেখলাম গৌতম বুদ্ধের মূর্তি। সেখানেই যা কয়েকটা ফুল গাছ দেখতে পেলাম, তবে গাছ গুলোর দিকে তাকিয়ে মনে হল ৩-৪ দিন হবে গাছ গুলো লাগানো হয়েছে। মনে মনে ভাবলাম যে কর্তৃপক্ষ কতটা উদাসীন হলে শীত কালের শেষে ফুলের গাছ লাগায়।

20230202_165553_HDR_copy_1209x907.jpg

PXL_20230202_165706457_copy_1209x907.jpg

PXL_20230202_165751567_copy_1209x907.jpg

বুদ্ধের মূর্তি থেকে খানিকটা এগোতেই নজরে এলো একটা সুন্দর পুকুর, যেটা পার্কের পেছনটা বলে নজরে আসছিলো না। পুকুরটা ছিল কচুরিপানায় ভর্তি। আর ছিলো কিছু পদ্ম ফুল তবে পুকুরের জল এতটাই নিচুস্তরে নেমে গেছে যে পুকুরে নামার খুব একটা সাহস আমি পেলাম না। পুকুরে আরেক পাশেই ছিলো বাচ্চাদের স্লাইড। যেটা পার্কের পার্ক হয়ে ওঠার একমাত্র প্রমাণ।

PXL_20230202_165921292_copy_1209x907.jpg

PXL_20230202_165856303_copy_1209x907.jpg

নিরসের মাঝেও আমার একটা অদ্ভুত পাওনা ছিলো। সেটা হলো শান্তি। শহরের বুকে থেকেও পার্কটা যেন শহর থেকে একদম বিচ্ছিন্ন, আধুনিকতার ছোঁয়া বিশেষ লাগেনি। হয়তো সেই জন্যই মানুষের কোলাহল কম। যেখানে বসে সৌন্দর্য নজরে না এলেও দুদন্ড শান্তি নিশ্চিত পাওয়া যাবে।




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness


Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||

Sort:  
 2 years ago 

সত্যি পার্কটা দেখতে ভীষণ খালি খালি লাগছে। তবে পার্কের ভেতরটা কিন্তু বেশ সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। আর পার্কে ঢোকার টিকেট মাত্র 10 টাকা এই বিষয়টা ভালো লেগেছে। অবশ্য পার্কে একটু জমজমাট মানুষ না হলে দেখতে ভালো লাগে না। যাইহোক আপনি তো অন্তত একটু ঘোরাঘুরি করেছেন। আসলে প্রবেশ পথ অপরিষ্কার হলেও ভেতরটা দেখলাম সুন্দর আছে।

 2 years ago 

নেহেরু শান্তি পার্কে প্রবেশ করতে মাত্র ১০ টাকার টিকিট লাগে এটা জেনে যেন অবাক হয়ে গেলাম। কারণ আমাদের এখানে যেখানেই যায় না কেনো ৫০ টাকা করে টিকিট। আর ভেতরেও অন্যান্য বিষয়ে ২০-৩০-৫০ টাকা করে টিকিট মূল্য হয়ে থাকে। যাই হোক নতুন একটা পার্ক সম্পর্কে অবগত হতে পারলাম আপনার এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 62731.36
ETH 2678.00
USDT 1.00
SBD 2.54