বছর দুয়েক পরে...
নমস্কার বন্ধুরা,
প্রায় বছর দুয়েক পরে ফের ক্রিকেট খেলা শুরু করলাম তবে এইবার আর টেনিস বলের ক্রিকেট নয় সরাসরি ডিউস বল দিয়েই। ২০২৩ সালের এক দিবসীয় ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৬ সালের টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপের পরে আমার দেখা পুরো টুর্নামেন্ট। ফাইনাল ম্যাচে হেরে গিয়ে মনটা ভেঙে গেলো। সেদিনই ঠিক করে নিয়েছি আর কখনো বোকা বাক্সে ক্রিকেট দেখবো না। খেলা দেখবো না ঠিকই তবে খেলা টার প্রতি তো দুর্বলতা কমেনি। আসলে বেশ কিছুদিন ধরেই ক্রিকেট খেলার চিন্তাভাবনা হচ্ছিলো কিন্তু সময় বের করতে পারছিলাম না। খেলার দিন ও তারিখ ঠিক হয় শেষ মুহূর্তে এসে দলের কেউ ব্যস্ততা দেখিয়ে পুরো খেলাটাই বাতিল করে দেয়।
অবশেষে অপেক্ষার অন্ত হলো রবিবারে খেলা দিয়ে। যদিও তার পেছনে এক দারুন পরিকল্পনা কাজ করেছে, সেটা হলো শনিবার রাতে রবিবার ভোরের খেলার সময়টা ঠিক করা। সেজন্য শেষ মুহূর্তে এসে কেউ পরিকল্পনা বানচাল করতে পারেনি। বলা চলে করার সুযোগ পায়নি। হাঃ হাঃ। তাছাড়া রোববার ছিল বলে সবাই কাজ আছে সেই অজুহাতে দেখাতে পারল না।
খেলা ছিল একদম ভোরে। আসলে পুরোপুরি ভোরবলা বলা হয়তো ঠিক হবেনা। কারণ খেলাটা ছিল সকাল সাতটা থেকে নটা পর্যন্ত। শীতের দিনে যেটাকে ভোর বেলা বলেও চালানো যায়! সকালবেলা তড়িঘড়ি ঘুম থেকে উঠে বেরিয়ে পড়লাম মাঠের উদ্দেশ্যে। দক্ষিণ কলকাতার বিবেকানন্দ পার্কে ছিলো আমাদের খেলা। ট্রাফিক হীন সকালের কলকাতায় দু ঘন্টার রাস্তা মাত্র ১ ঘন্টা ১০ মিনিটে পৌঁছে গেলাম, মাঠে পৌঁছতে লেট মাত্র ১০ মিনিট। ততক্ষণে বাকিরা মাঠে পৌঁছে গিয়ে ওয়ার্ম আপ করে খেলাধুলা শুরু করে দিয়েছে। আমিও পৌঁছে ঝটপট জামা কাপড় বদলে বোলিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলাম। শুরুতে স্ট্রেচিং করে নিয়ে তারপর চলল টানা ৬ ওভার বোলিং।
কিছুটা রেস্ট নিয়ে মাত্র মিনিট ১৫ ব্যাটিং এর সুযোগ পেলাম। যদিও তার বেশি খেলার মতো শক্তি আমার দেহে ছিলো না। টানা দু'বছর পরে খেলে খুব ভালো লাগলো তবে খেলার শ্রেয় ক্যাপ্টেনের। তিনি যদি হুট করে খেলার দিন ক্ষণ ঠিক না করতেন তাহলে হয়তো এবারেও শেষ মুহূর্ত এসে বানচাল হতো। প্যাড খুলে বাকি সময়টা অন্যদের খেলা দেখলুম এবং ততক্ষণে চারপাশে সমস্ত মাঠ ছেয়ে গেছে অনেক দলে। এক অন্যরকম অনুভূতি।
বাহ্! দু'বছর পর আবারো ক্রিকেট খেলা শুরু করেছেন, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। ক্রিকেট খেলা ছোটবেলা থেকেই আমার ভীষণ পছন্দ। যদিও লাস্ট ক্রিকেট খেলেছিলাম তিন চার বছর আগে। ছোটবেলায় আমরা এতো সকাল সকাল ক্রিকেট খেলতাম। দাদা ৬ ওভার বোলিং করে তো সকাল সকাল শরীরটাকে একেবারে গরম করে ফেলেছেন। একেবারে ব্যায়াম করা হয়ে গিয়েছে। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত ক্রিকেট খেলবেন। কারণ খেলাধুলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা তাহলে ক্রিকেট খেলেন ৷ যা হোক আমিও অনেক দিন ধরে খেলি না ৷ তবে আমার কাছে ক্রিকেট খেলাটা ভালো লাগে খুব ৷ আপনি ২ বছর পর খেলতে গিয়েছেন বিবেকানন্দ মাঠে সবমিলে ভালোই লাগলো ৷ আসলে জীবনে খেলাধুলা বিনোদন প্রয়োজন ৷
খেলার সাথে যুক্ত থাকতে পারলে সেটা শরীর-মন উভয়ের জন্যই ভালো! শরীর যেমন ফুরফুরে থাকে, তেমনি মনটাও ফুরফুরে থাকে। বেশ হালকা লাগে নিজেকে। দুই বছর পরে হলেও যে খেলার সাথে আবারো নিজেকে যুক্ত করেছেন, সেটি জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। আশা করি এই সংযুক্তি টা কন্টিনিউ করবেন। শুভ কামনা রইলো দাদা।
বছর দুয়েক পর আবার ক্রিকেট খেলা শুরু করলেন। তাও আবার টেনিস বল বাদ দিয়ে একদম ডিউস বল দিয়ে।এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট যাওয়ার পর আপনার আবার আগ্রহ বেড়েছে বুঝতে পারলাম ক্রিকেটে।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
তাহলে বোকা বাক্সে আর ক্রিকেট দেখবেন না ঠিক করে ফেলেছেন। আমিও প্রায় দেখা ছেড়ে দিয়েছি। শুধু আইসিসির টুর্নামেন্ট গুলোই যা দেখি। তাহলে অনেক বছর পরে ক্রিকেট খেলে আপনার অনূভুতি টা জানতে পেরে ভালো লাগল। একটা কথা দারুণ বলেছেন শীতকালে সকাল ৭ সময় টাকে ভোর বলে চালিয়ে দেওয়া যায় হা হা।
দু বছর পর ক্রিকেট খেলতে নামলেন বাহ বেশ ভালো তো। সত্যি বলতে ক্রিকেট খেলার প্রতি অন্যরকম দুর্বলতা আমারও রয়েছে। যদিও এখন খেলা হয় না, তবে একটা সময় অনেক বেশি খেলতাম। যাই হোক আপনি দুই বছর পর ১৫ মিনিট যে খেলতে পেরেছেন এটাও অনেক। আমি হলে হয়তো সেটাও পারতাম না,হাহাহ। ধন্যবাদ দাদা এই সুন্দর অনুভূতি ও মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।